ঈমানের ইজলাসে,
মুজাদ্দিদ আসেন মুসলিম মাঝে খুঁজে লও বিশ্বাসে।
কহেন, উনি মুজাদ্দিদ তাজদীদে ওই, নেই হক্বে অবকাশ,
ওই কারবালা রহে হর বেলা, জানাতেই ইতিহাস।
বিশ্বেই আজ মুসলিম বেশি,
হায়, কুফরী ইশকে মিশি।
রুদ্ধ রাখিছে ঈমানী নূর
কাতরায় হায় তাগুতীপুর।
রুগ্ন রাখিছে হক্বের দৃষ্টি মুসলিমী গণ গায়,
আহা ইহুদী হস্তে হেলামীতে নুয়ে যায়।
ফের রুগ্ন রাখিছে ঈমানদারীর দীপ্ত নূরের শান,
কুফরী প্রীতির সামিয়ানা তলে হয়ে রয় বেঈমান।
আর অন্ধ অলস জজবাহীনেই ধরণীতে গুজরায়,
রহে গ্রেফতার কঠিনে আবার দুশমনী আওতায়।
আহা তাগুতী পক্ষে রহিছে দক্ষে চাতুরীর কুৎপাকে,
ঈমানের জোশ করিছে নীরশ ফেরবের কুহু ফাঁকে।
চোখের সামনে ভ্রাতৃ খুনে,
উল্লাসে রহে জঙ্গি বনে।
হেরি হায় নির্মম পরিহাস,
ইহা কী মুসলিমী ইতিহাস?
ফের মসজিদ, মাযার, মাদরাসাসহ বন্দেগী মজলিসে,
ওই জঙ্গিরা আজ বোম্বিং করে কাফিরের ফরমিশে।
দেখি ক্ষমতার মোহে দুশমনী গৃহে ঈমান বিক্রি করে,
ভ্রাতৃ হত্যায় মেতে উঠে ওই তাগুতি লেজুর ধরে।
তাই দুর্বল মুলুক সকল, মুসলিমী যত আছে,
ইহুদী নাছারা মুশরিকী পায়ে নতজানু হয়ে গেছে।
মুসলিম, প্রগতি যুগের আগ্রাসনেই বনিয়াছে বর্জ,
তবু তিনশত কোটি মুসলিম আজো হয় না অধৈর্য।
আহা মুখ বুজে সবে কাফিরের মার করিতেছে সহ্য,
অসহায় হয়ে কাঁদছেই শুধু হারাইয়া তুর্য।
কৈ সে বিষাদ কৈ প্রতিবাদ, নামকে মুসলমান,
ঈমান আমান নিঃশেষ করে গাহে কুফরির গান।
রে দুনিয়ার মুসলমানেরা হুঁশ লও পুনর্বার,
বেহুঁশী গর্তে রহিসনে আর লুকাইয়া দুরাচার।
আমি কবি আজ ঘোষক হইয়া ঘোষণা দিচ্ছি ওরে,
মুজাদ্দিদ আ’যম তাশরীফ আনেন আজ পৃথিবীর পাড়ে।
পঞ্চদশ শতক,
হিজরী সনের মুজাদ্দিদ আ’যম মুসলিমী মস্তক।
খোঁজ খোঁজ ওই বিশ্বমানব কোথা তিনি আগন্তুক,
উনাকে হেরিয়া ইবলিস হায় খুঁজিছেই খন্দক।
ওই যে উনিই খলীফাতুল্লাহ ছাহিবে আলমগীর,
উনার রোবেই বিলকুল সব রহে রহে মুঞ্জির।
তিনি ছিদ্দীক্ব কহিতেছি ঠিক মিছদাক্বে রাশিদীন,
তিনিই ফারূক দ্বীনি তাবারুক ইমামে মুসলিমীন।
কহি, তিনি রসূলের সুসজ্জিত সুন্নতী সম্বিত,
উনার বাহার নকশা খোদার জুঝে রাখে সম্প্রীত।
আজ পৃথিবীর বেষ্টনে রহে মুজাদ্দিদী ইরশাদ,
উনার তা’লীমে সালামত গ্রহে বারাকাতে আহলাদ।
ওই চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারকায় মুজাদ্দিদী মানসুর,
রহে অস্ত উদয়ে লঙ্ঘিত নয় অনুগতে দস্তুর।
উনি রাহবার হয়ে আকবার ইমামুল হুদাই খোদ,
ভ্রান্ত তমশা নিঃশেষে দেন ঘুচাইয়া নির্বোধ।
দেন সংস্কার সব তাগুতবাদীর মুখোশখানিরে গুঁড়ে,
সংকুল সব অনুকূল রেখে অগ্র যে দুর্বারে।
তিনি তাগুতি তাকত সংকোচ করে চূরেন অগ্নি গৃহে,
তাই দাবানল করে খল খল সুপ্তে নাহিকো রহে।
দাউ দাউ করে জ্বালাইয়া দেন, বনগাও ঘর বাড়ী,
সুনামি ঝরের চাবুকে চূরেন নাছারা অহঙ্কারী।
রে সাবধান বেকুবের দল ছেড়ে দে ফালতুগিরি,
মুজাদ্দিদ আ’যম শাহ সাইয়্যিদ ধরণী করেন নূরী।
পুরো ধরণীই উনার অধীনে রহে রহে তাঁবেদার,
পানি ও বাতাস অগ্নি ও খাক উনাতেই একাকার।
উনি সবার রিযিকি আধার ছাহিবে কাসিমজী,
উনিই গাউছ পূরণ করেন অসহায় আরজি।
ক্বায়িম-মাক্বামে উনিই রসূল মহমতি মহানূর
লও হে চিনিয়া বুঝিয়া বুঝিয়া লইতে তাবাসসুর।
তাই দুনিয়ার তামাম বাসিরে সমঝাতে পয়গাম,
উনার ছিফত রহিছে তাবত প্রতি খাতে আঞ্জাম।
উনি ছাহিবে হাযির, ছাহিবে নাযির ছাহিবে ইলিমদার,
ছাহিবে শাকির ছাহিবে সাবির ছাহিবেই গাফফার।
উনার নজরে নিয়ন্ত্রিত আজ ধরণীর সব,
ওই আকলমন্দের আকলে কেবল প্রকাশেই মনছব।
কোথায় গযব কোথায় নীরব কোথায় ¯িœগ্ধ নাজ,
উনার নজরে বণ্টিত জুড়ে বিলকুল ইবতিহাজ।
আঁধার যমিনী রশ্নি কামিনী মুজাদ্দিদী মহা রোব,
শৃঙ্খল সব রহে উজ্জ্বল বিলীনে কুফরী লোভ।
শাব্দার্থ: ইবতিহাজ: সুখ, আনন্দ, মনছব: মর্যাদা
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬