তব দুশমন,
জেনে রাখ ঐ মুসলিম তুমি সহসা যে প্রতিক্ষণ।
ইহুদী-নাছারা-হিন্দু-মজুসী-বৌদ্ধ-বাহাই মিলে,
ওহাবী-খারিজী-মওদুদীসহ ঐক্য যে সব হালে।
ঘুমাস্নে আর,
জেগে উঠ, ওরে হুঙ্কার দে মুসলিম ত্যাজিয়ার,
পৃথিবীর বুকে মুখরিত রহে মজলুমী হাহাকার,
সয়লাব করে জাঁকিয়া রহিছে ইবলিসি হানাদার।
ঐ মজলুম মুসলিম তারা খেলনা কাফির হাতে,
মশার মতই মেরেই চলছে গঞ্জের পথে পথে।
আমেরিকাসহ ইউরোপ আর আফ্রিকা এশিয়ায়
মু’মিনী খুনেই নহর বহিছে ইবলিসি কাহিনায়।
চেয়ে দেখ ঐ চীনের মাটিতে করিছে কী বৌদ্ধরা,
মুসলমানেরে হত্যা করিতে দৈত্য বনিছে তারা।
সহস্র মা ও ভগ্নিরে তারা বিধবা করেই দেয়,
ঘর-বাড়ি পুড়ে সম্পদ সব লুন্ঠন করে নেয়।
হায়রে মাছূম মুসলিম শিশু পাষ-দের হাতে,
ঢলিয়া পড়িছে মৃত্যুর কোলে ছুরি ও গুলির ঘাতে।
ঐ হিংসুক বৌদ্ধরা আজ ইহুদী আস্কারায়,
চীনের মাটিতে মুসলিমদের শূন্য রাখিতে চায়।
আজ মুসলিম বড় অসহায় হামেশাই মজলুম,
আজ মু’মিনীন গমগিন রাহে অন্তিমে অরঘুম।
এত মার খেয়ে কেন হে তবুও কাফিরের মতে মত?
আহা! কেন তাহাদের মুহতাজ রহ হরদমে আলবত?
কেন মুসলিম ইসলাম ছেড়ে, দুশমনি রাহা ধর?
কেন তাহাদের শিকার হইয়া কহিছ তারাই বড়?
কেন কেন বীর ময়দান ছেড়ে ফুর্তি তাগুতি ঘরে?
মৌজে মৌজে বেঁহুশেই গুজে রহিছ অন্ধকারে।
কেন ঐ সবে ইহুদী ফ্যাশনে বেঁহুশ রহিছ হায়?
নৃত্য গান আর নাটক নোবেলে জীবন করিছ ব্যায়।
দেখি, অশ্লীল ঐ কুরুচিপূর্ণ মেলা ও সংস্কৃতি,
মুসলমানেরে মাতাল করিয়া কাড়িছে ঈমানী বাতি।
কেন হে দুস্তি কর মুসলিম খোদাদ্রোহীর সনে?
তারা যে তোমায় কারসাজি করে জাহান্নামেই টানে।
ইহুদী-নাছারা-বৌদ্ধ-হিন্দু তোমার শত্রু তারা,
ইয়াক্বীন রাখিও মুসলিম তুমি হইওনা হতচ্ছারা।
জাগ্রত রাজ তামাম পৃথিবী নহে নহে কৃত্রিম,
আয় ফিরে আয়, আপন দুর্গে অচেতন মুসলিম।
মুসলিম তুমি খোদার খলীফা তোমার দাপট বেশি,
তোমার তাবেই তামাম সৃষ্টি তোমার কদমে ঘেঁষি।
হায়, তুমি নিস্ফল দুর্বল ঘরে রহিতে পারনা রে,
তুমি বীর জাত মুসলিম হয়ে কেমনে রহিছ ফিরে?
তোমার দৃষ্টি শক্তি প্রবল অটল সাহসী চূড়ে,
তোমার বিজয় ধ্বনি প্রতিধ্বনি নিত্যই ঘুরে ফিরে।
তোমার হাতেই পায় শোভা বীরত্বের হাতিয়ার,
তোমার দাপটে কাঁপে থর থর ইবলিস ও দফাদার।
কিসের চিন্তা কিসের ভাবনা পেয়ে গেছি মহাবীর,
পেয়ে গেছি মোরা মুজাদ্দিদ আ’যম নায়েবে রসূলজীর।
তিনি শাহেন শাহ্, কুতুবুল আলম, আউলিয়া সাইয়্যিদ,
তিনি ইমামে আ’যম, ফারুকে আ’যম, মুসলিমী তাহমিদ।
সুলতানুল নাছিরের মুকুট শুভিছে শিরখানি মকবুল,
চমকিছে তাঁর মুবারক তন্ সাইয়্যিদী আহলুল।
ওরে মুসলিম, ঐক্যের ডাক দিলেন ইমামজী,
ত্বরা করে সবে আয় ছুটে আয়, গ্রহ তাঁর মর্জি।
শুনো বিশ্বের মুসলিম আমীর মুজাদ্দিদের বাণী,
দাও ছেড়ে দাও তাগুত প্রীতি ও কাফিরের রিনিঝিনি।
সময় এসেছে লড়াই করার জাগরে সবাই জাগ,
ঐ গাউসুল আ’যম, স্বয়ং তিনিই ইলাহী আল বালাগ।
দাও ফেলে দাও মলাগাড়ে ঐ কাফিরের কৃষ্টি,
শক্ত করিয়া আঁকড়িয়ে ধর সুন্নতি ষষ্ঠি।
মুজাদ্দিদে আ’যম গাউছে পাক-এর নূরানী নির্দেশনায়,
এক কাফিলায় হও জমায়েত কারবালা লালিমায়।
রহে ইনশাআল্লাহ বিজয় মোদের মুষ্ঠিতে স্থির,
ছিদ্দীক্ব আর ফারুক গণী হায়দরী দেখি ফির।
দেখ, সাইফুল্লাহসহ তারিক মুসা ও কাশিমের আগমন,
বীর আইয়ুবীর হুঙ্কার শুনো, মুজাদ্দিদী অঙ্গন।
অপ্রতিরোধ্য অভিযান,
দুরন্ত ঐ দুর্বার ত্যাজে রহে রহে আগুয়ান।
ভয় নেই ওরে ক্ষয় নেই তোর জয় রহে নজদিক,
ঐ মুজাদ্দিদের ছোহবতে পাবে খিলাফত পুরো ঠিক।
আর হেলা নয় বেলা ডুবে ডুবে, দেখ হে মুসলমান,
হাতিয়ার হাতে ঝাঁপাইয়া পর করিও না প্রস্থান।
ঐ ওলমার্ট আর ওবামাসহ তামাম তাগুতি নেতা,
নিশ্চিহ্ন দাও করে দাও, কভু নহে তারা মিতা।
এটাই প্রথম এটাই শেষ শুনো হে কবির ডাক,
মুজাদ্দিদে আ’যম তিনিই কেবল করেন পৃথিবী পাক।
বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০