কাট্টা গোমরাহ ক্বওমী জামাত সহসা পড়ল ধরা,
আহা, দেখি নির্দয় দৈত্য-দানব জঙ্গি গোষ্ঠী তারা।
অহেতুক তারা মারছে মানুষ আত্মঘাতীর বোমে,
হায়, তা-বলীলা বাংলার বুকে খেলতেছে উদ্যমে।
ঐ ক্বওমী খারিজী মাদ্রাসায়,
মানুষ মারার শিক্ষালয়।
অস্ত্র চালনা শিখে নিয়ে,
জঙ্গি-জামাত হয়ে হয়ে।
অফিস আদালত দিচ্ছে গুড়ায় ইহুদী ক্বদম ছুয়ে,
কাড়ি কাড়ি টাকা লইছে এনাম বিকৃতি অভিদায়ে।
হায় রেল, মটর, জাহাজ, বিমান, শিল্প-কারখানা,
ধ্বংস করছে বোমা মেরেই চোরা গোপ্তায় হানা।
জঙ্গি সেজেই জামাত শিবির ক্বওমীরা গোটা দেশ,
চায় সার্বভৌম বাংলাদেশের করে দিতে নিঃশেষ।
ঐ জামাত শিবির ক্বওমী খারিজী সমমনা মিলে মিলে,
রহে ইহুদী মদদে পুরো দস্তুর বাংলাদেশের কোলে।
ঐ জামাত-শিবির, ক্বওমী, খারিজী, জঙ্গি ভয়ঙ্কর,
দেইল্যা, মইজ্জা, মইত্যা, কমিনী হদছেরা বর্বর।
শুনুন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান,
দুশমনদের চিনে নিতে ‘কবি’ করতেছি আহ্বান।
ঐ কোথা সাহিত্যিক সাংবাদিক শিক্ষক প্রফেসর?
শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীসহ কোথায় ইঞ্জিনিয়ার?
কোথায় কৃষক, শ্রমিক, মজুর, উকিল, ব্যারিস্টার?
কোথায় তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ, ছাত্ররা আজিকার?
শুনো ভাল করে, কান খুলে খুলে তপ্ত কবির ডাক,
আমায় তোমায় ঘিরেই রেখেছে জঙ্গিরা ঝাঁকে ঝাঁক।
ঐ ক্বওমী জামাতী জঙ্গিরাই ইহুদীর ইশারায়,
তারা ভারতের ‘র’-এর এজেন্ট কাজ করে বাংলায়।
কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে তাদের গোপনীয় চুক্তিতে,
হায় ইহুদী হস্ত দরাজ সেথায় তাগুতের তুষ্টিতে।
ফের ইঙ্গ, রুশ, মার্কিন ও চীন তারাও অংশীদার,
তারাও চাহিছে বাংলাকে হায় মজা করে লুটিবার।
ঘটে গেল দেখি বিডিআরের বিদ্রোহী রোষানল,
বর্ষে সেনা অফিসার বক্ষে গুলি ঐ যে অনর্গল।
তুলেই দিচ্ছে আমার ভাইয়ের দস্তে মেশিনগান,
আরেক ভাইয়ের বক্ষ ঝাঁঝরা করতেছে শয়তান।
দেখি দেখি ঐ শয়তান হলো ক্বওমী জামাইত্তারা,
ভাইয়ের হাতেই আরেক ভাইয়ের রক্ত ঝরায় তারা।
জাগিয়ে রাখছে সন্ত্রাসী তারা ভার্সিটি চত্বরে,
কৌশলে তারা ছাত্রলীগের কাতারে ঢুকেই পড়ে।
লীগে লীগে ঐ রক্ত বহায়ে হুলি খেলে নিরালায়,
দেখি, ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে ছাত্র শিবির হায়।
সময় এখনও যায়নি ফুরোয় শুনো হে দেশ প্রেমিক,
একাত্তরের গর্জন আজো ইথারে দুলছে ঠিক।
কেন ভয় পাবো কেন চুপ রবো জঙ্গির হুঙ্কারে,
ঐ একাত্তরের হাতিয়ার হাতে ভুলি নাই অন্তরে।
খোদায়ী শোকর করি অহরহ যদিও করুণ কাল,
ক্রান্তি লগ্নে মুজাদ্দিদ আয’ম ধরেন দেশের হাল।
উনার তাশরীফে জঙ্গি জামাত ক্বওমীরা উঠে কেঁপে,
তাদের মুখোশ খশেই পড়ল মুজাদ্দিদের কোপে।
ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম, খলীফা খোদার তিনি হন রহমতি
উনার পরশেই সোনার বাংলা শ্যামলে রহিছে ভাতি।
ঐ তাঁহার কাফেলা আলায়ে আ’লা নকশায়ে ছাহাবী,
উহা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত জানায়ে দিলাম কবি।
মুহাক্কিক সব আলিম-উলামা সেই সে আঞ্জুমানে,
আছে ফক্বীহ, মুহাদ্দিছ, মুফাস্সির মুফতী যে সেইখানে।
সেথা সুসাহিত্যিক, সাংবাদিক আর কবিদের সমারোহ,
রৌনক করে রাখে দরবার ভেসে থাকে বিরহ।
ঐ আঞ্জুমানের আমীল সকল নিবেদিত নাজমুন,
বাতিল নাশিতে ঝাপাইয়া পড়ে স্থল, বাহরুন।
তারা দুর্দম পরম মানিক নকশায়ে বদরী,
তারা সৈনিক উহুদের গুণে রহিয়াছে উর্বরী।
ফের আল ইহসান, আল বাইয়্যিনাত নও নব উদ্যমে,
সত্য মশাল জ্বালিয়ে রাখছে আজ জাহিলের ভূমে।
তাজদীদী ঐ বার্তাদ্বয়েই তামাম বিশ্ব জুড়ে,
সাম্য, শান্তি ঐক্যের ভীত রাখতেছে গুল্জারে।
আজকে দেশের সরকারসহ আওয়ামদেরই বলি,
দৈনিক আল ইহসান পড়, চক্ষু ও দিল খুলি।
দেখতে পাবেই কাহারা জঙ্গি কাহারা মৌলবাদী,
দলীল প্রমাণে দেখাইয়া দেন কারা কুখ্যাত বজ্জাদী।
রে সরকার! থেকো হুঁশিয়ার সেই সে জঙ্গি হতে,
যুদ্ধাপরাধীর না হলে বিচার ঝুলে যাবে অগ্নিতে।
আটত্রিশ বছর পার হয়ে যায় এখন বিচার নাই,
রাজাকার দেখে এখনও কেন ভয়ে থাকি হামেশাই।
তাহলে কি ওদের হবে না বিচার? বলে দাও সরকার,
ধরা ছোঁয়ার বাইরে কী তারা? তদন্ত নাহি আর?
বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬