ওকি দেখা যায়!
মুসলিমাকাশে কারবালা বাজ বারবার চমকায়।
গোটা বিশ্বের মুসলিম কেন ভয়ে থাকে প্রতিক্ষণ,
নাকের ডগায় ম’মিনী খুনেই হুলি খেলে দুশমন।
ইহুদী নাছারা নম নাস্তিক মুসলিমী আঙ্গিনায়,
মোড়লগিরি করছে তাহারা বিলকুল হামিশায়।
হায়, অতীত চেতনা ভুলে গুজরাবো, ধরণীতে কতকাল?
আর কত মোরা জাহানের বুকে গ্রহে নিব পয়মাল?
এভাবেই কী হজম করব ইহুদী অত্যাচার?
এভাবেই কী তাগুতী ক্বদমে হয়ে রব খাকছার?
ওরে ও মু’মিন গহিন বিবেকে ফিকিরে তালাশ করি,
কেন যে এহেন মুছিবতে মোরা বেমালুম দেই পাড়ি।
ও মুসলমান! খুলো হে কুরআন, বুঝে লও ফরমান,
ইলাহী হাবীব দেন মুনাছিব খোদা হতে অনুদান।
সেই রসূলকে ছেড়ে দিয়ে আজ তাগুতী ক্বদম ধরি,
আহা নাছারা নমর কিত্তন খানি বার বার উচ্চারি।
মোরা মুসলিম হয়ে মসজিদে হায় খতীবেরে মারি জুতা,
নাপাক করছি আল্লাহর ঘর নিয়ে যে নিছক ছুতা।
জঙ্গি, মৌল, সন্ত্রাসীসহ বদ খেতাবেই ঝুলে,
হায় তুচ্ছ করছি নিজ তাহজীব কাফিরের ডামাডোলে।
মুসলিম সদা মুখাপেক্ষি রহে আল্লাহর দিকে জানি
সকল কাফির তাগুতের তাবে হার্ষিছে উলু ধ্বনি।
কমবখত সব নামে মুসলিম সেই উলু ধ্বনি সনে,
শরিক রহিয়া, স্বার্থক ভেবে, স্বপ্নের জাল বুনে।
দেখি দুনিয়ালুভি মাওলানাসহ সুশীল বুদ্ধিজীবী,
আহা দুনিয়ার বশে খশাইয়া দেয় ইসলামী খোছরবী।
গত দু’হাজার আট ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে,
ইসলামী নামে মৌলবাদীরা হেরে যায় আনমনে।
সুচ নিয়া পরাজয়,
দেখি মওদুদীদের ভরাডুবি, করে রাখে অক্ষয়।
দেখি জনতা ক্ষোভেই কুঁকরে পড়িল দুস্থ তাকাব্বুরী,
অবাঞ্ছিত ঘুষিল তাদেরে জেলা হতে জেলা জুড়ি।
তারা মুনাফিক জেনে যায় ঠিক তামাম বাংলাদেশী,
দেওবন্দী আর ওহাবী-খারিজী তারাও রহিল ধসি।
হায় জামানত বাজেয়াপ্ত ছি ছি ঘৃণায় মরি,
ওলামায়ে ছূ চুপ হয়ে যায় দুদর্শা খানি হেরি।
দেখি একাত্তরের গণ নিধনেই মওদুদী হায়েনারা,
হায় ত্রিশ লক্ষ গণহত্যায়, হস্ত রাঙ্গায় তারা।
আহা সম্ভ্রমহীন তরুণী কান্না আজো কেঁপে কেঁপে উঠে,
আজো বিধবা, সন্তানহারা কালো ইতিহাস পঠে।
আজকে নবীন কেন ভুলে যাবে সেই সে শোকের স্মৃতি,
কেন ভুলে যাবে মওদুদীদের আজদাহা হুজ্জতি।
এসেছে সময়, বিচার তাদের করতে হবেই হবে,
বাংলা আওয়াম তাকাইয়া রহে অধিরের অবয়বে।
মুসলিম হয়ে আমরা যে হায় কাফিরের পথ ধরি,
খোদার পথে উদাসীন থেকে দেখাচ্ছি হঠকারি।
আজ দুনিয়ার যে দিকে তাকাই মুসলমানের হাল,
করুণ রহিছে মানবেতর জিম্মি তে বেসামাল।
হায় ফিলিস্তিন গোরস্তান হয়ে মিসমার মরুবাগে,
ইহুদী মারছে ফসফরাস বোম মার্কিনি উদ্যোগে।
গাজা জুড়ে হেরি লাশের গন্ধে বাতাস হচ্ছে ভারি,
কেন মুলকে মু’মিন আসেনা গর্জি, উঠে না টনক নড়ি।
পাক আফগান কাশ্মিরসহ ইরাকিও মার খায়,
ইঙ্গ মার্কিন অকাতরে আজ ধ্বংসে নির্ধিধায়।
চল এই বালা হতে মুক্তি লভিতে মদীনায় ফিরে যাই,
মিলাদুন্ নবীর জজবা বিহীন বিকল্প আর নাই।
রসূলে পাকের ইশকে আমরা গরক রহিব ফের,
তাঁর তাবে হয়ে কঠোর হস্তে ধরিব যে শমসের।
আবার ধরায় ফিরায় আনব সোঁনালি ছাহাবা রীতি,
আবার উড়াবো সুন্নি পতাকা জগত রাখতে জ্যোতি।
শুনহে মু’মিন ত্যাগ চাই শুধু করিব না ক্রন্দন,
কারবালা আজো তৈরি রয়েছে একিনানে বন্ধন।
রবিউল আউয়ালে বাণী নিয়ে এল নীলাম্বরীর কোলে,
গোটা মুসলিম তালিম লভিব হৃদি বাতায়ন খুলে।
ঈদে মিলাদের লালাহি বালাগে জেগে উঠি একসাথে,
রসূলী শত্রুর গাত্র চিড়িয়া পুড়াবো অগ্নি রথে।
জারি যে রাখবো মিলাদ ক্বিয়াম মু’মিনের ঘরে ঘরে,
রহমতি জোশে রুহানি সরসে দাঁড়াবো এবার ঘুরে।
করছি শোকর খোদার দুয়ারে মুজাদ্দিদ পেয়ে মোরা,
ঈমান দীপ্ত দস্তুুরে ফের ঐক্যতে রই জোড়া।
ঐ মুজাদ্দিদের তাজদীদী ডাক শুনে লও মুসলিম,
কেবল মিলাদুন্ নবীর ছাকিনায় রহে হুরমতি তাকরীম।
ঐ মিলাদুন্ নবীর পালনেই রয় মুসলিমী বারাকাত,
বারাকাতহীন জীবন তোমায় করে রাখে ফ্যাসাদাত।
রবিউল আউয়াল এল ওরে ভাই সওগাতে ছাকিনা,
রওনকে মোরা গ্রহে লই পুরা এই হউক প্রার্থনা।
বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬