আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৮

সংখ্যা: ১৮৩তম স | বিভাগ:

সাইয়্যিদুল মুরসালীন,

ঐ রসূলে পাককে ব্যঙ্গ করছে কাফিরেরা সীমাহীন।

হায়! ব্যঙ্গ কার্টুন, অশ্লীল গালি নাটক নোবেলে রচে,

ঐ কাফির মুশরিক মুরতাদ আজ উল্লাস করে নাচে।

তারা কুত্তার বাচ্চা বার বার বলে দয়ালু রসূল নামে,

উম্মতি মাতার পূত্ চরিত্রে খোটা দিয়ে বসে ভূমে।

ঐ নক্ষত্ররূপ ছাহাবাগণকে বলছে খল নায়ক,

মূলতঃ এই দুঃসাহসী দুষ্কর্মের ইহুদীরা আয়োজক।

 প্রচারে পতিতা শেরী দি অপন্যাস, রচিয়ে গণলোকে,

 তারা নাছারা হস্তে পাক নবীজীর ব্যঙ্গ ছবিও আঁকে।

চাহে নবীজীকে তারা হেয় যে করতে কদু ও বিড়াল বলে,

ফের নাস্তিক উদীচীরে দিয়ে  গালি দিল হায় হালে। (নাউযুবিল্লাহ্)

আহা! রাজশাহীর ভার্সিটি বুকে মুসলিমি হাজিরানে,

মান্দার নাটকে অশ্লীল গালি উপহাস করে হানে।

ওরে দুনিয়ার মুসলিম সবে! শুন হে খোদার বাণী,

করবে কতল যারাই করল নবীজীকে মানহানি।

যেখানেই পাবে মুনাফিক আর মুরতাদী আশ্রম,

ধ্বংস করহে বংশ তাদের তারা হয় নরাধম।

ওরে ও মু’মিন গমগিন ছেড়ে জেগে রহ ধরণিতে,

ঐ ইবলিসিবাদ কুপোকাত কর, থেমোনারে অজুহাতে।

শুন মুসলিম হাদীছি তা’লীম, ইবলিসিদের নাশো,

নিজ জান-মাল সন্তান থেকে নবীজীকে ভালবাস।

ঐ খোদার রহম মুজাদ্দিদ আ’যম ধরেন ইসলামী হাল,

জাগায়ে রাখেন ছাহাবী যুগের জজ্বাতে উত্তাল।

দেখি সেই মুজাদ্দিদ বাংলাদেশেই হলেন আবির্ভাব,

ওরে দুনিয়ার মুসলিম সবে নেও তাঁর আসবাব।

তোমার মুসলমানিত্ব টিকাবার তরে গ্রহো তাঁর তাজদীদ,

তিনি রসূলের নজরানা হন, শাফায়াতি তাকলীদ।

তিনি আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত গড়িয়া তোলেন ভূমে,

সেই নূরী আঞ্জুমান বদরী জজ্বা যুঝিতেছে তাকরীমে।

ঐ লক্ষ লক্ষ গাজী সমাহার সেই সে আঞ্জুমানে,

নির্ভীক বীরের উপচানো ভীড়, দৃষ্টির নন্দনে।

আজ পৃথিবীর দিকে দিকে রহে বাইয়্যিনাতী বাহাদুর,

তাঁরা তাগুত বাতিল নিস্ত করে দিতে দুর্দমে মঞ্জুর।

আজ রুশদী, দাউদ হায়দার, তাজলিমা নাশিরিন,

চুপসে পড়েছে বাইয়্যিনাতের শাস্তিতে সমীচীন।

নও মুরতাদ উঠল গজেই অধুনা বাংলাদেশে,

উদীচী প্রাচ্য নাট্যগোষ্ঠী ইহুদীর পরিতোশে।

কুত্তার বাচ্চা নবীজীকে কহে গালি দেয় বার বার, (নাউযুবিল্লাহ)

আহা ব্যঙ্গ সহই তুচ্ছের সাথে করিল তিরস্কার।

হায়! হায়! সেই হৃদকম্পিত গালিতে কাঁপছে ধরা,

গোটা মাখলূক নবীজীর শোকে মূর্ছা রহিছে পুরা।

জঘন্য ঐ মুরতাদ কেন এখনও জীবিত রহে?

সৃষ্টিকুলের হৃদয় সাগরে প্রতিবাদী ঢেউ বহে।

ঐ শুন্রে শুন মুরতাদ তোরা! মুজাদ্দিদের ডাক,

তোদের হত্যা করাই ফতওয়া দিলেন সুন্নতি আখলাক।

রহে কুরআন হাদীছে শক্ত করেই ইহাই যে বর্ণিত,

রে কুলাঙ্গার হায়েনার দল শুনে কেন বিস্মিত?

ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম কিবরীয়া বীর তামাম বাংলাজুড়ে,

তাঁর নির্ভিীক মুরীদানদের হুকুম দিলেন ওরে।

কোটি কোটি তাঁর লড়াকু মুরীদ প্রস্তুত প্রতিখানে,

করবেই তাঁরা হত্যা তোদের থাকিসনা যেই কোণে।

করেন পুরো দেশময় প্রতিবাদ সভা হাটে ঘাটে বন্দরে,

ঐ প্রতি গণলোকে নবীজীর প্রেম উথলায় অন্তরে।

শুধু বাংলায় নয় গোটা বিশ্বেই প্রতিবাদী দাবানল,

দাউ দাউ করে উথলায় জ্বলে তীব্রতে অবিচল।

দেখি গণসংযোগ লিফলেটসহ সকল মিডিয়া দিয়ে,

করেন মুজাদ্দিদ আ’যম সচেতন সব মুসলমানেরে কয়ে।

আফসোস! আহা বাংলাদেশের প্রশাসনে আছে যারা,

কেন লেজ গুটে বসেই রইছে, হল কী অন্ধসরা?

ঐ কেমন মু’মিন প্রশাসন তুমি? পারি না বুঝতে হায়!

আহা রসূল পাককে অপমান করে কেমনে রেহাই পায়?

ফের তোমার দেশের মুরতাদরা বাহাদুরী করে বলে,

বারবার তারা মান্দার নাটক করবেই বুক ফুলে।

কেউ বাধা দিলে হত্যা করবে সাঁড়াশী আক্রমণে,

বলে উদীচী প্রাচ্যের বাংলা রহিল লালনের উদ্যানে।

হুঁশিয়ার! ওরে প্রশাসন তুমি হয়ে যাও সাবধান,

ঐ মুরতাদদের ফাঁসিতে ঝুলাও কহিছে মুসলমান।

নইলে মুজাদ্দিদের মুরীদান মোরা তামাম বাংলাদেশে,

পনের কোটি মুসলিম নিয়ে আগুন জালাবো ঘোষে।

ওরে দুনিয়ার মুসলিম সব এসে পর এক ঘাটে,

যে ঘাটে রইছে মুজাদ্দিদের দীপ্ত জজ্বা ফুটে।

দিন তৌফিক আল্লাহ মালিক কতল করতে দিন,

মুনাফিক ঐ মুরতাদদের রাখবোনা আর চিন্।

তব হাবীবের ব্যঙ্গ করার নিব মোরা প্রতিশোধ,

তব লক্ষ্যস্থল মুজাদ্দিদের ফায়েজে লইবো বোধ।

বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯ 

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫১