খামোশ!
ঐ খোদাদ্রোহী! দেখবি রে আজ মুসলমানের জোশ।
মারতে মুসলিম পারবি না আর অহেতুক দিয়ে দোষ,
আমরা মিটাবো এবার তোদের হঠকারী আক্রোশ।
করতে তোদের কোণঠাসা,
খবরদারীর ঘৃণ আশা।
ঐ মুজাদ্দিদ পাই নযদিকে,
হিম্মত লই নূর পাকে।
ঐ ইহুদী-নাছারা নমো মুশরিক হের তোর অন্তিম,
পারবি না আর বাঁচতেই তোরা যত আছ মুজরিম।
জুলুম করার স্বাদখানি তোর সমূলে রাখব জেলে,
মোরা তোদের তরেই জাহান্নামের দ্বারখানি দেই খুলে।
আমরা মু’মিন মুসলমান,
কাফির রাখব বলিস্তান।
তোদের ঠিকানা জাহান্নাম,
শুনে রাখ পয়গাম।
হুঁশিয়ার! তত্ত্বাবধায়ক গোমরা শাসক মুসলমানের দেশে,
হারাম প্রথা জারি কর তুই ইবলিসি উল্লাসে।
ভোট-নির্বাচন, গণতন্ত্র, গান-বাজনা ও ছবি,
চাস নর্তকী আর মূর্তি সাজিয়ে নন্দিতে গুজরাবি?
তোর তামান্না অগ্নিতে মোরা রেখে দিয়ে চিরদিন,
তোদেরে অগ্নি জিঞ্জিরে বেঁধে করবো রে কর্ষিন।
হই আমরা মুসলিম, মুজাদ্দিদের সকলে ফায়িজবান,
মোরা ছাহাবাগণের ছাকিনা নিয়েই হরদম তেজিয়ান।
মোরা পৃথিবী জুড়েই অচিরে আনবো ইসলামী খিলাফত,
তামাম তাগুত তছনছ করে টিকাবো রে আমানত।
মুল্কে দুনিয়া শাসন করা মু’মিনের অধিকার,
তোরা মুহতাজ মু’মিনের হলি, বলে দেই সমাচার।
ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম, ইমামে আ’যম সোনার বাংলাদেশে,
উদিত সূর্য অক্ষয়ি দেহে বিরাজেন বীর কোশে।
তিনি আল্লাহর বীর খালিদ,
তিনি রসূলের খোশ নাহিদ।
তার্কিক তিনি পাক রাশেদা’র,
গোটা মু’মিনের জামিনদার।
ঐ জিন্দা যে তিনি জজবাহি জাতে দস্তুরে পারাবার,
মোরা তাঁর ছোহবতে ধ্বংস করবো ফ্যাসিবাদী জান্দার।
দেখি পাতি শিয়াল, ঐ হিন্দুরা আজ করতেছে বাড়াবাড়ি,
ভীরুজাত ফের ইহুদী মদদে দেখায় যে ঝারিঝুরি।
তারা অযোধ্যা, আসাম, গুজরাটসহ কাশ্মীর, পাঞ্জাব,
সাম্প্রদায়িক দাঁঙ্গায় হায় করে রাখে ছয়লাব।
তারা মুসলমানেরে নিধন করছে নির্দয়ে অহেতুক,
ঘরবাড়ি সব দিচ্ছে জ্বালায়, করে হায় মজবুক।
শুন! চল্লিশ কোটি বীর মুসলিম এখনও ভারতবাসি।
তারা মুজাদ্দিদ ডাকে লড়াই করবে শহীদ হবেই হাসি।
ফের, আড়াইশ কোটি মুসলিম মোরা বসে নেই বিশ্বে,
এবার ঝাঁপায়ে পড়বো হিন্দু মারতে তরিৎ সহাস্যে।
রে দুনিয়ার মুসলিম! সব জিহাদী তা’লিম লও,
মুজাদ্দিদের জিহাদী ডাকেই সামনে এগিয়ে যাও।
প্রতি ইঞ্চি পৃথিবী বক্ষে খুঁজে ধর মুজরিম,
হত্যা কর হে, হায়দারি হাঁকে লভিতে যে তাকরীম।
ফের, ইবলিসি দাস ওহাবী, খারিজী, কাদিয়ানী আর শিয়া,
দেখ মওদুদীসহ দেওবন্দীদের চাতুরী ও তাস্পিয়া।
তারা সকলকে কাফির জানবে, দুশমনে দ্বীন বলি,
তারা যে সকলে নরপিশাচ, তাদের দেবতা কালি।
শুন আজদাহা ন্যায় পেতিœরে কভু ডরে নাকো মুসলিম,
মোরা দুর্দম তপ্ত উল্কা আল্লাহর আকলিম।
ঐ সাপ্তাহিক রাজ শুক্রবার কুরআন হাদীছে ঘোষে,
রে গোমরাহ শাসক! ছুটি করে বাতিল, রাখবিরে উপহাসে? বরদাশ্ত মোরা কভু না করবো থাকতে দেহেই জান,
রক্ত দিয়েও বজায় রাখবো আমাদের সম্মান।
তোর কায়িমি তখ্ত তাবা করে দিতে প্রস্তুত মু’মিীনন,
ব্রাউন, বুশ ন্যায় তুই ‘ফখরু’ও যে হলি আস্ত মুজরিমিন।
ঐ জারজ কন্যা শেরী জোন্স লিখেছে অপন্যাস,
সে কাট্টা কাফির, নারী কলঙ্ক, বেশ্যাতে বিন্যাস।
সে ইসলামী দ্বীন হীন তরে লয় মার্কিনি প্রেরণা,
কু-উদ্দেশ্য পূরণেই লিখে জুয়েল অব মদীনা।
সে উম্মুল মু’মিনীন ছিদ্দীক্বাজীর, পূত্ মুবারক শানে,
আহ্! মিথ্যা অপবাদ লেপন করেই রাখছে আকর্ষণে।
খোদার হাবীব শ্রেষ্ঠ রসূল নূর নবীজীর নামে,
“নারী লোভী” কয় নাঊযুবিল্লাহ্ মার্কিনিদের ভূমে।
ফের ছাহাবী জোশেই কালিমা লেপতে অপন্যাস বর্ধিত,
করে মুসলমানেরে বর্বর আর তুচ্ছতে অঙ্কিত।
উহা বফর্ট বুক্স-এর প্রকাশনায় মার্কিনি মুল্লুকে,
প্রকাশ করল অপন্যাসটি ঘটা করে চৌদিকে।
ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম গর্জেই কন, শুনরে বিশ্ববাসি!
সেই নষ্টা নারীকে কতল করাই ওয়াজিব দিলাম ঘোষি।
সেই কতলকারীকে আমরা দিব অঢেল পুরস্কার,
জ্বলে ঘোষণা শুনেই বনিতা শেরীর কালিজাতে অঙ্গাঁর ।
রে বাস্টার্ড শেরী! নেই তোর নেই ক্ষমা,
যতই থাকিস নাছারা-ইহুদীর বেষ্টনিতেই জমা।
গোটা দুনিয়ার মুসলিম মোরা লড়বোরে এক যোগে,
তোরে টুকরো টুকরো করেই দেব ক্ষুধিত কুকুর ভোগে।
নিস্তার তুই পাবিনা রে আর যতই লুকিয়ে থাক্,
তোকে হত্যা করেই দুশমনদের লাগাবো এবার তাক্।
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দেখবে তোরে,
তিলে তিলে তোরে মারবো আমরা কঠিন ভয়ঙ্করে।
মোরা মুজাদ্দিদ আ’যম, গাউছে পাকের ফায়েজেই দুর্বার,
মোরা অধুনা জাহিলে ছাহাবানুরূপ জেগেছি পুনর্বার।
বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬