সত্যই কহি ঠিক,
বীর মুজাদ্দিদ স্বয়ং তিনিই আল্লাহর আনবিক।
তিনি অপ্রতিরোদ্ধ, ধ্বংস করেন যত আছে যিন্দীক।
তিনি দু’হাত তুলেই আল্লাহর দ্বারে করলেই মুনাজাত,
অমনি কবুল মকবুল হয় নন্দিতে বাশারাত।
মুসলমানের দুর্দশা হেরে কেঁদে উঠে তাঁর প্রাণ,
কেঁপে উঠে তাঁর মুজাদ্দিদের লক্ববের মহাশান।
মজলুম ঐ মু’মিনীন যবে চিৎকারে হাহাকার,
তখন মুজাদ্দিদের ফরিয়াদ শুনি আল্লাহর দরবার।
কহেন- জালিম শাহী ধ্বংস করুন, অ্যায় খোদা রহমান,
আমেরিকা, ইউরোপ, ইসরাইল, ভারত জুলমাতে আগুয়ান।
তাদের ফকির করুন, ধ্বংস করুন, করে দিন নিশ্চিন্,
করে দিন খোদা, তাগুতি চরকে পৃথিবীতে মিছকিন।
করে দিন খোদা, তাগুতবাদীরে আজীবন বেকারার,
যেন করতে পারে না মুসলমানেরে তাহারা অত্যাচার।
ঐ পাক মুজাদ্দিদ শ্রেষ্ঠ আবিদ, তাঁহার বদ দোয়ায়,
দুনিয়াতে আজ গযব নাযিল খোদাদ্রোহীর গায়।
দেখি নিস্তেনাবুদ হচ্ছে তাগুত প্রতি কুলে বেসামাল,
যমীনী আসমানী খোদায়ী গযবে রহে রহে পয়মাল।
দেখি দগ্ধিত দাবানল,
আজদাহা হয়ে জ্বালাচ্ছে ঐ আমেরিকা অঞ্চল।
ঐ লক্ষ লক্ষ হেক্টর ভূমি জ্বালাইয়া ছারখার,
খোদার আদেশে ছাই করে দেয় ভবন বন-বাদার।
সেই সে গযব!
আমেরিকা জুড়ে তা-ব লীলা চমকিছে বাস্তব।
দক্ষিণে প্লাবন ছয়লাব করে, অগ্নি ছোবল উত্তরে,
করে মুল্কে মূলক নিস্তেনাবুদ দর্পেই বিস্তারে।
ঐ খোদার গযব গ্রীবায় দহে প্রত্যেক তাগুতের,
দেখি জব্দ করছে ইহুদী-নাছারা-মুশরিক নমোদের।
গায়ে পরে তারা ঝগড়া বাঁধায় মুসলমানের সাথে,
উগ্রবাদী তোহমত দিয়ে গ্রাস করে অজুহাতে।
দেখি লক্ষ লক্ষ নির্দোষ ঐ মু’মিন মুসলমান,
আমেরিকা হাতে যায় মারা যায় নেই তার সমাধান।
তারা মুলকে মু’মিন হামলা চালিয়ে করছে লুটতরাজ,
ঐ সন্ত্রাসীবাদ গণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে আজ।
তারা বোমা মেরেই ঘরবাড়ি পুরে চালায় নির্যাতন,
ফের মুসলিমাদের সম্ভ্রম লুটে মাতিছে সারাক্ষণ।
করে ইহুদী মন্ত্রে নাছারা ও নমো নির্দয়ী আচরণ,
ফিলিস্তিন ইরাক আফগানসহ চেয়ে দেখি লেবানন।
সন্ত্রাসী করে অর্থ যোগাড়ে ইহুদী চামচা বুশ,
ফের ভারতবাসী হিন্দুর থেকে অহরহ লয় ঘুষ।
হিন্দুরা দেখি চাতুরী করেই মারছে মুসলমান,
মুসলিম খুণে লিখছে তাহারা ভারতের জয়গান।
শুনরে পুতিন মনমোহন বুশ ওলমার্ট গর্ডন ব্রাউন,
তোরা হিংস্র নির্দয়ী, ওবামাও পড়ে সেই গাউন।
শুন! তোদের দম্ভ দফাতে আসেন মুজাদ্দিদ ময়দান,
তোদের খায়েশ খতম করতে তিনি বীর আমানান।
তাশরীফ আনেন তিনি যে তোদের মিটাতে স্বৈরাচারী,
তোরা বদমাইশ তাগুতবাদীরে রুখিতে খবরদারী।
শুন! আল্লাহর দল মুসলিম আজ সংখ্যায় হল বেশি,
ফের মুসলিম রক্তিম আভায় লুফিবে তোদের কশি।
আর দেরি নয় সময় এসেছে ঘনাইয়া আসমানে,
ঐ মুসলমানের দুশমন তোরা তাকা ঊর্ধ্বপানে।
তোর মদদগার ইবলিছ আজ ধরাশায়ী বিলকুল,
দেখ! মুজাদ্দিদ আ’যম দ্বীপ্তিপরম আল্লাহর আহলুল।
সেই সে ইমাম আ’যমে তামাম কহিছি কছম করে,
তাঁর কুওওয়তে অগ্নি হিসিয়া জ্বালায় তাগুতদেরে।
তিনি যে হলেন আল্লাহর লা’লা, জ্বালজ্বালা বাতিলের,
তিনি রসূলের রুতবাহী শান খলীফায়ে খালিক্বের।
ঐ তাঁহার হস্তে রহিছে রহেই আলমি নিয়ন্ত্রণ,
তিনি যে নায়িব ছহিবে ক্বদর নাজাতি আকর্ষণ।
রহম জহম তিনিই দানেন, ছহিবে কাছিম হয়ে,
তাঁর ইশারায় জাগ্ছে ধরায়, হক্কানী প্রত্যয়ে।
গোটা জাহানের মুসলমানেরা মহান খলীফা পেয়ে,
হারানো শক্তি পাচ্ছে ফিরেই ঐক্যের নির্ভয়ে।
ঐ মুজাদ্দিদের দরছেই আজ মুসলিম নও জোশে,
কম্পিত রাখে তাগুতি গঞ্জ, ধ্বংসের পরিহাসে।
আজ দুইশ পঁচিশ কোটি মুসলিম, মুজাদ্দিদী আহবানে,
ঐ জালিম বেনিয়া ফ্যাসিবাদীদের দাবরান বিয়াবানে।
কেবল মুসলমানই বিশ্ব প্রতীক মানব সভ্যতার,
সেই মুসলিম মনে ঈর্ষা করিলে ধেয়ে আসে দুরাচার।
ফকির হইবে গযবে পড়িবে শুনো হে বিশ্ববাসী,
মুসলমানেরে সম্মান কর নইলে রহিবে ফাসি।
ইঙ্গ-রাশিয়া হইলে ফকির এখন হচ্ছে আমেরিকা,
ইসরাইল আর ভারত রইছে সেই পথটায় ঝুঁকা।
বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০