নির্বিকার,
পৃথিবীর বুকেই মুসলিম জাতি কেন খায় শুধু মার?
কেন আজ সবে ধুলির ভবেই বিলাপের গৃহে কাঁদে?
কেন বেদিশার বেড়াজালে ঢুকে দাপড়ায় উন্মাদে।
কেন কেন হায় যেনতেন হয়ে নতমুখে গুজরায়?
রয় বোকা ও বধিরে থাকতে অধীর যাহিরীর ভূমিকায়।
কেন করুণের কাঁটায় বাধা?
ভীতুর আগুনে কেন রাঁধা?
কোথা উত্তর পাবো কোঠে?
কেন ইজ্জত রহে লাঠে?
তবে কী মু’মিন রবে কী হীন আজ জাহিলীর প্যাঁচে?
ঈমান আমল সবই কী হায় বিলায় দিচ্ছে কেঁচে।
মুসলিম হায় মুসলিম গায় গেঁথে দেয় তলোয়ার,
আহা ভাই ভাই মিলঝিল নাই করছে কেলেঙ্কার।
রাখে শত্রুকে ফের দোস্ত ভেবেই জেন্দেগী অস্থির,
আনছে ঘরে আদর করে খাল কেটে হায় কুমির।
মুসলিম কেন মুজরিম হবে কোথা সে ঈমানদার?
হিন্দু ইহুদী খ্রিস্টের কেন বনে আজ চকিদার।
কেন মুলহিদ হয় মুনিব?
কেন মুসলিম বদ নছীব?
ওয়াদা কেন করে লঙ্ঘন?
কেন আখিরাত গোড়ে পতন?
কেন আজ তারা দুশমনি পদে শ্রাদ্ধ দিতেই মজে?
ইহুদী হিন্দু বৌদ্ধ দুয়ারে কেন খয়রাত খোঁজে?
আহা স্বজাতির বেহাল হেরেই প্রশ্নের তীর ছুড়ি,
নেইকো জবাব নই সৎভাব চাদরে দিচ্ছে মুড়ি।
কেন নেকাবের অন্তরালে মুত্তাক্বী দাবি করে?
নিজ ধর্মের গোড়ায় কুড়াল সহসা দিচ্ছে মেরে।
দেখি সংবিধানের সম্মুখ হতে নেই আল্লাহর নাম?
সংসদে যেয়ে মন্ত্রীরা আজ কেন করে গেঞ্জাম?
আজ পৃথিবীর মুসলিম দেশে দ্বন্দ্ব আগুন জ্বলে,
ইসলামী আইন পর্যায়ক্রমে দিচ্ছে সবাই তুলে।
ক্ষমতার মোহে জাতির ঘাড়েই চালাচ্ছে তলোয়ার,
আহা, গোত্রে গোত্রে ফিতনাগ্নি জোরে শোরে ব্যবহার।
দেখি লক্ষ লক্ষ ঘর-বাড়িহীন মু’মিনীন চিৎকারে,
মা ও বোনের আব্রু ছিঁড়িছে হায়েনারা হুঙ্কারে।
কচি কচি শিশু বৃদ্ধ ও আজ গণকবরেই ঠাঁই,
যুবক তরুণ লাশের কাতার অসংখ্য বলে যাই।
পাক আফগান সিরিয়া মিসর লিবিয়া ফিলিস্তিন,
মানবেতরের চরম পাতালে কেঁদে ফিরে মু’মিনীন।
সম্পদ পদ ক্ষমতার তরে ভাইয়ের বক্ষে গুলি,
মারতে কখনও কসুর করেনা হাতিয়ার নিতে তুলি।
কোটি কোটি হায় মুসলমানেরে মারছে মুসলমান,
ইহা দেখে আজ তাগুতপূজারী রয়নারে ব্যবধান।
মুসলিম মাঝে উস্কানি তৈল কৌশলে দেয় ঢেলে,
রক্ত প্লাবনে দাপড়ায় আজ মুসলিম দলে দলে।
রোহিঙ্গা আসামে জ্বলছে আগুন বহুধা ভয়ঙ্কর,
নেই নিরাপদ মুসলিমদের প্রশাসন নড়বড়।
ওই মায়ানমারের হিংস্র শাসক পাষ- শয়তান,
তারা মুসলমানেরে হত্যা করতে উন্মাদে মাস্তান।
দেয় জ্বেলে দেয় ঘরবাড়িসহ জমাজমি সম্বল,
সব বয়সী মুসলিম মারে করে হায় নির্বল।
আসামের সব মুসলিম তারা মজলুম নিজ ভূমে।
সেথাকার সব মু’মিনীন হায় গুজরায় অরঘুমে,
হায় প্রশাসনি পরোক্ষ মদদে হিন্দুরা উঠে মেতে।
হত্যা করছে অগত্যা হায় বিবেকের মৃত্যুতে।
ওই হিন্দু বৌদ্ধ দুই জাতি মিলে দিয়েই বুলডোজার,
করে মাইলকে মাইল মুসলিমাবাস নির্মমে ছনছার।
নেই প্রতিকার, নেই দেখবার, নেই মদদের হাত,
গমগিন বাড়ে নেই সমীচীন, ন্যায্য ধূলিসাৎ।
মুসলিম ঠিক রহিছে অধিক আজ পৃথিবীর বুকে,
তবুও কেন মুসলিম জাতি নির্মমে রয় শোকে?
আহা সরবে নীরবে নির্বিচারেই তাগুতি অত্যাচারে,
অতিষ্ঠ আজ মুসলিম রোজ ঝিমায় আস্তাকুড়ে।
ওই মুজাদ্দিদে আ’যম রহমে আলম দ্বিনীয়াতে রাহগীর,
তিনি ইমামুল উমাম খোদায়ী কারাম শ্রেষ্ঠ মুকাব্বির।
সেই সে হিলাল কামালে কামাল দামালী জোছনা লয়ে,
জাহান যমীন রাখেন কৌলিন সজীবতা প্রত্যয়ে।
ওই আল কালামের তিনি বালাগাল যামানার মসনদে,
তিনি হরদম, রহেন উত্তম, গুজরান ফাহমিদে।
হাজারো লক্ষ বাতিনী বাধাকে চূর্ণ করেই বীর,
ইমামুল উমামী খিতাব গ্রহেণ মহামতি মহামীর।
তিনি সাক্ষাৎ ইলাহী খলীফা শানদার শাহী তন,
সকল মু’মিনে উনার অধীনে খোদে রহি অর্পণ।
উনিই কাসিম কাওছার আযিম ইয়াক্বীন করছি সবে,
খোদার মহিমা উনি রাহনুমা হক্ব কহি বাস্তবে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬