রে বেহায়া দিগম্বর,
তোরা রেজভীরা চোগলখুরিতে আজো রহ বহুতর।
তোরা মিথ্যার তুবড়ি ছুড়ছো মরুর শুষ্ক বুকে,
রহ ফিতনার বিভ্রম জুড়ে সহসা যে নিন্দুকে।
রে মুনাফিক বক ধার্মিক রেযাখানী চামচারা,
দেখিস কচ্ছপ হয়ে মাথা বের করে বাঁচবার পাঁয়তারা।
কর কুৎসিত তোরা পুরোটা বদনে গান্দায় বিচরণ,
বেমালুম তোর যবানে শোভিছে মেকির আস্ফালন।
নেই লজ্জা মজ্জায় তোর নির্বোধি ব্যবহার,
তোরা হামেশাই জমিয়া রহিস বাচালেই বদকার।
তোরা গর্দভ উচ্চার রব মিথ্যা গালিজি বাত,
রঙ্গিলা সেজে বহুধা মোজেই করিস কালাতিপাত।
রে মুখপোড়া ওই খোঁড়া হনুমান চামচিকা রেজভী,
ভেবেছিস তোরা ঢংয়ের নাচনে আওয়ামেরে ঠক দিবি?
তাই তো এবার বললি আবার তোহমত আজগুবি,
শহীদে আ’যম বেরেলভী তিনি দালালিতে রন ডুবি। নাউযুবিল্লাহ!
করেন ব্রিটিশের নাকি বাহুখানি ধরে ভারতে খবরদারি,
মুসলিম সনে বেনিয়া হুকুমে করেন চোগলখুরি।
তিনি নাকি হায় মূর্খ হয়েও মুজাদ্দিদী পদ লয়ে,
ভারতবর্ষ চষিয়া বেড়ান ওহাবী দালাল হয়ে। (নাউযুবিল্লাহ)
রে ভিক্ষুক তুই নিন্দুক হয়ে, পয়সার ধান্দায়,
এহেন নোংরা মিথ্যা কাহিনী বলছিস ফের হায়?
খবরদার!
তোর ঘাড় শির, নহে স্থির, হয়ে যাবে ছনছার।
ওই মহা মুজাদ্দিদ শহীদে আ’যম মহামতি বেরলভী,
তিনি আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল দ্বিনীয়াতি সৌরভী।
গোটা ভারতের তামাম বিদয়াত নিঃস্ব করিয়া তিনি,
হন মুসলিম মাঝে সুন্নত ভেজে খোদ নূরে আসমানী।
তিনি দুশমনে দ্বীন ঘায়েল করতে জিহাদেই গুজরান,
আত্মত্যাগের তিনি মহীরুহ কারবালা আফওয়ান।
রে ধুরন্দর খেকশিয়াল, রেজভী তাহেরী দল,
মুখ সামলিয়ে বলবিরে কথা ওরে খ্রিস্টের মল।
তোরা হিন্দুর দফাদারী করে ব্রিটিশের রেজা নিস,
তোদের গুরুরা গরু বনে করে তোয়াজেই ফিস্ ফিস্।
লজ্জা করেনা? বুক কী কাপেনা? বড় কথা বলবার,
রে বেলাহাজ ধৃষ্টে দারাজ দেই তোরে ধিক্কার?
পালানো লুকানো খাছলত তোরে কচ্ছপ করে রাখে,
তোদের কাহিনী ইতিহাসে আজো খলগিরিটাই লিখে।
ওরে ও হুতুম পেঁচা,
কুফরী পক্ষে দালালী করিস পাইয়া টাকার মোচা।
আমার লেখনি দেয় দেয় ধ্বনি সত্যের সমাচার,
রয় রেযভীরা সব গর্দভি পাল বেহালেই একাকার।
নাঙ্গা ভাষণে কাঁপন ধরাতে দালালী করতে গেলি!
ম্লেচ্ছ যবন অস্পৃশ্যের নাপাক এঁটোই খেলি।
শুনে রাখ দাঁড় কাক,
মোরা বেরলভী মুজাদ্দিদী বীর সচেতনে রহি পাক।
ওই শহীদে আযমী উত্তরসূরি ইমামে মুসলিমীন,
রাজারবাগের মারকাজে রন ইসলামে ছদিক্বীন।
তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম আস সাফফাহ খলীফায়ে আশারীন,
তিনি সুন্নাহর মূর্ত প্রতীক সাইয়্যিদে আলামীন।
উনি হাদীছের দশম খলীফা ইসলামী দুনিয়ায়,
ওই উনি যামানার জামিনদার রহমতে সাকীনায়।
উনাকেও তোরা ওহাবী বলিস? রে চাড়ালের জাত,
শুন! উনি যামানার সুন্নী কাসিম মাদানী আবে হায়াত।
কহি, ওরে বদবখত তোর পীরালীর দীক্ষার খাছলত,
বেগানা নারীকে জড়ায়ে ধরতে দেখায় যে কসরত।
পর্দা ছিঁড়ে আওরত ধরে ঝাড় ফুঁক দিয়ে ফের,
বহু বাহানায় পয়সা কামায় খায়েশও মিটায় ঢের।
এ কেমন পীর যিনাতে অধির দাবি করে হক্কানী?
ছবি তুলে ফের শিষ্যরে দেয় বলে ইহা মহামনি।
আর কত তোরা ধোঁকা দিয়ে যাবি আওয়ামেরে বারবার,
মুজাদ্দিদে আ’যম তাজদীদ দিয়ে তোরে করেন ছারখার।
তোদের চাতুরী ফুতুরে কাঁদছে ধরা যে পড়েই গেলি,
ইমামুল উমামী রোবেই তোদের মুখোশ যাচ্ছে খুলি।
শুনে রাখ ওই নির্বোধ সব রেজভী শিষ্য পাল,
মোরা কোটি কোটি মুরীদান কভু রহিনারে বেশামাল।
মোরা মুর্শিদী ক্বদমেই রহি হরদম হাজিরান,
ধরি মটকাতে ঘাড় দুশমনদের খামচায়ে আচ্কান।
এলো সিয়ামের হাক্বীক্বী তাক্বওয়া হাছিল করতে শিখি,
গাইরুল্লারে গোল্লায় মোরা যাহির বাতিনে রাখি।
ওই রমাদ্বান করে মহীয়ান ওরে আমাদের যিন্দেগী,
সত্যের রাহে হরদম রহি সুন্নী মতোই জাগি।
ওই সিয়ামী রঙেই রঙিন মোরা তাজদীদী দীক্ষায়,
বাতিল সদাই কাহিল রাখতে সচেতন সহসায়।
রে রেজভী গরুরা তোদের গর্ব নিপাতেই দায়িমান,
দেখ্, পাক মুজাদ্দিদ যাহির হয়েই বিজয়ীতে চমকান।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ২১
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪