রবিউল আউয়ালে মীলাদুন্ নবীর, জুলুসে খুশীর ঢল,
জ্বিন-ইনসান, মালায়েক সবে, ঈদ গ্রহে অবিরল।
তাঁহার মাঝেই স্বয়ং খোদা, নিজকে জাহির করে,
ঐ তাঁহার সনেই ইশকি কালাম, হরহামেশাই জুড়ে।
তিনিই হলেন মোদের রসূল, নূর নবী হযরত,
তিনি আল মাদানী, আল আরাবী, কুরাঈশী নিছবত।
তিনি মা আমিনার নয়ন মনি, খাজা আব্দুল্লাহর ধন,
সারা দুনিয়ারে ইসলাম দিয়ে, করিছেন কর্ষণ।
তাগুতি মাথায় বাজ পরে রয়, শয়তানে অস্থির,
শান্তি শক্তি জাগ্রত রহে, ভেগে রহে ত্রস্তির।
সেই সে খুশীর দিনটি যে হয়, শ্রেষ্ঠ ঈদে মীলাদ,
তামাম মাখলুক নবীকে পাইয়া, ঝাড়িতেছে অবস্বাদ।
উদয় অস্ত চন্দ্র বছরে ঘুরে আসে বার বার,
রবিউল আউয়াল, রবিউল আউয়াল, আশিকের উপহার।
সেই উপহার সেরা গুলজার, ঈদে মীলাদুন্ নবী,
সারাজাহানেই জৌলুসে রয়, জান্নাতী আসবাবী।
বেশুমার সব মালায়েক এসে, মীলাদের মাহফিলে,
রহমতেরই প্রবল জোয়াড়, বহায় যে কলকলে।
সবাই তাদের সম্মান করে, নবীর আশিক ভেবে,
ঈমানী কুয়ত তাদেরই বেশী, ইসলামী গৌরবে।
তাই যে ইহুদী কু-বুদ্ধি করিয়া, তাগুতি মদদ লয়,
মুসলিম মাঝে কৌশলে গুজে রহিতেছে নির্দয়।
ছলচাতুরির জাল ফেলে রাখে, মুসলিমী আঙ্গিনায়,
ঐ জালে তারা শিকার করিছে, দু’মুখা যে নিরালায়।
ঐ দু’মুখা হয় ওহাবী, খারিজী, মুনাফিক ইনসান,
তাহাদের দ্বারা ইহুদী বাগায়, দিয়ে রেখে অনুদান।
ওহাবীরে দিয়ে ফতওয়া যে দেয়, মীলাদুন্ নবীই হারাম,
দেখ কুরআন-হাদীছের কোথাও যে নেই, মীলাদের পয়গাম।
নবীর আশিক, ফাসিক বানাতে, উঠে পড়ে লেগে যায়,
আশিকে রসূলের নাম নিশানা, মুছে ফেলে দিতে চায়।
হায়! তাগুতি শাসন ক্বায়িম রাখিতে, ইহুদীর জল্পনা,
তাই ইহুদী ছলের কারিগরীতেই, ওহাবীরা মাস্তানা।
আজিকার সব মুসলিম মাঝে ওহাবী, খারিজী, শিয়া,
ইহুদী ছবকে ছড়াইয়া রহে হয়ে তারা ফৌজিয়া।
নবী আশিকান বাছিয়া বাছিয়া, ধরিতেছে টুটি চেপে,
যেন মীলাদুন্ নবীর মাহফিল খানি, হয়নাকো কোনরূপে।
হাক্বীক্বী ইশকি শওকত আজ, বিয়াবানে রহে লুকে,
হায়! নকল আশিক রহিতেছে ঠিক, তাগুতের চকচকে।
তাগুতি শিখানো বুলিতে লাফায়, অতি সুন্নীর নামে,
মেকি কান্নায় ধরনী কাঁদায়, সুযোগের মৌসুমে।
হায় রে হায়! জাত বুঝি যায়, নাহি আছে প্রতিকার,
খোদ নববী বুকেই ঐ ওহাবীর, ক্ষমতা যে বিস্তার।
মহান খোদার খাছ নিয়ামত, রাহগীরে আফযাল,
মু’মিনের তরে আশ্রয় তিনি, রসূলী রৌশণী লাল।
তিনি খারিজী খবিছী খানখান তরে, উল্কার অবয়ব,
তিনি রেজভী রেসালা রুখসত তরে, বজ্রের মহারব।
ঐ রাজারবাগী মুর্শিদ তিনি, ওহাবীর শির কাটে,
তিনি যে খোদার খঞ্জর হাতে, রহিছেন পৃথ ঘাটে।
ঐ রাজারবাগী ইমামে জাহান, সাইয়্যিদী শাহ্নামা,
তাঁর হুংকারে হোঁচট খাচ্ছে, তাগুতি তিলত্তমা।
তাঁহার দাপটে ধরণী তাগুত কাতরায় বিষাগারে,
ওহাবী খারিজী লুকাইয়া রহে, খেকশিয়ালীর ভিরে।
নতুন ঘটিত ঘটনা কহিছি বাস্তবতার বুকে,
কেমন করিয়া উলামায়ে ‘ছূ’ ওহাবী খারিজী লুকে।
ঐ সিলেট পুরের খারিজী চামচা ভন্ড যে অলীপুরী,
হদস, গো-আযম, মাহি, কমিনীর হুকুমখানীরে স্মরী।
ইহুদী দাসত্বে নাকে খত দিয়ে, চলে আসে ময়দানে,
মুজাদ্দিদের বদনাম গায়, ভুরি ভোজনের তানে।
ফাঁকা ময়দানে ফতওয়া ঝারিছে, আওয়ামের মজলিসে,
হায়! ঈদে মীলাদকে হারাম কহিয়া রাজারবাগীরে দোষে।
সেই হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরেই বাহাছ করিবে বলে,
কহে জনতার মাঝে দম্ভ তাহার রাখিয়া যে উচ্ছালে।
চৌদ্দশ পঁচিশ রবিউল বিশ, হইছে বাহাছ তারিখ,
সেথাকার সব জন গায়ে গায়ে, প্রচারো চলিছে ঠিক।
মহান মুজাদ্দিদ, তিন মুরীদ তাঁর, পাঠান সেই বাহাছে,
ঐ বাহাছ করিতে তারাই কাফি, চুপশায় খন্নাছে।
ঐ তিন মুরীদই বিজ্ঞ মুফতী, শুনিয়া যে অলিপুরী,
মাধবপুরের জমিন ত্যাগিয়া ভাগিতেছে তাড়াতাড়ি।
ঐ মুফতি ত্রয় সিংহের ন্যায়, ফতওয়া দেন খালিছ,
ঐ ফতওয়ায় চুপ হয়ে যায় অলিপুরী তালবীস ।
ঐ লা জবাব সব ইহুদী পোষ্য ওহাবী খারিজী ছাগ,
হবিগঞ্জ সহ পুরো সিলেটই, দখলে রাজারবাগ।
ফের ফতওয়া দিলেন মুজাদ্দিদ, তিনি মুসলমানের প্রতি,
ঈদে মীলাদ পালনকারীরা হয়ে যায় জান্নাতী।
এসো হে মু’মিন ধরণীর গায়ে, এক সাথে পাঠ করি,
ঈদে মীলাদই শ্রেষ্ঠ ঈদ টিকে রাখে দ্বীনদারী।
-শায়েরে আলম, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬