ধর্মবিরোধী কোন আইন পাস করবেনা ওয়াদা করে,
বাংলাদেশের গদিতে বসলে সহসা সেই সে জোরে।
ওহে সরকার!
কেন ভুলে গেলে প্রতিশ্রুতির সবকিছু ব্যবহার?
একে একে কর অনৈসলামিক আইন পাস জোরে সোরে,
বোরকা পড়াতে পারবে না কও, আইনখানি পাস করে।
অশ্লীল সব সিনেমা নাটক নাচ গানে একাকার,
লাভ ইন শাহরুখ নামে নারী ইজ্জত করলো গো ছারখার।
খেলার নামে যুবতী মহিলা বের করে দাও মাঠে,
সংস্কৃতির দোহাই দিয়েই নারীকে উঠাও লাঠে।
দেখাও সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম, উঠাবার ধৃষ্টতা,
তব উচ্ছাস, করলে প্রকাশ, ভ-ামী চাতুরতা।
নূর নবীজী উনার, কটাক্ষ করার সুযোগ দিচ্ছ ওরে,
ওই সংখ্যালঘু হিন্দুরা আজ নবীকে ব্যাঙ্গ করে।
পত্রিকা আর পুস্তিকাসহ নাটকের মাঝে হায়,
আমাদের প্রিয় রসূলের তারা বদনাম করে যায়।
ওরে সরকার! তোমার ছায়ায় থাকিয়া কুচক্রি,
চাহে আমাদের এই সোনার দেশকে করিতেই বিক্রি।
তোমার আমলারা খাবলা মারিছে হিংস্র হায়েনা হয়ে,
আর বাংলার অধিবাসী হায়, রাখিলেনা নির্ভয়ে।
রহে বেশুমার তব চাটুকার চৌদিকে আজ ভারি
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয় টাকার পাহাড় গড়ি।
রাতারাতি সবে ধণী যে হবার নেশায় মত্ত হলো,
দেশটাকে হায় ফুতুর করতে সন্ত্রাস বেছে নিল।
হায়! ধোকাবাজির কঠিন মহড়া রহিছে অগ্রগামী
প্রকাশ করিছে খয়ের খায়েরা নিজেদের ভ-ামি।
দলের দোহাই, কর্মী যে হই আত্মীয় পরিচয়ে,
সরকারকে হায় ফেলছে ধোঁকায় লইতেছে পটকায়ে।
দেখি এবার ভারত ও আমেরিকা, বাংলাদেশকে চায়,
লুট করে নিতে ছলনা আঁকতে দেশময় ঘুরে যায়।
কেন সরকার চুপ করে থাক কোন সে জুজুর ভয়ে?
আঁতাত কি তাহলে করতেই চাহ সোনার বাংলা দিয়ে।
কেন তাহলে ভারতি সাহারা কোম্পানী ঘাটি গারে?
কেন আজ তারা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগখানি করে?
রহে দেশের মাঝেই বড় বড় সব আবাসন ঠিকাদার.
কেন যে তাহলে সাহারাকে ঘিরে ব্যাস্ত যে সরকার।
আজ কেন দেশ হুমকির মুখে হচ্ছে অগ্রসর?
সরকার কেন বিদেশী তোয়াজে হয়ে রহে ভদ্দর।
কেন সরকার করছে উজার নিজকে ভারতী পদে?
কেন হিন্দুর বন্ধু বণীতে রহ রহ নির্বোধে।
দেখি বাংলার নদীমুখ পথে ভারতীরা দিয়ে বাঁধ
পানি আটকায়ে চাথাইতে চায় মরুসাহারার স্বাদ।
টিপাইমুখ ও ফারাক্কাসহ শত শত ফাঁদ পেতে,
বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ফন্দিতে রয় মেতে।
শত শত ওই বাংলাদেশীরে প্রতিদিন তারা মেরে,
সীমান্ত পথ রাখে অবরোধ, বেড়া দেয় কাঁটা তারে।
রহে ভারতীর বিষাক্ত খোঁচা, মোদের হৃদয়ে জেগে,
কী করে সে বন্ধু যে হয়, ভাবতে অবাক লাগে।
শুন! বাংলাদেশী ষোল কোটি মোরা জানবাজ মহাবীর,
ওই হরদম মোরা গুড়াইয়া দেই দুশমনি জিঞ্জির।
আমরা স্বাধীন, নহিকো অধীন, ক্বায়িমী চরণ তলে,
রহে চির সবুজের দেশখানি পুরো দারাজের উত্তালে।
দেখ আজ পৃথিবীর মানচিত্রেই সবুজ বাংলাদেশ,
স্বনির্ভরতায় মাথা উঁচু করে চমকিছে অবশেষ।
একাত্তরে মোরা করেছি লড়াই, বিজয় এনেছি ছিনে,
ওই এখনও আমরা প্রস্তুত আছি বাংলার সম্মানে।
সাবধান! ওরে সরকার, তুমি ধরে দাও গাদ্দার,
নেই অধিকার তাহাদের আর এদেশেই থাকিবার।
সাহারা গ্রুপের আগমন মোরা নিবনা কখনও মেনে,
সে ইস্ট ইন্ডিয়ারই প্রতিচ্ছবি, লইছি ইহাই যেনে।
মোরা এক ইঞ্চিও দিবনা ভুমি, বাংলাবাসীরা ওকে,
প্রয়োজনে মোরা খুন ঢেলে দিই থাকছিনা ভয়ে লুকে।
রে সরকার! শুনো সমাচার আমরা স্বাধীন মুসলমান,
জানি দেশ ভালবাসা ঈমানী অংগ বিশ্বাসী আবাদান।
এ কোন প্রতিচ্ছায়া?
বাংলাদেশের হায়া কেড়ে নিতে ভারত হচ্ছে ভায়া।
না খেয়ে মরছে ভারতবাসীরা দাতা হতে চায় তবু,
ছলনা করিয়া বাংলাদেশীরে রাখতে চাহিছে কাবু।
যেনে রাখ ওই বেনিয়া ভারত, আমরা মুসলমান,
তোর লুটেরা দস্ত গুড়ো করে দিতে হরদম জাগুয়ান।
সোয়া তিনশত কোটি মুসলমানের মহান পাক ইমাম,
শুন! তিনি বাংলাদেশেই অবস্থানেন নির্ভয়ে জানালাম।
বাংলাদেশীরা উনার হুকুমে জীবন বাজীতে রহি,
স্বাধীন বাংলা স্বাধীন রাখিতে কখনই পিছে নহি।
মোরা ভয়ঙ্কর শত্রুর তরে প্রমাণ একাত্তর,
জনম জনম জন্ম ভূমিরে হৃদে রাখি মঞ্জুর।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬