ইমামুল উমাম শাহ সাইয়্যিদ খাজিনায়ে রহমত,
ইমদাদে দ্বীন বীর মুজাদ্দিদ ইমামুশ শরীয়ত।
উনার প্রকাশ বঙ্গে আবাস রাজ বাগানের বুকে,
পৃথিবী তামাম করিতে কারাম সুন্নতী আখলাক্বে।
মুসতাজাবুত দাওয়াত উনিই আজমাতে আবাদান,
খোদ ছহিবে জাব্বার হয়ে জাগুয়ার দীপ্ত অনির্বাণ।
উনার শরীফ করছে তা’রীফ তামাম মাখলুক্বাত,
উনার মাক্বাম দেয় পয়গাম আকবরে হাসানাত।
উনার দুরন্ত ওই দুর্বার তেজে তেজস্বী তাজদীদ,
সত্য আমূল দেখি বিলকুল মখমলে তাছবীদ।
প্রগতি যুগের জাহিলাকাশেই তাগুতি দখলদারী,
হল ধূলিসাৎ কুফরী বেসাত নেই আর জোচ্চুরি।
দেখরে কাফির করে বীর বীর গযবের গহবরে,
বিশ্বাস নাহি দেয় আশ্বাস বেইমানি ব্যবহারে।
ওই বিশ্ব ব্যাপিয়া বাহাদুর ক্বওম জাগিলো পুনর্বার,
ওরা মুসলিম, বিজ্ঞ আলিম, ছাফফাহি আবরার।
ক্ববিউল আউয়াল রহেন উজাল জগতের চৌদিক,
নিমিষেই তিনি নিঃশ্বেষে দেন তাগুতের ইজলিক।
এই পৃথিবীর সব মানবরূপী পশু ও ধুরন্ধর,
রহে ইহুদী নাছারা মুশরিক সবে হাল-গৃহে নড়বড়।
উনি খলীফাতুল্লাহ মুর্শিদে পাক আফতাবে কায়িনাত,
উনি ছিদ্দীক্ব, সদা নন্দিক, ইছলাহী নুজহাত।
তিনি ছহিবে সালিম খোদ তাসলীম মিল্লাতে মুসলিম
রন আগুয়ান, শাহ সুলতান, নিস্ত করে মুজরিম।
দেখি আজকে উনার একচেটিয়া দাপট বিশ্বময়,
বাতিল বাদীরা ভচকায় যায়, নেই এতে বিস্ময়।
জাহিলিয়াতের জালতি ছিঁড়িয়া উনিই জাহান্দার,
দ্বীন ইসলামের তিনিই যে হন সুন্নতী দিপাধার।
উনি মুজাদ্দিদ, গাউছুল আ’যম, আওলিয়া সুলতান,
উনি আওলাদে রসূল, নূরী মকবূল, মাহবূবে সুবহান।
তিনি আলিমে আ’যম দয়ালু পরম রহমী যিম্মাদার,
রহে রুজু আলবত, পুরোটা জগৎ উনারই তাঁবেদার।
গোটা পৃথিবীর বাসিন্দারা শুনে লও বুঝে লও,
ইমামুল উমাম উনিই তামাম উনাতেই সবে রও।
উনিই খলীফা আস সাফফাহ, উনা হতে কাওছার,
মাখলূক্বাতের তকদিরে লয় বিন্যাসী অধিকার।
ওরে ও মু’মিন মুসলমানেরা ছাড় হে মজনুগিরি,
ইবলিসী চাল করিতে বেহাল গ্রহ সবে দ্বীনদারি।
কোথায় মনীব কোথায় নকীব কোথায় রাহনুমা?
রাজারবাগেই মওজুদ তিনি নহে নহে থম থমা।
তিনি তো যোগ্য বিজ্ঞ চূড়ায় মহিত জ্যোতিস্মান,
তিনি আল্লাহর খোদ আহলুল রওশনী সাফওয়ান।
আজ মালায়িক জিন ইনসান উনার যে মুহতাজ,
তিনি নবীজি উনার খাছ খলীফা, রহমতি মিনহাজ।
দেখরে তাগুত, আজকে নিখুঁত, ধরাশায়ী নির্মম,
ইমামুল উমামী রোব যে রহিছে কায়িনাতে দুর্দম।
ওই রোবে ওই নিষ্প্রভ রহে তাগুতের কারবার,
ওই আসমান হতে ফায়সালা নেন আওলিয়া সরদার।
হায়! কেন মুসলিম ইমাম ছেড়ে হচ্ছ হতচ্ছারা?
কেন হে মু’মিন ইবলিস হাতে হচ্ছ ঈমানহারা?
কেন আজ সবে হারামের দিকে ছোট হে পঙ্গ রথ?
কেন নিজেদের তাহযীব ছেড়ে ধরছো কুফরী পথ?
হায় নাটক, সিনেমা, কনসার্ট আর ব্যান্ড শোতে রও মজে,
গান-বাজনায় নাঙ্গা হতে ও নাহি নাহি রও লাজে।
ওই হারাম খেলায় মগ্ন রহিস দোয়াও মাগিস হায়,
টের না পেলি সহজেই তোর, ঈমান চলিয়া যায়।
হায়রে উলামায়ে ‘সূ’ টাকা ও পদে বিলীন করলি তোরে,
মুফাস্সির আর মুহাদ্দিছ হয়ে কুফরী করলি ওরে।
ক্রিকেট খেলায় কর মুনাজাত বাংলাকে জিতাবার,
হলে, প্রধান খতীব হইয়াও তুমি হারামেই একাকার।
বায়তুল মুকাররমের খতীব হয়েই করলিরে মুনাজাত,
বাংলাদেশকে জিতাও আল্লাহ চাস তুলে দুই হাত।
জিতে যায় বেশ বাংলাদেশ, হারুক পাকিস্তান,
বনিবো ক্রিকেট লইয়া, গর্ব করিয়া নামকা মুসলমান।
নাউযুবিল্লাহ! ওই কাঠ মোল্লা খতীব কী হায় বলে?
ক্রিকেট খেলা কী হালাল হলো? বল গর্দভ খুলে।
ওরে ও অন্ধ অর্থ লোভী দুনিয়া আয়েশ পেতে,
হারামকে তুই হালাল বলিস্ ইবলিসী আশ্রিতে।
তুই কিরে আর করলি ফিকির খতীবগিরি করে?
এই বলে কী পার পেয়ে যাবি? কখনই কভু নারে?
শুন! মহান খোদার খায়বরী বীর খলীফায়ে আযমত,
তিনি বাংলাদেশেই অবস্থানেন নিয়ে খাছ সুন্নত।
উনার ফায়েজী ছামিয়ানা তলে আজকের কায়িনাত,
রহমত আর বরকত পায় হরদম হাসানাত।
খয়েরখাঁগিরি দাও ছেড়ে দাও নইলে গোমর ফাঁস,
মুসল্লি সব লইবে চিনিয়া, তুই গুমরাহী ফরমাশ।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬