মুহিউদ্দীন,
তিনি বড়পীর দস্তগীর ইসলামী আমিরীন।
লন চারশ একাত্তর হিজরীতে তিনি তাশরীফ পৃথিবী,
তিনি তথাকথিত ফিতনাকাশেই সাবলীল মহা রবি।
পাঁচশত একষট্টি হিজরী সনের এগারই রবিউছ ছানী,
বিছাল শরীফ লাভ করিলেন মাহবূবে রব্বানী।
যাহির বাতিন প্রতি পরতেই তিনি হন মহারাজ,
তিনি আওলাদ সাইয়্যিদীজাত কুরাইশী মিনহাজ।
তিনি আওলিয়ায়ে আসলামী শির ইমামুত তরীক্বত,
তিনি গাউছুল আ’যম মহান সূর্য শাহানশাহ হুরমত।
তিনিই ষষ্ঠ হিজরী সনের মুজাদ্দিদ মহামতি,
গোটা ধরণী উনারই দস্তে দেন যে যগৎপতি।
ওই রব ও রসূল উনাদের তিনি প্রতিনিধি উজ্জল,
তিনি যামানার ওসীলা খোদার আযমতি মহাবল।
তিনি রসূলী রোশ্নাহী জিছ মু’মিনের ইহসান,
দূর করে দেন বুতপরস্থি নফসানী পেরেশান।
উনার কামালত বড় শরাফত কিতাবেই বর্ণিত,
নিয়ে ইযাযত চাঁদ আফতাব রহিতেছে উত্থিত।
উনার রোবেই কম্পিত রহে তাগুতী তামাম জাত।
উনার দ্বীপ্ত তাজদীদে জাগে ইসলামী দ্বীনিয়াত।
জুলফিকার,
মুজাদ্দি আ’যম দস্তে আলম চমকে বারংবার।
মিল্লাত হতে জিল্লতি আজ খসেই হচ্ছে দূর,
দেখি খরগ হস্ত রহে সমস্ত মুসলিমে বিস্তুর।
আজ বিশ্বের বৃহৎ শক্তি ভেবে রহে হয়রান,
মুসলমানের সৌর্য সকল রহে রহে উত্থান।
ওই ম্লেচ্ছ যবন কাফিরগুলো হয়ে হায় ধোঁকাবাজ,
দেখ হরদম সবে চামচাগিরীতে ব্যস্ত যে বেলাহাজ।
হায় কাফির সকল রহে রশাতল হইয়া যে হিংসুক,
বরদাস্ত তারা করতে পারে না বনে রয় নিন্দুক।
ওই পাক মুজাদ্দিদ আস সাফফা সিতারায়ে সাইয়্যিদ,
দ্বীন ইসলামের তিনিই স্বয়ং সুন্নতি তাজবিদ।
উনিই যে হন শাহ সুলতান আওলিয়া আকরাম,
উনিই যে হন ভবিষ্যতবানী হাদীছের পয়গাম।
উনিই হলেন দশম খলীফা আল বালাগের গ্রহে,
হাদীছ কিতাব খোল হে বাব স্বর্ণাক্ষরে রহে।
সমঝেই লও মুসলিমে কও জেগে ওঠে তাকদীর,
মহান খোদার দয়া যে অপার বহুধা বিভক্তির।
রসূল ও রব উনারাই দেন বিন্যাসে রহমত,
মহা মুজাদ্দিদ হয়ে ফাহমিদ উনাদের মতে মত।
আজ পৃথিবীর প্রতি প্রান্তেই কুফরী খবরদারী,
হয় মিচমার হচ্ছে অসার কুখ্যাত বাহাদুরী।
মুজাদ্দিদে আ’যম মালিকে আ’যম করছেন মুনাজাত,
দুশমনে দ্বীন নিশ্চিন তরে উঠালেন দুই হাত।
তিনি লক্ষ লক্ষ লয়ে মুরীদান সুমহান দফতরে,
করছেন দোয়া কাঁপায়ে আরশ বুলন্দ উচ্চারে।
উনার দোয়ায় পড়ছে নোয়ায় কাফিরের অহমিকা,
উনার রোবেই রইছে রুখেই তাগুতের কুহেলিকা।
ওই তাগুতপন্থী রহিছে গ্রন্থি অগ্নিলাভার গৃহে,
দাপরায় তারা দিশাহারা হয়ে বাঁচাও বাঁচাও কহে।
হায় বন্যার বোমে ধরছেই জমে তাগুতের গর্দান,
দেখ, ভূমিকম্পের সিংহলে ডুবে কাতরায় কাফিরান।
ফের বরফি বৃষ্টি জমাইয়া দেয় কাফিরের কৃষ্টি,
তারা নিজেদের আমলেই লয় গযবের যষ্টি।
ওই যে নষ্ট ইহুদী খ্রিস্ট বৌদ্ধ ও মুশরিক,
মুসলমানেরে কষ্ট যে দেয় বহুরুপে চারিদিক।
হিমায়িত ওই বরফের খাদে মুসলমানেরে ধরে,
নাঙ্গা করিয়া জিন্দাহ দেহটি নিক্ষেপ তারা করে।
প্রাণ প্রদীপ যায় যায় নিভে দু-এক মিনিটে হায়,
এহেন দৃশ্যে উল্লাস করে কাফিরেরা সহসায়।
ওই ইমামুল উমাম গর্জে উঠেন করেন না বরদাস্ত,
ধরা হতে তাই জালিম বেনিয়া করিছেন বরখাস্ত।
দেখি, অত্যাধুনিকের গর্বে ফাটিছে আমেরিকা ইউরোপ,
ফের চীন ও জাপান কোরিয়াসহ রাশিয়াও অনুরূপ।
মোরা মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ দোয়ায় দেখতেছি তাজ্জুব,
হয়, মুলকে কাফির মুল্লুক সহ গযবে ধ্বংস খুব।
রে বেঈমান মুশরিক আর নাস্তিক লও জেনে,
বাঁচতে চাইলে মুজাদ্দিদ উনার নছীহত গ্রহ মেনে।
মুসলমানেরে কষ্ট যে দেয়া বন্ধ করতে হবে,
তওবা করেই মুসলিম হলে মুক্তি কেবল পাবে।
ইহাই সত্য আখিরী কথা যবন গোষ্ঠী তরে,
পার পেতে হলে আয় আয় চলে মুজাদ্দিদী দফতরে।
শুন! তামাম পৃথিবী পরিচালিত মুজাদ্দিদী ইশারায়,
রহমত আর রিযিক বাটেন উনারা যে দুনিয়ায়।
রহমতে রব আওলিয়া সব কুরআনী ফরমান,
রে কাফির ফাসিক ফাজির গোষ্ঠী দেখ দেখ হাজিরান।
–বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬