ঈমানদার,
দুর্বারী তেজে দীপ্ত মৌজে মুসলিম জাগুয়ার।
সত্য নিত্য দিকে দিকে আজ চমকে বারবার,
হুঁশিয়ার ওরে হুঁশিয়ার মোরা ছিনিয়ে আনি স্বাধিকার।
গর্জে তর্জে জজবা রৌজে বাহবা বাহবা লুটি,
মোরা হক্কানী গ্রহী রব্বানী রহি ইখলাছে পরিপাটি।
আলেয়ার ঘুম জ্বালায় পুড়ায়ে করি করি ছারখার,
রহি বিলাসী জীবন ছনছার করে দ্বীনদারে বেশুমার।
লড়ি লড়ি লড়বোই মোরা থোরা থোরা দেই ছুড়ে,
নহি ভুঁইফোর ভাঙ্গি ভীরুতার দোর নববী মহান নূরে।
নহি হয়রান রহি বেগবান জাগ্র জাহাঙ্গীর,
ইবলিসী রোশে রহিনারে ফেঁসে শির সদা রাহগীর।
ওই মুশিরকী সব জিন্দিগি রব, নীরবী আগুনে পুড়ে,
মোরা মুসলিম রহিছি ক্বায়িম নববী সুন্নাহ ধরে।
নহি নড়বড় মোরা বর্বর রুখি ইনসাফী ইজলাসে,
সাম্য শান্ত উদারী কাননে রহি রহি উচ্ছ্বাসে।
মোরা বুজ দিল আর গরমিল ধসে রহিছি অগ্রগামী,
জাহিল কাহিল করতেই মোরা নির্ভীক উদ্যমী।
তামাম পৃথিবী চষিয়া চষিয়া পৌঁছাই দ্বীনি বাণী,
ওই জ্ঞান বিকাশে পর্যটনেই মু’মিনী দীপ্ত ধ্বনি।
হায় হায়, আহা সেই মুসলিম কেন আজ শূন্যতায়?
কেন কেন সবে গুজরায় তবে, জুলমাতে কাতরায়?
কেন হায় কেন, যেনতেন হেন, ছেড়ে দিয়ে আমিরানা?
দফাদার হয়ে পারাবারী ভয়ে শুধু ভোগে ভর্ৎসনা।
নির্যাতিত নিপীড়িত হয়ে বিতাড়িত ভিটা থেকে,
বসতবাড়ী ও মসজিদসহ মুসলিমী চৌপাকে।
দগ্ধ আগুনে দাউ দাউ জ্বলে অসহায় হয়ে দেখে,
নেই প্রতিরোধ প্রতিবাদসহ কী দিয়ে ধকল রুখে।
যায় যায় দিন, মুসলিম হীন, চরম নাজুকী ঘরে,
কোথা সে জজবা কোথা সে বাহবা হাওয়ার বাহুতে উড়ে।
কেন এই হাল, কেন বানচাল, উত্তাল কেন দুর্যোগে?
কেন হয়রানী কেন গোঙ্গানী, জঞ্জাল কেন উদ্যোগে?
হীনম্মন্যতা কেন উদারতা বলে জ্বালায় ভীরুতা জুড়ে,
কেন নেকামিরে আহা বোকামী ভাবেনা শিষ্টতা দেয় ছেড়ে।
মুসলিম বলে রহি রহি হিলে, ভাবি অযোগ্য বারবার,
প্রগতি চাবুকে ক্ষত করে দিয়ে কহে কহে হুঁশিয়ার।
ইসলাম নিয়ে নাক ছিটকায়, আহা আওরতি অঙ্গনে,
মুসলিমা বলে পরিচয়ে চলে প্রগতির প্রথা মেনে।
কিসের পর্দা, কিসের ক্ষমতা, শরাফতা নাহি এতে?
দেখি ওরে চিৎকার করে কহিছে নারীরা সংসদী মজমাতে।
আলিম বনাম যালিমী লড়াইয়ে পৃথিবী উঠছে কেঁপে,
ওই তাগুতি দাপট পাচ্ছে সাপোর্ট সন্ত্রাসী বহুরূপে।
রে দুনিয়ার ঈমানদার খবরদার, শোন ডাকছি পুনর্বার,
ইজ্জত মান বিরানে রেখোনা হও হও দ্বীনদার।
চাও রাহগীর তুমি দ্বীনদারি ভূমে জীবন্ত মেহমান,
আগুয়ান আজ হাজিরান তিনি মহামীর মহা মেজবান।
আজকে খুশি ও জজবার ঢেউ ভুবনে বিরাজমান,
ওই চাহিয়া খুঁজিয়া জমায়েত হও তামাম মুসলমান।
নয় বসে আর কর ছারখার ভীরুতা অলস ও লোভ,
লিল্লাহিয়াত হউক অভিজাত নাহি সাদাকাতী নিষ্প্রভ।
ওই বীর সাদাক্বাত বারাকাতী মীর আমীরুল মু’মিনীন,
তিনি সাইয়্যিদ তিনি জাইয়্যিদ জীবিত রাখেন দ্বীন।
তিনি মুজাদ্দিদ ভেঙ্গে দেন নিঁদ ঢলে নাহি মুসলিম,
তিনি যে নকীব হুসনে গালীব বেমেছাল তাকছিম।
তিনি পাক নূর নবীজী উনার ইরহামী রায়হান,
তিনি রাহবার নির্ভরতার ইনসানী উদ্যান।
সাম্য শান্তি জ্যান্ত কান্তি খলীফায়ে মকবুল,
দশম খলীফা আস সাফফাহ, ছাফ ছাফা কহি মূল।
ইয়াক্বীন কর হে মু’মিন সকলে আমীন আমীনে হেরি,
মুসতাজাবুত দাওয়াত হয়েই হায়াতে রহেন জুড়ি।
অপ্রতিরোধ্য উনার যুদ্ধ শালীন স্বাধীন বেলা,
তিনি ইনসাফ করে আশরাফ সমকাল সৎগুলা।
ইমামুল উমাম লক্ববে কারাম শাহানশাহ তাহমীদ,
সুলত্বানুন নাছীর উনারই শির চমকিছে আফরীদ।
নহে আলা ভোলা ঢুলুঢুলে খোলা, কভু নারে নির্বোধ,
মুজাদ্দিদে আ’যম রহমে আলম তাগুতী করেন রোধ।
ফের উনারই আওলাদ জিন্দাবাদ খলীফায়ে মানছূর,
ধরণীরে তিনি রাঙান জানি নও নূরে আবসুর।
থেকো নারে হীন ওরে ও মু’মিন আয় চলে আয় ফিরে,
ইলাহী রহম রহিছে পরম সুন্নতী দরবারে।
সেই দরবারে বড় আবরার নববী নেওয়াজে ভরা,
সেই দরবার রহে ইজহার আনওয়ারী পারে জোড়া।
রে দীপ্ত ঈমানী চাঙ্গা হতেই, দে ছেড়ে হায়বত,
মুজাদ্দিদি মত গ্রহ অবিরত তিনি মহা হুরমত।
কায়িমী ধান্দা গান্দা ভেবেই আয় ফিরে মুসলিম,
রহি রাশিদা যুগের রেসালা গ্রহিতে সচেতনে তাসলিম।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬