পবিত্র রমাদ্বান,
আহলান সাহলান।
তামাম আলম রহমতে ঘিরে এ মাহেই ইহসান,
তামাম তাগুত বন্দি রহিছে, নাযিল যে ফুরক্বান।
ওই আল কালামের সম্মানে রহে মাস ভরা শওকত,
ওই আল কালামের কোল জুড়ে এলো রহমত বরকত।
মাগফিরাতের খাজিনা খুলিছে ঝর্ণা যে অবিরত,
হিরক রতœ যতেœ ঝরিছে অনাবিল মতামত।
শাহরুল আ’যম,
নাজ নিয়ামতে আলবতে ভরে গোটা আলম হরদম।
আজ মু’মিনের মনোসকামনা পুরো হয় এই মাহে,
জান্নাত আজ অভিজাত নিয়ে হামেশা খুলেই রহে।
পুরো পৃথিবীর স্নিগ্ধ মায়ায় জান্নাতী সমীরণ,
আজ করে পুলোকিত আবহমানের রহমত বর্ষণ।
মিজবান খোদ ইলাহী নিজেই কুরআন শরীফ-এ ফরমান
মুসলিম সবে থাকিয়াই ভবে হচ্ছে ভাগ্যবান।
কবরবাসীও মুক্তিতে রয় রমাদ্বানী ইজ্জতে,
পুরো মাহিনার বাহারি ভূষণে চমকিছে রহমতে।
আল হিলালের রূপালী কিরণে আলোকিত মু’মিনীন,
বন্দেগী রহে জিন্দেগী মাঝে বরকতে সমাসীন।
ওরে ও মু’মিন লও শুনে শাহী দান,
লন তাশরীফ এই মাহিনায় সাইয়্যিদী মেহমান।
তিনি খোদায়ী খায়ের বেমেছাল নূরী নাজ,
তিনি রহমানী রহমত হয়ে বিরাজেন ওলী রাজ।
তিনি সাইয়্যিদী তাহমীদ নিয়ে প্রকাশেন বসুধায়,
তিনি ইসলাহী সমীরণ হয়ে রহিছেন গনগাঁয়।
তিনি রসূলী হয়ে বুলবুলী ধরণীতে আগুয়ান,
তিনি হাবীবী সৌরভী নূরে জাগান মুসলমান।
তিনি তো খলীফা খ্বালিক মালিকী দীপ্তিতে উত্তাল,
তিনি তো নকশা রসূলের পাক মুক্তির বালাগাল।
তিনি মুজাদ্দিদ তাজদীদে দেন নাজাতের নজরানা,
তিনি তো ইমাম তামাম আলমী রৌণকী সামিয়ানা।
তিনি মজলুমী আশ্রয় হয়ে মিটাবেন গমগীন।
তিনি জুলুমের জাল ছিঁড়ে হন অনন্ত আমিনীন।
ওহে মুসলিম! জানো কী তোমরা কে এই মেহমান,
ওহে কমজোর মুসলিম শুনো, কে এই মেজবান?
ওহে পথহারা ঈমানদারেরা লও পরিচয় কহি,
আমি কবি উনার আদনা গোলাম গোপন করিবো নাহি।
দাও মনোযোগ কর না বিয়োগ গুমরাহী দাও ছেড়ে,
শুনো পরিচয়, বলি নিশ্চয়, সত্য কলম নেড়ে।
কুরআন হাদীছ ইজমা ক্বিয়াস চার দলীলের বলে,
ওই সংবাদ আমি লিখছি এবার সত্যের উজ্জ্বলে।
তিনি সাইয়্যিদ আওলাদে রসূল আমীরুল মু’মিনীন,
তিনি খলীফাতুল উমাম পয়গামে দ্বীন রাহবারে আশিকীন।
ইমামী আওলাদ জিন্দাবাদ আবাদুল আবাদী শান,
তিনি হিম্মতি আবে হায়াত, মর্তে ইলাহী দান।
তিনি মিনহাজ, খোদ ইলাজ, হয়ে উদ্ধারকারী,
তাশরীফ আনেন ভূলোকী কোলে টুটাচ্ছেন মজবুরী।
উনার লক্বব, রহে উদ্ভব, খলীফায়ে মানছূর।
তাগুতী তামাশা পৃথিবী হতে করে দেন চুরাচুর,
আজ জগতের তামাম গঞ্জে মানছূরী রোশ্নাই,
রশ্মি রাখেন তাগুত দফায়ে শুনো মুসলিম ভাই।
এসো হে মু’মিন, থেকো নারে হীন, ধরিত্রী ময়দানে,
খলীফাতুল উমাম ডাকছেন ওরে দাও সাড়া আহ্বানে।
তিনি তো তোমায় মু’মিন বানায়ে করে দেন জান্নাতী,
ওরে আয়, ওরে আয় ক্বলবখানা তোর করতেই উন্নতি।
রহে পবিত্র এই রমাদ্বান মাহে স্মরণীতে বহুদিন,
লও খুঁজে লও আল্লাহ তালাশী হক্কানী আবিদীন।
মুসলিম হয়ে কেন আজ তোমরা কাফির হচ্ছো হায়?
কুফরী প্রথা ও পর্বেই কেন নিজকে রাখ ভাসায়?
অমূল্য তোর ঈমানখানাকে হালাক করিস কেন?
সচেতন রহ মুসলিম ওহে গুমরাহ না হও যেন।
শুনো সত্য সঠিক ইলাহী পথে ডাকেন পাক ইমাম,
তিনি ইমামুল উমাম নক্বীবে নিজাম রব্বানী পয়গাম।
আজকে উনার মুবারক রোবে ধরাশায়ী শয়তান,
আজকে উনার কবুল দোয়ায় ধ্বংসিছে কাফিরান।
মুলকে কাফির একে একে আজ গযবের আক্রোশে,
গনগাও আর শহরতলী, রহে রহে নিঃশেষে।
গাউছে সামদানী মুজাদ্দিদে ছানী নূরী আক্বা রাহবার,
পাইবে পার ছোহবতে উনার, নেই এতে নড়বড়।
আল কালাম আর আল হাদীছী মিছদাক্ব হয়ে তিনি,
তাওয়াজ্জুহ দানেন ইছলাহ করেন জাগান মুসলমানী।
এই আক্বীদায়, আমরা সবায়, অটুট রহিতে বেশ,
জমায়েত হই রাজারবাগ শরীফ সোনার বাংলাদেশ।
নেই বাড়াবাড়ি নেই কাড়াকাড়ি নেই আর হাঙ্গামা,
নববী নকশা মারকাজে রহি মু’মিনীন সবে জমা।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬