আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, তামাম বাতিল রহে পদতলে-১০৮

সংখ্যা: ২২৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওই প্রতারক হায় রাজাকার তারা করেছে আবিষ্কার,
হেফাজত নামে আলবত ভূমে সন্ত্রাসে বেশুমার।
করে হেফাজতী সাইনবোর্ড নিয়ে, হেক্বারতে ইসলাম,
চায় তামাম তাগুতি খেসারতে হায় মিটে দিতে ইরহাম।

ভবন ও বাজার দোকানগুলোতে লাগায়ে আগুন তারা,
নিঃস্ব ভস্ম করে সর্বস্ব দৃশ্যতে রহে পুরা।
এমনকি তারা কুরআন শরীফও পুড়েই করল ছাই,
দাম্ভিকতার ধৃষ্টতা দেখাতে একটুও পিছে নাই।

কুখ্যাত ওই জামাত শিবির হেফাজতী ঘাড়ে চড়ে,
তা-বলীলা চালায় তাহারা বর্বরী দুর্বারে।
বর্গি তাতারি গেল গেল হারী বলে দেয় ইতিহাস,
জামাত শিবির অস্থির রাখে দেশময় চারিপাশ।

ফের আহমক শফি,
করে গাদ্দারী পোদ্দারী বেলা কুফরীতে রহে কাফি।
দেখি দেখি মোরা ঢাকা রাজধানী শাপলা চত্বরে,
জমায়েত করে ওলামায়ে ‘সূ’রে জামাতী পয়সা জোরে।

জিহাদ করার ধোয়া দিয়ে তারা আওয়ামেরে ল্যাং মারে,
লেজ তুলে ফের পালালই তারা দুই কাল ধরে ধরে।
আহা মাযার শরীফও ভাংচুর করে গিলাফ করলো চুরি,
দম্ভ করে বললই তারা অলীরা গিয়েছে মরি।

ক্ষমতা থাকলে দেখাতো আজকে কেমন বদলাখানি,
মরলে অলী যায় যায় মিলি ইহাই আমরা জানি। (নাউযুবিল্লাহ)
সাবধান ওরে, বলি আমি তোরে, তোরাই তো খন্নাছ,
তোরা ইবলীসি ছা পোষা হায়েনা, মরদুদে বিন্যাস।

স্বয়ং ¯্রষ্টা করেন ঘোষণা খুলে দেখ কুরআন,
চিরন্তন ওই আওলিয়াগণ আস্ত সাবিস্তান।
ওই শোনরে দুমুখা ওলামায়ে ‘সূ’ চারাল আহমক,
আওলিয়ায়ে শানে বেয়াদবি কর বাঁচবিনা বলি হক্ব।

হায় তোরা মিথ্যা ধোঁয়ায় জারি করিস লংমার্চ,
রসূল ও ছাহাবী উনাদের লয়ে কর ফের সাত পাঁচ।
রে মূর্খ জাহিল আহমক শফি মুখটি সামলে বল,
পনের কোটি মুসলিম তোর খুলে দিবে কূট খল।

রে ভ- ন্যাড়া, হয়েছিস বুড়া, খায়েশ মিটেনি তোর?
পয়সার লোভে ঈমান খোয়ালি, হলিরে বিশ্ব চোর।
তুই যাবি যা, জাহান্নামেই, আপত্তি নেই কারো,
কিন্তু আওয়াম দিবি না ধোঁকা হুঁশ করে শোন আরো।

গজব তোদের রাখছে আজব,
সত্য যে তাই কহি বাস্তব।
নেই এতে কোন সন্দিহান,
একথা সত্য দ্বীপ্তিয়ান।

করেন আল্লাহ উনার ইসলাম তিনি হামেশাই হিফাযত,
ওরে ও ঠক আহমক নেই তোর উজরত?
পনের কোটি মুসলিম আজ তোরে দেয় ধিক্কার,
কেমন করেই কুরআন পুড়ালো কলিজা কাঁপেনা তার?

কাট্টা কাফির মালউন সে, রায় দিলো ইসলাম,
বিশ্ব বেঈমান খ্যাতিয়ান বেলা প্রথমেই তার নাম।
আজ বাংলার আপামর সব জনতারে দেই বলে,
তওবা করে আয় আয় ফিরে পিছনে যেয়োনা চলে।

দিলেন সওদা, মহান খোদা, আজ ফিতনার ভূমে,
পাচ্ছে মুসলিম সুন্নাহ তা’লীম নাজুকের নিজঝুমে।
মহান আলিম সেই সে তা’লীম দেন যে অনর্গল,
তিনি ইমামুল উমাম ঈমানি আওয়াম ইহসানী আজমল।

আওলাদে রসূল মকবুল তিনি বুল বুলে সুবহান,
তিনি রসূল উনার নূরী আতহার আওলিয়ায়ে সুলতান।
তিনি মুজতাহিদ কামিলে নাহিদ ওয়াহিদে কামিলদার,
তিনি মাসনূন খায়রুন হয়ে কায়িনাতে ইযহার।

মহা সম্মানী তিনি ইসলামী শারে’ শোনরে মুসলমান,
ওই গাদ্দারে কাফি আহমক শফি ইহা শুনে হয়রান।
তাই তো যে হায় ধরা খেয়ে যায় লংমার্চ করে শেষে,
পাক মুজাদ্দিদী রোবের দাপটে আহমক যায় ফেসে।

ঝারিঝুরি তার হলো ছারখার জেনে যায় জনগণ,
লংমার্চ করা কুফরী রেওয়াজ মুজাদ্দিদী বর্ণন।
আরো শুনে লও জেনে লও ওই বাংলাদেশের সবে,
মহাসেন নামক গজব এসেছে কুরআন পুড়ালো যবে।

পুরোটা দেশেই রইতো যে ভেসে মহাসেন দুর্যোগে,
কঠিন গজবে গ্রেফতার হতো রইতো যে দুর্ভোগে।
কেবল মহান মুজাদ্দিদ উনার মুবারক সম্মানে,
মহাসেন তার ক্ষীপ্র ছোবল বিকলে রাখলো এনে।

আলহামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, কহো কহো সবে আজ,
ওই রাজারবাগেই শোভিছে উনার মহামতি মারকাজ।
শোনো শোনো বালাদেশের ক্ষমতাসীন, জনগণী সরকার,
কাট্টা ইহুদী হেফাজতীসহ জামাতী ছেড়োনা আর।

ওরা কাল সাপ, ছোবল মারতে, সুযোগ খুঁজতে থাকে,
অটল রহিবে সবল হস্তে হামেশা বাংলা খাকে।
তাদের তরিৎ ফাঁসিতে ঝুলাও মুজাদ্দিদী নির্দেশ,
সোনার দেশে আসবেই ভেসে শান্তি যে অবশেষ।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৬

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৭

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৮

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৯

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৪০