আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকদের হাক্বীক্বত গেল খুলে (১০৪)

সংখ্যা: ২২০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুহররম মহান নূর,
ওই নূরে সব তাগুতী ফিতনা ভেঙ্গে রহে চুরাচুর।
আশূরা মিনাল মুহররমেই অনেক কাহিনী ঘটে,
সৃষ্টিরাজির বিকাশ প্রকাশ শৃঙ্খলে রহে ফুটে।

রয় বুহ শিক্ষার অধ্যায় হয়ে আশূরা জীবন্ত,
কুরআন হাদীছ ইজমা ক্বিয়াসে কহিছে অনন্ত।
রে মুসলমান বাঁচাও ঈমান আশূরা কাহিনী শুনে,
ওই আশূরা মহৎ, বড় ইবরত লওগো হৃদয়ে বুনে।

হযরত ইমাম আলাইহিস সালাম রসূলী নয়ন মণি,
তিনিই স্বয়ং ইসলামী ধন মহামতি রহমানী।
জিহাদ করেন সত্যের লাগি নিজকে উজাড় করে,
আপন বুকের রক্ত দিয়ে দ্বীনকে রাখেন ধরে।

ওই পরম প্রিয় সন্তানসহ আত্মীয় লয়ে তিনি,
কারবালা কুলে হলেন শহীদ জাগায়ে হক্বের ধ্বনি।
ওই কাট্টা কাফির ইয়াযিদী দম্ভ করে দিয়ে চুরমার,
তামাম পৃথিবী উজাল রাখেন সুন্নতে খ্যাতিয়ার।

সুন্নতী শান রেখে আগুয়ান সহসা সত্য ভূমে,
দ্বীন ইসলামের কিমিয়াত হয়ে রহেন শীর্ষে জমে।
হায় পাষ- ইয়াযীদ বাহিনী পাক হযরতী গলে,
চালায় ছুরি করে নারে দেরি কাঁদলো জগৎ কুলে।

সেই ইতিহাস এখনও বিকাশ পূর্ণ জজবা গেঁথে,
প্রতি মু’মিনের দীপ্ত প্রাণের নিয়তি প্রমাণ সাথে।
তবে কেন আজ মুসলমানেরা কাফিরের হাতে হায়,
মার খেয়ে খেয়ে রহে নিস্তেজ প্রগতির বসুধায়।

চেয়ে দেখ সবে বাংলাদেশের সবুজ শৃঙ্গ চূড়ে,
ভালো করে শোনো কাহার আওয়াজ দীপ্তিতে উচ্চারে।
সেই সে ডাকেই যায় শোনা যায় কারবালা কল্লোল,
সেই সে পথেই যায় দেখা যায় ইসলামী শোরগোল।

সেই সে পথেই পায় ফিরে পায় মুসলিমী অভিজাত,
সেই সে পথেই জজবা জুটছে জিহাদের নুজহাত।
আজ ঈমানের বিকল বেলায় ওই ডাকে জাগ্রত,
আজ তমিজের রুগ্ন শিফায় ওই ডাক অন্তত।

সেই সে ডাকেই পুরো মুসলিম হীনতারে দেয় ছেড়ে,
সেই সে ডাকেই প্রতিবাদী হয়ে গর্জিলো নড়ে চড়ে।
শোন শোন সবে মুসলিম ভবে কে দিল ডাক খানি,
তিনিই হলেন শাহ সাইয়্যিদ নূরে নূর ইহসানী।

আজকে উনার জ্বালাময়ী রোব ধ্বংসিল কুফফার,
তামাম তাগুত তাবার গর্তে সহসাই সংহার।
আল বালাগাল কামালে কামাল সাইয়্যিদী মহামীর,
তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম রহমে আলম সুন্নতী রাহগীর।

আল কালামের দীপ্তি তন দ্বীনদারি আনোয়ার,
তিনি হাদীছের হাদিয়া খনি দ্বীনিয়াতি সরদার।
শোনরে মু’মিন দেখরে আমিন নয়নী মুখোশ খুলে,
আজ কঠিনের কারবালা লাল চমকায় আদলে।

সেই সাইয়্যিদ জ্যান্ত নাহীদ ওয়াহীদে হাছিন জন,
উনার তরেই রহমত ঝরে জগতে প্রতিক্ষণ।
শোনো! তিনি আওলিয়া সাইয়্যিদী, বরকতী মেহমান,
তিনি মহীয়ান, আল্লাহ উনার, মাহবূবে ইরফান।

তিনি যে মহান খলীফা হয়েই তাশরীফ দুনিয়ায়,
ওই দ্বীন ইসলামের ঝা-া উড়ান সুন্নতে সহসায়।
তিনি তো কেবল বাতিলের সাথে কখনই কোন দিন,
ছাড় নাহি দেন, সত্য বলেন হামেশা আপোসহীন।

খলীফায়ে আছ ছাফফাহী তাজে চমকে উনার শির,
তাগুতী তখত তড়পায় হায় হিল্লোলে অস্থির।
মিলছে সুযোগ, ছেড়ে দুর্ভোগ আয়রে মুসলমান,
পাক মুজাদ্দিদী ছোহবত লও নাহি থেকে পিছুয়ান।

সেই মহাবীর ইমামুল উমাম তিনি দেন নির্দেশ,
কারবালারই শিক্ষা গ্রহিও সবে আজ অবশেষ।
ওই কারবালা বিনে মুক্তি মিলে না শোনো হে ঈমানদার,
শিরখানি দাও ঈমান দিওনা শুনে লও সমাচার।

উনার উক্তি ঈমানী শক্তি ইহা মহা আমানত,
নষ্ট করনা গাফিল থেকনা শুনে এই ইবারত।
ইমামুল উমাম কহেন তামাম মুসলিমী অধিকার,
গোটা আলমের খলীফা মু’মিন নেই এতে ধিক্কার।

আয় আয় ভাই মুসলিম আজ ঐক্যের ময়দান,
কারবালা গুণে গুণী হও সবে মুজাদ্দিদী ফরমান।
কারবালা পাক ইমাম উনার ত্যাগের দীক্ষা নিয়ে,
মোরা জাগ্রত রহি সুন্নী ভূষণে হিম্মতি প্রত্যয়ে।

আশূরা মিনাল মুহররমে ওই মুসলিমী ক্বওম সবে,
রহি পুরোদস্তুর বাতিল ঘায়েলে মঞ্জুরী গৌরবে।
কঠিন শপথ লইবো তাবৎ মুজাদ্দিদী মারকাজে,
তাওয়াজ্জুহ ফায়েজ গ্রহিবো উনার হক্কানী প্রতি কাজে।

মোরা মুসলিম জাতি রহি উন্নতি হামিশা জগৎময়,
কে পারে নিতে হায় হায় কেড়ে দিবনারে প্রশ্রয়।
সত্য এলো যে,  মিথ্যা বিদায়, ফুরকানি ফরমান,
করছি মু’মিন ইহাই ইয়াক্বীন আবাদুল আবাদান।

-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬