আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৮৬

সংখ্যা: ২০২তম সংখ্যা | বিভাগ:

দণ্ডাঘাত!
করিবার লাগি প্রস্তুত রহে মুসলিম কায়িনাত।
কাফির ফাসিক মুনাফিক নাশে রহিছেই হুঁশিয়ার,
জীবন মরণ সৌর্যে বরণ প্রতি পাতে জাগুয়ার।

ওই আল হিলালের বিজয়ী শান,
হরদম হেরে মুসলমান।
অভিমান সব খান খান করে সামনে এগিয়ে চলে,
ইসলাম তরে আঞ্জামে আজ সবে রহে উত্তালে।

শুধু হুঙ্কার নহে ফুৎকার, হাক্বীক্বী জজবা গ্রহে,
ঈমানদীপ্ত মাহফূজ হয়ে আনুবীকী ঝড় বহে।
ওই উলামায়ে ছূ হিজড়া ধরে,
অশ্লীলতায় দিচ্ছে ছুড়ে।

খিলাফত ফের জাগ্রত লাগি মুসলিম উঠে ফুঁসে,
গোটা কায়িনাত দিবারাত ধরে হামেশা রহিছে চষে।
আজ পৃথিবীর প্রতিকূলে,
ওই কুরবানী ঈদ হলে।

জানাইয়া দেয় ত্যাগের তপ্ত হিম্মতি অভিষার,
মুসলিম শুধু বাঁচতে জানে নির্দেশে আল্লাহর।
ওই নববীর নূর আলম জুড়িয়া করে রাখে রোস্নাই,
ওরে ও কাফির নাহি সি’র মুসলিম ভীতু নাই।

প্রতি ধমনিতে সিঞ্ছন রহে উজ্জীবনের গতি,
প্রবল পৌরুষ নহেকো নিরস মু’মিনী বক্ষ ছাতি।
শুন পৃথিবীর মধ্যমণী পবিত্র ঘর কা’বা,
সময় আজ নির্ণয় করে বিশ্বাসে বাহবা।

হচ্ছে চালু কেএমটি,
সঠিক সময় রয় ফুটি।
জিএমটি রয় ভুল,
গলদ যে তার মূল।

করছে প্রমাণ মুসলমান কাফিরদেরই চমকাবার,
জ্ঞান বিজ্ঞানে রয় আগুয়ান বলছিরে ইযহার।
দেখ ইতিহাস লও বিশ্বাস নেই এতে উপহাস,
মুর্খ তাগুত হইয়েই ভূত চুপসিছে বদমাশ।

রে ওই বিশ্বাসী, সর্বনাশীরা কখনো সফল নয়,
মুসলিম জাত সেরা বারাকাত কামীয়াব নিশ্চয়।
আজ তিনশত কোটি মুসলমানের একক ইমাম যিনি,
তিনিই হলেন মুজাদ্দিদ আ’যম রসূলী নয়ন মণি।

ওই উনার তাজদীদ সত্য তাক্বিত ইসলামী তলোয়ার,
অলঙ্ঘিত নিশানায় তিনি কাটেন কুফরী ঘার।
তিনি সাইয়্যিদ কামিলদার,
তিনি নন্দিত জামিনদার।

তিনি খোদ যম ইবলিসের,
তিনিই শক্তি মুসলিমের।
ওই উনার ফায়েজে মুসলিম আজ সচেতন চৌদিক,
দুশমনে দ্বীন তাবা করে দিতে সবে বনে আণবিক।

পৃথিবীও আজ গর্বিত রহে পাক ইমামের নূরে,
খিলাফত ফের অচিরেই এলো তামাম শত্রু মেরে।
বেমেছাল ওই পাক মুজাদ্দিদ সাইয়্যিদী বাহাদুর,
নির্ভীক উনার হুঁশিয়ারি বাণী আলমেই বিস্তুর।

তোলপাড় করে হাহাকারি ভরে কাফিরের অন্তর,
অমানিশা হায় বেদিশা গর্তে কেঁপে রহে থর থর।
ওই দ্বিপ্রহরাজ সূর্যচ্ছটা ঘিরে রাখে পৃথিবী,
দ্বীন ইসলামের সৌর্য সাহানা উত্থিত আকরাবী।

রে দুনিয়ার মুসলমানেরা লও তাজদীদী আলো,
ভিতর বাইর দুশমন ধরে নাশিবার দ্বার খুলো।
গমগিন সব হীন করে আয় ইমামী সবক নিতে,
ছুটো, লুকিয়ে থাকা মুনাফিকদের হত্যা করিয়া দিতে।

ওই কানা দাজ্জালী শিষ্যদের,
আস্কারা আর দিওনা ফের।
নিয়ে ঈমানের নূরী শমসের,
ওরে ও মু’মিন হওরে বের।

রেহাই দিওনা কাউকে আর যবে না ঈমান আনে,
মহা মুজাদ্দিদ দীপ্তিতে রন আরশি দৃষ্টি দানে।
প্রতি মুসলিম মহা তামিম সাহসী যোগ্যধার,
কাফির কতলে পিছপা নহেকো প্রগলভী উল্কার।

বিশ্বাসী মোরা তামাম পৃথিবী মুসলিমী অধিকারে,
অবশ্যই ওই খিলাফতী ঝাণ্ডা দেখবো জগৎ জুড়ে।
বিশ্বটা আজ দস্তে মু’মিন, শুন কাফিরের দল,
লয়ে মুসলমান কারবালা শান রহে সদা উজ্জ্বল।

ওই ইমামে আ’যম সাইয়্যিদী বীর মহান মুজাদ্দিদ,
দেখায়ে দিলেন আল্লাহর নূরে বিজয়ের তাহমিদ।
ইনশাআল্লাহ! জলদি জাহির ইসলামী খিলাফত,
তাগুতি তখ্ত তছনছ করে ফিরে এলো আলবত।

আজ মুসলিম রহীমী রহমে রহিছে অপরিসীম,
ওই রহমই পাক মুজাদ্দিদ বিশ্বাসী আকরিম।
খোদার জগৎ খোদার মতে রহিবেই চিরকাল,
মুসলিম ইহা বিশ্বাসে নিতে কভু নহে বেসামাল।

-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৫

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৬

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৭

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৮

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৯