দস্তাবিজ,
মাহে মুহররম রহিছে পুণম জয়লাভে তাজবিজ।
কভু মুসলিম নহে নিজঝিম পৃথিবীর পাদ দেশে,
বীর বাহু সবে মীরসাহু গ্রহে রহে রহে বিন্যাসে।
ওরে মুসলিম জানাইয়া দাও ম্লেচ্ছ যবনদেরে,
শিরে দস্তার রবে বিস্তার মুসলিম বেশুমারে।
রহে দাণ্ডাল সত্যে উজ্বাল সভ্যের মহাচুরে,
নহেন হে ভীরু হিম্মতে পুরু সার্বিক দস্তুরে।
গ্রহিছে শপথ মুহররমে,
লভিছে তাবৎ তাকাল্লুমে।
হিমাদ্রী ন্যায় ইস্তিক্বামত,
দেয় দীক্ষা হরযাবত।
মুহররম দেয় কারবালা কুল মহিয়সী মহারোজ,
মুহররম দেয় হরবেলা মুল উর্বশী রুহি ভোজ।
হক্ব নাহক্বের তফাৎ প্রমাণে কারবালা তাশরীফ,
মুসলমানেরা লহে সালামতি ভুলে যায় তাকলিফ।
আখলাক্বে দ্বীন পুরো আলামীন মুসলিমী অভিজাত
সওগাতি শানে রহে আগুয়ানে ফুটে উঠে তাহারাত।
ইত্তিহাদের ইক্তিদায় মুসলিম রহে উঁচু হালে,
ইমতিয়াজের ইবারতেই জামায়েত হয় দলে দলে।
অস্পৃস্য রয় গণলোকে,
ওয়াস ওয়াসা দেয় ফাঁকে ফাঁকে।
চুপে চুপে ফের ধুখে ধুখে,
রহে শয়তান মহা দুখে।
ওই মুহররম দেয় হিম্মতি জোশ ইলহামী বারাকাত,
শান জৌলুস মুসলিমী হুঁশ বর্ষিছে কায়িনাত।
আম খাছ সব ঈমানদার, নেই এতে বাড়াবাড়ি,
কামিলদার ওই কারবালা দেয় কামিয়াবী পুরোপুরি।
সদা ইসলাম রহে যৌবনে কারবালা মজলিসে,
প্রতি কারবালা দানিছেই লালা জিন্দিগী ইজলাসে।
প্রতিটি ত্যাগের তামান্নায় শুধু ডেকে আনে কামিয়াব,
প্রতিটি দিকেই দস্তুরে রহে কারবালা মাযহাব।
পেয়েছি আমরা মহান ইমাম আওলাদে মুস্তফা,
পেয়েছি আমরা নির্ভীক শির খলীফায়ে ছাফফা।
পেয়েছি আমরা মুজাদ্দিদে আ’যম আহকামে দ্বীনিয়াত,
পেয়েছি আমরা সাইয়্যিদী বীর মহামতি সওগাত।
ওই তিনিই হলেন শাহ সাইয়্যিদ আমাদের মুর্শিদ,
আমরা উনার রিজায়ীতে লই জিহাদের তামহীদ।
মাল ও জান করছি উজাড় উনার ইশকে ডুবে,
উনার ইশকে রসূলী ইশক রহিছে হামেশা তাবে।
রসূলী ইশকে ইলাহী ইশক ছহী মতে ইয়াক্বীনান,
গচ্ছিত রহে অন্তরি গাহে নেইকো সন্দিহান।
কোথা সে মু’মিন কোথা সে আমিন কোথায় মুসলমান,
মুজাদ্দিদে আ’যম দিয়েছেন ডাক রহিতে ঐকতান।
ওরে ও মু’মিন তোমার জাবিন মুজাদ্দিদী মহান শান,
শুনো তোমার জীবন করিবে যতন সুন্নতে বেগবান।
ইবনে খালিদ ইবনে কাসিম স্বয়ং হইবে তুমি,
ওই তুমি হায়দারী জুলফিকারেই রহিবে অগ্রগামী।
গণি ও ফারূক ছিদ্দীক্বী জোশে অন্তর রবে ভরা,
ফের বদর ওহুদী জিহাদী ঝাণ্ডা তোমরা রাখিবে খারা।
সুন্নতি দস্তার,
মুজাদ্দিদ শিরে চমকিছে উহা দফাইয়া আন্ধার।
কারবালা ডাক দিকে দিকে,
বাতিল রাখিয়া ফিকে ফিকে।
লুকে লূকে ওই তাগুত কাঁপে,
ধুকে ধুকে রয় বিরান দ্বীপে।
খলীফাতুল উমাম তাশরীফ আনেন পৃথিবীর ময়দান,
তামাম বাতিল জখমে কাহিল রাখিলেন মুর্দান।
তিনিই হলেন ইমামী তনয় আজ যামানার চুরে,
তিনিই হলেন রসূলী রিহাল সাইয়্যিদী রিস্তারে।
আল কালামের মিছদাক্ব তিনি আল হাদীছের পাঠ,
সুস্থ সবল দ্বীন ইসলাম জিন্দা রাখেন মাঠ।
উনি দিলদাদ লখতে জিগার রসূলে পাকের তূর,
উনি যাহরার রব্বানী রাজ নববীয়ে মনছূর।
রহেন শাহে কারবালার হইয়া ওয়ারিস হক্কানী দূর্বার,
এলেন করতে নব্য ইয়াযীদি রাজ্যকে ছারখার।
মুহররমের মকবুলে আজ মুসলিম প্রতি দেশে,
জজবাহী জোশ গ্রহন করিছে প্রতিবাদী প্রত্যাশে।
আল হিলালের নববী ঝাণ্ডা বীর মনছূরী হাতে,
পত পত উড়ে নূরী সোচ্চারে সুন্নতী ইচ্ছাতে।
দীক্ষা লওরে বিশ্ববাসীরা মুহররমী সওগাতে,
বীর মনছূর দিয়েছেন ডাক কারবালা সওলতে।
তিনি কামিয়াবী সূর্য হয়েই প্রকাশ পৃথিবী পার,
তিনি তওসীফ রাহে হিদায়াত সত্যের গুলজার।
বিশ্ব ইনসান রও আগুয়ান মনছূরী উদ্যানে,
মিলবে সেথায় দ্বীপ্ত সফল নন্দিত আহলানে।
শব্দার্থ: দস্তাবিজ: দলীল, তাজবিজ: জারি, সওলাত: প্রচণ্ডতা
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬