ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৭১ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

রিয়াদ্বত-মাশাক্কাত ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আযম রহমাতুল্লাহি আলাইহি (৬)

 

খতীব বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, হযরত যায়েদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি একদিন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে পবিত্র ইশার নামাযে শরীক হলাম। পবিত্র নামায শেষে লোকেরা মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলেন। আমি যে মসজিদ অবস্থান করছি, তিনি তা জানতেন না। আমার ইরাদা (ইচ্ছা) ছিল উনাকে একটি মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করবো, যেন কেউ আমাকে দেখতে না পায়। লোকজন বের হয়ে যাওয়ার পর তিনি নামায আদায়ের জন্য দাঁড়ালেন।  ক্বিরায়াত শুরু করলেন। ক্বিরায়াতের এক পর্যায়ে যখন এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফে পৌছলেন-

فَمَنَّ اللهُ عَلَيْـنَا وَوَقَانَا عَذَابَ السَّمُوْمِ

অর্থ: অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তূর শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭)

তখন তিনি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ পুনঃ পুনঃ তিলাওয়াত করতে লাগলেন। মুয়াজ্জিন ফজরের আযান দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এই তিলাওয়াতে ব্যাপৃত ছিলেন। আর আমি উনার নামায ও দোয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় পবিত্র মসজিদে অবস্থান করছিলাম। (তারীখে বাগদাদণ্ড১৩/৩৪৭)

অন্য এক রাতের ঘটনা। তিনি পবিত্র নামাযে কিরায়াতের মধ্যে যখন তিলাওয়াত করলেন-

بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهٰى وَأَمَرُّ

অর্থ: বরং কিয়ামত (গুনাহগারদের) প্রতিশ্রুত জায়গা। আর কিয়ামত অত্যন্ত কঠিন ও অসহনীয়। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ক্বমার শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ-৪৬)

কি জানি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আযম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কি হলো! তিনি থর থর করে কাঁপতে লাগলেন। সুবহানাল্লাহ!

বিশিষ্ট মুহাদ্দিছ হযরত শারীক রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত ইমাম হাম্মাদ ইবনে আবি সুলাইমান রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আলকামা ইবনে মারছাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মাহারিব ইবনে দিছার রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আউন ইবনে আব্দিল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, আব্দুল মালিক ইবনে উমায়ের রহমাতুল্লাহি আলাইহি, আবু হুসাম সালূলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সহ আরো অনেক ইমাম মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদেরকে দেখেছি। উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছি। উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে অধিক সুন্দরভাবে রাত অতিবাহিত করতে কাউকে দেখিনি। আমি সুদীর্ঘ এক বছর উনার ছোহবত মুবারকে কাটিয়েছি। এ দীর্ঘ সময় কখনো উনাকে রাতে ঘুমাতে দেখিনি।

হযরত আবু নাঈম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি হযরত আ’মাশ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মিসআর রহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত হামযা রহমাতুল্লাহি আলাইহি সহ অসংখ্য ইমাম মুজতাহিদ, আলিম-উলামা রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছি। কিন্তু উনাদের কাউকে ইমামে আযম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে উত্তম ভাবে নামায আদায় করতে দেখিনি। তিনি সম্মানিত নামায উনার পূর্বে কান্নাকাটি ও দোয়া করতেন। ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বয়ং নিজেই বলেছেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার এমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ নেই যা আমি নফল নামাযে তিলাওয়াত করিনি। সুবহানাল্লাহ!

হযরত কাশিম ইবনে মা’আন রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, এক রাতে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি নামায আদায় করতে দাঁড়ালেন। সারা রাত তিনি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ বার বার তিলাওয়াত করতেছিলেন আর কাঁদতে ছিলেন।

وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّـهَا الْمُجْرِمُوْنَ

অর্থ: “হে পাপীর দল! তোমরা আজ (নেকার থেকে) পৃথক হয়ে যাও।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইয়াসীন শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯)

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৯

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৯

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৮৫ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৬৯

ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্বরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৭২