ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৫৫ বার পবিত্র হজ্জ আদায় করেন। মুকাল্লাফ বিশ্শরাহ তথা শরীয়তের হুকুমের আওতাধীন (প্রাপ্ত বয়স্ক) হওয়ার পর থেকে প্রতি বছরই তিনি পবিত্র হজ্জ সুসম্পন্ন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি নিজেই বর্ণনা করেন, ৮০ হিজরীতে আমার বিলাদত বা জন্ম। ৯৬ হিজরীতে, ষোল বছর বয়সে আমার সম্মানিত পিতার সাথে আমি প্রথমবার হজ্জ করতে যাই। মসজিদে হারাম শরীফ পৌঁছে সেখানে একটি বড় তা’লীমি মজলিস দেখতে পেলাম। আমার পিতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইহা কার মজলিস? তিনি বললেন, ইনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। ইহা উনারই সম্মানিত তা’লীমি মজলিস।
একথা শুনার সাথে সাথে আমি সেই মজলিসে হাজির হলাম। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হারিস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সেই সময় উপস্থিত ছাত্রগণকে এই পবিত্র হাদীছ শরীফখানা শুনাচ্ছিলেন-
مَنْ تَفَقَّهَ فِـىْ دِيْنِ اللهِ كَفَاهُ اللهُ هَـمَّهٗ وَرَزَقَهٗ مِنْ حَيْثُ لَا يـَحْتَسِبُ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি ইলমে ফিকাহ (দ্বীনি ইলিম) শিক্ষা করবে মহান আল্লাহ পাক তিনিই তার সকল সমস্যার সমাধান করে দিবেন। আর এমন স্থান থেকে তাকে রিযিক দান করবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আবী হানীফাহ ২৮২, আখবারু আবী হানীফা ওয়া আসহাবিহী ১৭, ইমাম আ’যম আবু হানীফা এর জীবন ও কর্ম ১০৫)
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি