ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৬৭ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৮১তম সংখ্যা | বিভাগ:

রিয়াদ্বত মাশাক্কাত এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি (২)

 

যারা মুজাহাদা তথা রিয়াদ্বত-মাশাক্কাত করবে, তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রহমত, বরকত, সাকীনা, দয়া, দান, ইহসান মুবারক বর্ষিত হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَالَّذِيْنَ جَاهَدُوْا فِيْنَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا ۚ وَإِنَّ اللهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِيْنَ

অর্থ: যারা আমাদেরকে (মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) পাওয়ার জন্য মুজাহাদা তথা রিয়াদ্বত-মাশাক্কাত করে আমরা অবশ্যই তাদেরকে আমাদের পাওয়ার সকল দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকি। (সুবহানাল্লাহ!) (তাদের জেনে রাখা উচিত যে,) মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই মুহসিন তথা ওলীআল্লাহগণ উনাদের সাথেই রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আনকাবুত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৯)

হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা সবাই রিয়াদ্বত-মাশাক্কাত করেছেন। ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্ষেত্রেও বিষয়টির ব্যত্যয় ঘটেনি। তিনি ইশার নামাযের ওযু দ্বারা ফযরের নামায আদায় করেছেন। তিনি একাধারে চল্লিশ বছর এ আমলের উপর ইস্তিক্বামত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি তিনি নিজেই বলেন, “একবার আমি সফরের উদ্দেশ্যে বের হলাম। রাস্তায় দেখতে পেলাম কিছু লোক সমবেত রয়েছেন। তারা পরস্পর  কথা-বার্তা বলছেন। আমাকে দেখে তাদের মধ্যে একজন হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলো। আমার দিকে নির্দেশ করে উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো-

هٰذَا اَبُوْ حَنِيْفَةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَلَّذِىْ يُصَلِّى الْفَجْرَ بِوُضُوْءِ الْعَتَمَةِ

অর্থাৎ ইনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ইশার অযু দ্বারা ফযরের নামায আদায় করেন। সুবহানাল্লাহ!

আমি একথা শুনে মনে মনে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হলাম যে, এই লোকের ধারণাটি আমি বাস্তবে রূপান্তরিত করবো ইনশাআল্লাহ! আর সেদিন থেকেই রিয়াদ্বত-মাশাক্কাতের মাত্রা বাড়িয়ে দিলাম। ইশার অযু দ্বারা ফযরের নামায আদায় করা শুরু করলাম। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্রতম রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া-দান, ইহসানের বদৌলতে পরবর্তী জীবনে ইহা আমার স্বভাবে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি আমার জন্য অত্যন্ত স্বাভাবিক ও মামুলী বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। সুবহানাল্লাহ! (মানাকিবে আবী হানীফাহ-৫৫)

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ছাইমারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত নজর ইবনে মুহম্মদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি ইমামুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার তুলনায় অধিক তাক্বওয়া অবলম্বনকারী আর কাউকে দেখিনি। তিনি বাচালতা পছন্দ করতেন না। বাচাল লোকদের সাথে  কখনোও কথা বলতেন না। আমি কখনো উনাকে অট্টহাসি হাসতে দেখিনি। তিনি সবসময় মুচকি বা ¯িœগ্ধ হাসি দিতেন। (আখবারু আবী হানিফাতা ওয়া আসহাবিহী-১/৪৪)

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ছাইমারী রহমাতুল্লাহি আলাইহিম তিনি আরো বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াযীদ ইবনে হারুন রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, আমি এক হাজার শায়েখ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ লিখার সৌভাগ্য লাভ করেছি। উনাদের থেকে ইলিম শিখেছি। মহান আল্লাহ পাক উনার  কসম! আমি উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে অধিক পরহেযগার, অধিক পরিমাণে যবানের হিফাযতকারী ও অধিক পরিমাণে ইলিমের হিফাযতকারী আর কাউকে দেখিনি। সুবহানাল্লাহ! (আখবারু আবী হানীফাতা ওয়া আসহাবিহী-১/৪৫, ইমাম আবু হানীফা: সাওয়ানেহ ওয়া আফকার-২৩৪)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৯

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২০

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৫

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৫

হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি