উল্লেখ্য যে, হক্কানী-রব্বানী আলিম উনার উপস্থিতিতে সাধারণ লোকের কথা-বার্তা বলা, ফাতওয়া দেয়া জায়িয নেই। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিনয় প্রদর্শনার্থে সেটাই বলেছেন।
মুতাহ্হার, মুতাহহির সাইয়্যিদুনা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমামগণ উনারা যে মহান ব্যক্তিত্বকে ফতওয়া দানে অনুমতি দিয়েছেন। এমনকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম বলে সত্যায়ন করেছেন। সেই মহান ব্যক্তিত্বের নামে যারা কুৎসা রচনা করে, উনার শানে প্রশ্ন উত্থাপন করে, শান মানের খিলাফ কথা বলে, তারা যে দ্বীনের শত্রু, ইসলামের শত্রু, মুসলমানগণের শত্রু তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। আর তারা যে লা’নতগ্রস্ত সেটাও সুস্পস্ট। কেননা পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে-
مَنْ عَادٰى لِـىْ وَلِيًّا فَقَدْ اٰذَنْتُه بِالْـحَرْبِ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার ওলী উনার বিরুদ্ধাচারণ করে আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি। নাউযুবিল্লাহ! (বুখারী শরীফ)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্রতম মুতাহ্হির মুতাহ্হার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ৯ জন ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্রতম ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন। উনাদের কাছ থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। তবে কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় কয়েকজনের নাম মুবারক উল্লেখ করা হলো।
সাইয়্যিদুনা হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম কুল-কায়িনাতের আমীন বা নিরাপত্তার কারণ। আহলু বাইত শরীফ উনাদের ইমামগণের সূত্রে বর্ণিত হাদীছ শরীফের সনদের বরকত প্রসঙ্গে ছীহাহ ছিত্তাহ উনার অন্যতম কিতাব ‘সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফে’ একখানা হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে- যার সনদ সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইত হযরত আলী রিদ্বা আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইত সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম হয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে। সেই পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী হযরত আবূ ছ্লত আবদুস সালাম ইবনে সালেহ হারাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ঐ পবিত্র হাদীছ শরীফ খানার পবিত্রতা ও বরকতময় সনদের ফযীলত সম্পর্কে বলেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি এ সনদ মুবারক পড়ে কোন পাগল ব্যক্তিকে ফুঁক দেয় তাহলে সে ব্যক্তি শিফা লাভ করবে। সুস্থ হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি