ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৬৪ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)  মুতাহ্হার, মুতাহ্হির, সাইয়্যিদুনা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান  ও ফযীলত

সংখ্যা: ২৬৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

ইমাম ইবনে মাজাহ উনার সূত্রে বর্ণিত সনদ বা রাবী এভাবে এসেছে-

عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ صَالِحٍ أَبُو الصَّلْتِ الْـهَرَوِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُوْسَى الرِّضَا عَلَيْهِ السَّلَّامُ، عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ جَعْفَرَ بْنِ مُـحَمَّدٍ عَلَيْهِ السَّلَّامُ، عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْـحُسَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَّامُ، عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِيْ طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلَّامُ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْاِيْـمَانُ مَعْرِفَةٌ بِالْقَلْبِ وَقَوْلٌ بِاللِّسَانِ وَعَمَلٌ بِالْأَرْكَانِ قَالَ أَبُو الصَّلْتِ لَوْ قُرِئَ هٰذَا الْإِسْنَادُ عَلٰى مَـجْنُوْنٍ لَبَرَأَ ‏.

অর্থ: আবূ ছলত আব্দুস সালাম ইবনে হারাবী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদেরকে ইমামুছ ছামিন হযরত আলী ইবনে মূসা রেযা আলাইহিস সালাম বর্ণনা করেন, তিনি উনার পিতা ইমামুস সাবি’ হযরত মূসা কাযিম আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি ইমামুস সাদিস হযরত জা’ফর ইবনে মুহম্মদ ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি উনার পিতা ইমামুল খমিস হযরত মুহম্মদ বাকির আলাইহিস সালাম থেকে, তিনি ইমামুর রবি’ হযরত আলী ইবনে হুসাইন যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম থেকে, তিনি নিজ পিতা ইমামুছ ছালিছ হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম থেকে, তিনি হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করে বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঈমান অন্তরের বিশ্বাস, মুখের স্বীকৃতি ও ইসলামের আরকানের উপর আমল করার নাম। রাবী হযরত ছলত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এ সনদ মুবারক কোন পাগলের উপর পাঠ করা হলে অবশ্যই সে সুস্থ হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! (ইবনে মাযাহ, আস সুনান, কিতাবুল মুকাদ্দমা: বাবুল ঈমান ১/২৫, হাদীছ শরীফ ৬৫)

মুতাহহার, মুতাহহির, সাইয়্যিদুনা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুতাহহার, মুতাহহির সাইয়্যিদুনা হযরত আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম এবং আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি যেরূপ আদব-ইহতিরাম ও সম্মান প্রদর্শন করেছেন তা ইতিহাসে বিরল। তাছাড়া তিনি স্বীয় জান মাল, সময়, শ্রম অর্থ সবকিছু দিয়েই উনাদের যে খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দিয়েছেন তারও মিছাল নেই। সুবহানাল্লাহ!

এই বেমিছাল ও বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনের কারণে তিনিও পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। ক্বিয়ামত পর্যন্ত উনার সিলসিলা জারী থাকবে। ইনশাআল্লাহ!

ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিছীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দরস বা তা’লীম দিচ্ছিলেন। তিনি সবসময়ই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে, গভীর মনোযোগ সহকারে তা’লীম বা পাঠদান করে থাকেন। কিন্তু সেদিন একটি ব্যতিক্রম ঘটনা সংঘটিত হলো। তিনি তা’লীম দেয়ার সময় হঠাাৎ দঁড়ালেন। কিছুক্ষণ দাঁড়ানো থেকে আবার বসে গেলেন। কয়েকবারই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন। উনার দাঁড়ানোর সাথে সাথে উপস্থিত সালিক বা শিক্ষার্থীরাও উনার সম্মানার্থে দাঁড়ালেন আর বসলেন।

তা’লীম শেষ হলো। উনার একান্ত নৈকট্যধন্য একজন সালিক বা শিক্ষার্থী সবিনয়ে জানতে চাইলেন। কেন. এরূপ অনাকাঙ্খিত ঘটনার সুত্রপাত হলো। ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিছীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলইহি তিনি বললেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, তা’লীম দেয়ার সময় একজন ছোট্ট ছেলে তা’লীমগাহের নিকটবর্তী হতেন। আবার কিছুক্ষণ পর চলে যেতেন। তিনি একাজ কয়েকবারই করেছেন। প্রশ্নকারী শিক্ষার্তী তিনি ইতিবাচক জাওয়াব দিলেন। তখন তিনি বললেন, ঐ ছোট্ট ছেলেটির পরিচয় আপনাদের কি জানা আছে? সালিক বা শিক্ষার্থীরা বললেন, না, আমাদের জানা নেই।

তিনি বললেন, সেই ছোট্ট ছেলে তিনি হচ্ছেন- আওলাদে রসূল। নূরে মুজাসসাম,  হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বংশধর, সাইয়্যিদ পরিবারের সদস্য। তিনি যখন তা’লীমগাহের নিকটবর্তী হতেন তখন আমি উনার সম্মানার্থে দাঁড়িয়েছি। আর তিনি যতক্ষণ আমার দৃষ্টির সীমায় থাকতেন ততক্ষণ আমি উনার সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে থাকতাম। যখন দৃষ্টি সীমার বাইরে তিনি চলে যেতেন তখন বসতাম। সুবহানাল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৯২

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম (৪২) উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩৯ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-২৩ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৯৩