ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৪৪ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি

উনার বিরুদ্ধাচরণকারীগণ লা’নতগ্রস্থ

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَكَذلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا مِّنَ الْمُجْرِمِينَ. وَكَفى بِرَبِّكَ هَادِيًا وَنَصِيرًا

অর্থ: “আর এমনিভাবে প্রত্যেক নবী আলাইহিস সালাম উনার জন্য পাপীদের থেকে কতিপয় শত্রু রয়েছে।  আপনার জন্য আপনার মহান রব তায়ালা পথ প্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।” (পবিত্র সূরা আল ফুরক্বান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-

وَكَذلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِينَ الْإِنسِ وَالْجِنِّ يُوحِى بَعْضُهُمْ إِلىٰ بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُوْرًا

অর্থ: “আর এমনিভাবে প্রত্যেক নবী আলাইহিস সালাম উনার জন্য মানুষরূপী ও জিনরূপী শয়তান শত্রƒ রয়েছে। যারা ধোঁকা দেয়ার জন্য একে অপরকে মনোমুগ্ধকর কথা-বার্তা বলে কুমন্ত্রণা দেয়।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১২)

মানুষ ও জিনদের মধ্য থেকে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জন্য যেসব শত্রু নির্ধারিত ছিল, তাদের বংশধররা পরবর্তীতে হযরত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের  শত্রুরূপে পরিগণিত হয়। তাদের মধ্যে যেমন মানুষ ছূরতে বা আকৃতিতে রয়েছে, তেমনি রয়েছে জিন ছূরতে বা আকৃতিতেও। তারা মানুষ ও জিনদেরকে নানারকম মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় কথা-বার্তা বলে বিভ্রান্ত করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের পর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরুদ্ধবাদীগণ যেমন লা’নতগ্রস্ত হয়েছে। উনার বিরুদ্ধাচরণকারীরাও তেমনি লা’নতগ্রস্ত হয়েছে। আবর যুগে যুগে যারা বিরোধিতা করবে, তারাও একইভাবে লা’নতগ্রস্ত হয়ে, ঈমান হারা অবস্থায় মারা যাবে। ইতিহাস এটাই সাক্ষ্য দেয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অমৃতসর অঞ্চলের একটি গ্রামের নাম “তীলিয়াঁ”। তার অধিবাসীদের বেশিরভাগই তথাকথিত আহলে হাদীছ। সেখানে একজন মৌলভী; ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালন করতো। সে পড়ালেখা করতো মাদরাসায়ে গযনবিয়ায়। একবার সেই মৌলভী সাহেব বললো, হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চেয়ে তো আমিই ভালো ও বড়। নাউযুবিল্লাহ! কারণ উনার মাত্র সতেরটি হাদীছ শরীফ মুখস্থ ছিল। আর আমার তো এর চেয়েও কয়েকগুণ বেশি হাদীছ শরীফ মুখস্থ আছে। নাউযুবিল্লাহ! তার এই ধৃষ্টতাপূর্ণ কথাটি তার মুয়াল্লিম সাহেবের কানে পৌঁছলো। তিনি ওলী-আউলিয়া বুযূর্গদের অত্যন্ত মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীম করতেন। কথাটি শোনার পর উক্ত ওস্তাদের চেহারা রাগে ও ক্ষোভে লাল হয়ে গেল। তিনি নির্দেশ দিলেন, এ কমবখত, হতভাগাকে মাদরাসা থেকে বহিস্কার করে দাও। যখন তাকে বের করে দেয়া হলো, তার মুয়াল্লিম সাহেব বললেন, আমার মনে হয়, এই লোকটি অচিরেই মুরতাদ হয়ে যাবে। বর্ণনাকারী বলেন, এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই লোকটি কাদিয়ানী হয়ে গেল এবং এলাকার লোকেরা তাকে লাঞ্ছিত করে মসজিদ থেকে বের করে দিল। নাউযুবিল্লাহ! এ ঘটনার পর কোন এক ব্যক্তি তার মুয়াল্লিম সাহেবকে জিজ্ঞেস করলো, আপনি কিভাবে বুঝলেন যে, অচিরেই সে কাফির হয়ে যাবে? তিনি বললেন, যে মুহূর্তে আমার কাছে তার ধৃষ্টতার সংবাদ এসে পৌঁছে, তখন বুখারী শরীফ উনার এই হাদীছ শরীফখানা আমার সামনে ভেসে উঠলো।  পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

من عاد لى وليا فقد اذنته بالحرب

অর্থাৎ, “যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা করি।” আমার দৃষ্টিতে ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ও পরম বন্ধু। জিহাদে উভয় পক্ষ প্রতিপক্ষের সর্বোত্তম বস্তুটিই ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা বা কোশেশ করেন। অতএব, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে যখন জিহাদের ঘোষণা হয়ে গেল, তখন এমন ব্যক্তির কাছে (সর্বোত্তম সম্পদ) ঈমান থাকার কোনো যুক্তিই থাকতে পারে না। তখনই আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছি। (দাউদ গযবনী, পৃষ্ঠা-১৯১, ১৯২)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৯

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২০

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৫

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৫

হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি