ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩৯ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৫২তম সংখ্যা | বিভাগ:

জাহাম ইবনে সাফওয়ান ছিল বাতিল বাহাত্তর ফিরক্বার দলভুক্ত। তাদের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিও বটে। সে ইমামুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার আলোচনা মুবারক শুনে উক্ত অভিমত ব্যক্ত করেছিলো। তবে ফিরে আসতে চাইলেও কখনো আর ফিরে আসেনি, সাক্ষাত করেনি।

সম্মানিত হানাফী মাযহাব মতে تصديق بالجنان তথা অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাসের নাম ঈমান। তবে اقرار باللسان তথা মৌখিক স্বীকৃতি না থাকলে দুনিয়াবী ফায়দা পাবে না। উখরবী সকল নিয়ামতরাজী বা ফায়দা পুরোপুরি পাবেন। অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপনকারী ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মু’মিন হিসেবে গণ্য হবে। যদিও  সমাজে মানুষের কাছে তিনি মু’মিন বলে পরিচিত নন। অথচ বাতিল ফিরক্বাবন্দী জাহামের আক্বীদা বিশ্বাস হচ্ছে সে দুনিয়াবী ফায়দাও পুরোপুরি পাবে।

তবে যদি কেউ মৌখিক স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকা সত্বেও মৌখিক স্বীকৃতি না দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে শুধু অন্তরের বিশ্বাস দ্বারা সে মু’মিন বলে গণ্য হবে না। কারণ তার অন্তরের এ বিশ্বাস হাক্বীক্বী বিশ্বাস বা দৃঢ় বিশ্বাস নয়। আর যদি কোন প্রতিবন্ধকতা থাকে যেমন- জনমানবহীন স্থানে বা মরুভূমিতে বসবাস করছে কিংবা মাটির তলদেশে বসবাস করছে অথবা তার সমাজে প্রকাশ করলে তাকে শহীদ করতে পারে তাহলে মৌখিক স্বীকৃতি না দিলেও শুধু تصديق بالجنان তথা অন্তরের বিশ্বাস দ্বারাই মু’মিন বলে গণ্য হবে।

জাহাম ইবনে সাফওয়ান ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার দবার শরীফে হাজির হলো। বললো, কতিপয় মাসয়ালা-মাসায়িলের ক্ষেত্রে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি তা জানার জন্য এসেছি।

ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, “তোমার সাথে কথা বলা লজ্জার ব্যাপার। তোমাদের যে আক্বীদা-বিশ্বাস তাতে অংশগ্রহণ করা আগুনে প্রবেশ করার সামিল।”

জাহাম বললো, আপনার সাথে কোনরূপ আলোচনা করার পূর্বেই আপনি এই অভিমত ব্যক্ত করলেন?

ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, “তোমাদের যে সব অভিমত, অভিব্যক্তি আমার কাছে পৌঁছেছে, তা কোন মুসলমানের হতে পারে না।”

জাহাম বললো, আপনি না জেনে-শুনেই আমার ব্যাপারে ফায়সালা দিচ্ছেন?

ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তোমাদের এসব অভিমত সুপ্রসিদ্ধ। সাধারণ-অসাধারণ সকল মানুষই তা জানে। কাজেই, আমি দৃঢ় আস্থার সাথেই তোমাদের ব্যাপারে যা বলার, তাই বলছি।

জাহাম বললো, আমি শুধু ঈমানের স্বরূপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে চাচ্ছি।

ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তুমি এখনো সম্মানিত ঈমান উনার স্বরূপই জানতে পারনি যে, তাতে প্রশ্নের প্রয়োজন দেখা দিলো?

জাহাম বললো, অবশ্য সম্মানিত ঈমানের একটি দিকের ব্যাপারে আমার সন্দেহ হচ্ছে, তা নিরসণের জন্যই এসেছি।

ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, সম্মানিত ঈমানের মাঝে সন্দেহ পোষন করা কুফরী।

জাহাম বললো, আপনার উচিত হবে কুফরীর কারণ আমাকে জানিয়ে দেয়া।

ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, বলো, কি জিজ্ঞাসা করতে চাও?

জাহাম বললো, এক ব্যক্তি অন্তর দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে চিনলো এবং জানলো যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এক, একক। উনার সমতুল্য ও সমকক্ষ কেউ নেই। উনার আসমা-ছিফত বা গুণাবলী মুবারক সম্পর্কেও সে অবগত। কোন বস্তুর সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার সদৃশ্যতা নেই- একথাও সে ব্যক্তি জানে ও মানে। কিন্তু এই সব কিছু মুখে স্বীকার করা ব্যতীতই সে মারা গেল। বলুন, এই ব্যক্তির মৃত্যু কি কুফরীর উপর হলো, না কি সম্মানিত ইসলাম উনার উপর? (চলবে)

 

সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৭৩ -মুহম্মদ সাদী

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম (২২) উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৯ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৭৪