ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩৭ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৫০তম সংখ্যা | বিভাগ:

ইমাম আওযাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইস্তিগফার করলেন

ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলিম-আমল, হিকমতের কথা বাতাসের গতির চেয়ে অধিক দ্রæত ছড়িয়ে পড়লো।  অল্প দিনের মধ্যেই উনার সুনাম-সুখ্যাতির কথা পৃথিবীর আনাচে কানাচে পৌঁছে গেল। সিরিয়ার বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম আওযাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ ব্যাপারে বাদ পড়েননি। যদিও তিনি ততক্ষণ পর্যন্ত উনার সাথে সাক্ষাত করতে পারেননি।

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধবাদীগণও বসে ছিলো না। তারাও উনার বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা ছড়াতে লাগলো সমান্তরালভাবে। ইমাম আওযাঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বিরুদ্ধবাদীদের কথা শুনে ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতি সন্দিহান হলেন।

একদিন আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলে দিলেন যে-

من هذا المبتدع الذى خرج بالكوفة ويكنى ابا حنيفة رحمه الله تعالى عليه

অর্থ: “কুফা নগরে এ কোন লোকের আবির্ভাব হলো, যার কুনিয়াত মুবারক হচ্ছে ইমাম আবু হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি।”

উল্লেখ্য যে, আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট ছাত্র, মুরীদ। দীর্ঘদিন তিনি উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন। তিনি ইমাম আওযাঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কটাক্ষপূর্ণ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিলেন না। বরং কয়েকটি জটিল ও কঠিন ফিক্বহী মাসয়ালা, তার উপর চিন্তা গবেষনার পদ্ধতি এবং তার উপর ফতওয়া সম্পর্কে আলোচনা করা শুরু করলেন। আলোচনা শুনে ইমাম আওযাঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মুখ মুবারক থেকে সহসাই বের হলো যে, এই ফতওয়া প্রদানকারী ব্যক্তি কে?

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, ইহা এমন এক মহান শায়েখ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ফতওয়া যেই মহান ব্যক্তিত্বের সাথে আমার সাক্ষাত হয়েছে ইরাকে। আমি উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছি। তখন ইমাম আওযাঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তিনি বাস্তবিকই একজন মহান ব্যক্তিত্ব হবেন। আমাকেও উনার সাথে সাক্ষাত করা জরুরী। অবশ্যই আমি উনার সাথে সাক্ষাত করবো। আর এরূপ জটিল- কঠিন ফিক্বহী মাসাইল জিজ্ঞাসা করবো।

তখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন,  ইনিই হলেন সেই মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি সারা দুনিয়ায় ইমামে আ’যম আবু হানীফাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি নামে মাশহূর। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই ইমাম আওযাঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে উনার সাথে সাক্ষাত করেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণিত মাসাইল সম্পর্কে পরস্পর আলোচনা-পর্যালোচনা করলেন। আলোচনা শেষে উনারা যখন পরস্পর পৃথক হলেন, তখন ইমাম আওযাঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন-

غبطت الرجل بكثرة علمه و وفو عقله واستغفرالله تعالى لقد كنت فى غلط ظاهر الزم الرجل فانه بخلاف ما بلغنى عنه

অর্থ: “আমি লোকটির (ইমামে আ’যম উনার) ইলিম, আক্বল, সমঝের গভীরতা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়েছি। আমি যে উনার প্রতি কু-ধারণা পোষন করেছিলাম তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সত্যি আমি জঘণ্যতম ভুলের মধ্যে ছিলাম। উনার সম্পর্কে আমাকে যা জানানো হয়েছে তা বাস্তবতার সম্পূর্ণ বিপরীত।” (খাইরাতুল হিসান-৩৩, ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি-১৬৬)

সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৭৩ -মুহম্মদ সাদী

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম (২২) উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৯ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৭৪