ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৭৯ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সংখ্যা: ২৯৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

ইমাম আবূ ইউসূফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনার অছিয়ত মুবারক-২

অসিয়ত মুবারক (৬) : বাদশাহ বা আমীর উমরাগণ কোন সরকারী কাজ আপনার উপর ন্যাস্ত  করতে চাইলে আপনি তা গ্রহণ করবেন না। তবে যদি আপনার দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, বাদশা আপনার ইলিম ও বিচারের রায়ের উপর সন্তুষ্টি থাকবে তবে তা ভিন্ন কথা। যাতে রায় দেয়ার ক্ষেত্রে অন্যের মতের উপর রায় দিতে না হয়। অর্থাৎ মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের রায় দিতে পারেন। বাদশাহর মতামতের উপর রায় দিতে না হয়। তখন সে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন।

অছিয়ত মুবারক (৭): বাদশাহর বন্ধু-বান্ধব ও সদস্যগণের সাথে কোন প্রকার সম্পর্কে জড়িয়ে যাবেন না। ঘনিষ্টতা যা হবে তা শুধুমাত্র বাদশাহের সাথে হবে।

অসিয়ত মুবারক (৮): বাদশাহর বন্ধু-বান্ধব,  আত্মীয়-স্বজন এবং সদস্যগণ থেকে সবসময় দূরে থাকবেন। তাহলে আপনার মর্যাদা ও সম্মান বজায় থাকবে।

অসিয়ত মুবারক (৯) : জনসাধারণের সামনে শুধু ঐ বিষয়েই কথা বলবেন, যে সম্পর্কে আপনাকে প্রশ্ন করা হবে। অর্থাৎ জনসাধারণের কেউ কোন প্রশ্ন করলে আপনি শুধু প্রয়োজনীয় উত্তর দিয়ে চুপ হয়ে যাবেন। অযথা কথা দীর্ঘ করবেন না।

অসিয়ত মুবারক (১০): জনসাধারণের সামনে দুনিয়াবী ও ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত আলাপ আলোচনা করবেন না। যাতে তাদের এ ধারণা না হয় যে, ধন-সম্পদের প্রতি আপনার দূর্বলতা রয়েছে। যদি তাদের অন্তরে এ ধরণের চিন্তার উদয় হয় তাহলে তারা আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করবে। মনে মনে চিন্তা করবে যে, ঘুষের প্রতি আপনার দূর্বলতা রয়েছে। আর তা আপনি গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছেন।

অসিয়ত মুবারক (১১) : সাধারণ মানুষের সামনে কখনো হাসি-ঠাট্টা করবেন না। অন্যথায় তারা আপনাকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারবে না।

অসিয়ত মুবারক (১২) : হাট-বাজারে অধিক মাত্রায় যাতায়াত করবেন না। দুনিয়ার যমীনের সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট স্থান হচ্ছে হাট-বাজার।

অসিয়ত মুবারক (১৩): আমরাদ অর্থাৎ বালেগের নিকটবর্তী ছেলেদের সাথে কথা বলবেন না। কারণ, তাদের দ্বারা ফিতনা সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। যার কারণে আমলের প্রতিবন্ধকতার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ছোট বাচ্চাদের সাথে কথা বলা ও তাদের মাথায় হাত বুলানোতে কোন ক্ষতি নেই।

অসিয়ত মুবারক (১৪) : সাধারণ জনগণের সাথে পথ চলার ক্ষেত্রে বৃদ্ধগণের সাথে চলাচল করবেন না। কারণ, আপনি যদি তাদেরকে সামনে দিয়ে আপনি তাদের পিছনে চলেন, সেক্ষেত্রে আপনার ইলিমের ইহানত বা মর্যাদাহানী হবে। আর আপনি যদি তাদেরকে পিছনে রেখে আপনি তাদের সামনে চলেন, তাহলে আপনার মর্যাদা-সম্মান তাদের নিকট হ্রাস পাবে। কারণ, বৃদ্ধকে সম্মান না দেখানো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারক উনার খিলাফ। কেননা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ لَـمْ يَـرْحَمْ صَغِيْـرَنَا وَلَـمْ يُـوَقِّرْ كَبِيْـرَنَا فَـلَيْسَ  مِنَّا

অর্থ: যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং বৃদ্ধদেরকে সম্মান করে না সে আমার উম্মত হিসেবে গন্য হবে না।

অসিয়ত মুবারক (১৫) : রাস্তায় কখনো বসবেন না। একান্ত যদি বসার প্রয়োজন হয় তাহলে মসজিদে গিয়ে বসবেন।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুজ্জামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৬৪

 ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছুফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলার্দু রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুজ্জামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৬৪

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-৪০

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৯০

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৮৬ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)