অর্থাৎ, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে এবং সম্মানিত সুন্নত মুবারক পরিপূর্ণভাবে পালনের কারণেই তিনি উনার দায়িমী তায়াল্লুক নিসবত, কুরবত, মুহব্বতে গরক্ব ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকালব্যাপী থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
দৃষ্টান্ত স্বরূপ এখানে উল্লেখ করা যায় যে, সুলত্বানুল হিন্দ, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল মাশায়িখ, কুতুবুল বাররে ওয়াল বাহরে, ইমামুল আইম্মাহ, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতি আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রধান খলীফা ছিলেন হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুবহানাল্লাহ!
হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়া কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার লেখা “দলীলুল আরিফীন” কিতাবে বলেছেন: “পবিত্র আজমীর শরীফ জামে মসজিদে আমি আমার সম্মানিত শায়েখ উনার সম্মানিত ক্বদম মুবারক চুম্বন করে ভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত হলাম। পবিত্র ওই মজলিস ছিল হযরত সুলত্বনুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, হযরত গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক সান্নিধ্যে আমার জীবনের শেষ মজলিস মুবারক। সেখানে সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাতিব শায়েখ আলী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও ছিলেন।”
“আমার সম্মানিত শায়েখ হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কাতিবকে দিয়ে এই মর্মে একখানা আদেশ মুবারক লিখালেন, আমি হযরত খাজা বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে খাজেগানে চীশতিয়ার খিলাফত এবং সাজ্জাদাহ (বুযুর্গীর আসন) দান করলাম। এই আদেশ মুতাবিক তিনি দিল্লী চলে যাবেন। দিল্লী হবে উনার হিদায়েতের প্রাণ- কেন্দ্র।” সুবহানাল্লাহ! (চলবে)