সম্মানিত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক সান্নিধ্য ছেড়ে হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দিল্লী যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু সম্মানিত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক আদেশ পালন করা ফরযে আইন। তাই তিনি আজমীর শরীফ থেকে দিল্লী চলে গেলেন। সুবহানাল্লাহ!
ইতোমধ্যে ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সংবাদ পেলেন যে, উনার সম্মানিত শায়েখ সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারকে গমন করেছেন।
হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র ছলাতুল আছর আদায় করে মুরাক্বাবায় বসে উনার সম্মানিত শায়েখ হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক সাক্ষাৎ লাভ করলেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি সবিনয়ে জানতে চাইলেন: “হে আমার সম্মানিত শায়েখ! আপনি মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত মাহবূব, মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহ্ববত মা’রিফাত, রিযামন্দি সন্তুষ্টি, তায়াল্লুক-নিসবত-কুরবত হাছিলের জন্য আপনার পবিত্র জীবন মুবারকের ৯৭টি বছর ব্যয় করেছেন। এতে আপনি কী নিয়ামত, কতটুকু নিয়ামত ও কামিয়াবী হাছিল করেছেন!”
জবাবে সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, : “মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব, মহাসম্মানিত মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রিযামন্দি-সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত বান্দা-বান্দি উনাদের অনেক শ্রেণি বিন্যাস রয়েছে। এক শ্রেণী উনারা উনাদের বিছাল শরীফের পর মাত্র একবার মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দীদার মুবারক লাভ করে থাকেন। আরেক শ্রেণী উনাদের বছরে একবার, কেউ মাসে একবার, কেউ সপ্তাহে একবার, কেউ দিনে একবার মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দীদার মুবারক হাছিল করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)