মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা
উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারকেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
إِنَّ اللهَ إِذَا أَحَبَّ عَبْدًا دَعَا حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَـقَالَ إِنِّيْ أُحِبُّ فُلَانًا فَأَحِبَّهٗ قَالَ فَـيُحِبُّهٗ حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ ثُمَّ يُـنَادِيْ فِي السَّمَاءِ فَـيَـقُوْلُ إِنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلَانًا فَأَحِبُّوهُ. فَـيُحِبُّهٗ أَهْلُ السَّمَاءِ قَالَ ثُمَّ يُـوْضَعُ لَهُ الْقَبُـوْلُ فِي الْأَرْضِ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন কোনো বান্দা বান্দীকে মুহব্বত করেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে ডেকে বলেন, হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! আমি অমুক বান্দা-বান্দীকে মুহব্বত করি, কাজেই আপনিও উনাকে মুহব্বত করুন। তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি ওই বান্দা-বান্দীকে মুহব্বত করতে থাকেন এবং আসমানে ঘোষণা দিতে থাকেন, হে আসমানবাসী! মহান আল্লাহ পাক তিনি অমুক বান্দা-বান্দীকে মুহব্বত করেন। কাজেই আপনারাও উনাকে মুহব্বত করুন। ফলে আসমানবাসী সকলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মুহব্বত করতে থাকেন এবং পরবর্তীতে যমীনে উনার শান-মান-মর্যাদা-ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায় ও জমীনবাসী মুহব্বত করা শুরু করে, অর্থাৎ গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হওয়াসহ কায়িনাতব্যাপী তা বিস্তারলাভ করে।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, প্রাণের আক্বা ক্বিবলা কা’বা সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা কা’বা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম উনারা সকলেই উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাক্বীক্বী মিছদাক্ব। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)