পূর্ব প্রকাশিতের পর
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি পরম ইতমিনান:
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, ছাহিবে শাফায়াতে কুবরা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لا تسبو اصحابى فلو ان احدكم انفق مثل احد ذهبا ما بلغ مد احدهم ولا نصيفه
অর্থ: “তোমরা কেউই আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ উনারা আমার মুবারক সন্তুষ্টির জন্য এক মুদ বা অর্ধ মুদ (গম, যব বা আটা) খরচ করে যে সীমাহীন ফযীলত হাছিল করেছেন, তোমরা পরবর্তী উম্মত উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণদান করেও অনুরূপ ফযীলত কখনোই হাছিল করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ!
এক মুদ বা অর্ধ মুদ দান করে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যে সীমাহীন সম্মান, মর্যাদা, ফযীলত, তায়াল্লুক- নিসবত, মুহব্বত-মা’রিফাত হাছিল করেছেন, তা একমাত্র ছাহিবে কা’বা-ক্বওসাইনী আও আদনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন মর্যাদা, মাক্বাম ও সম্মান উনার কারণেই। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যে খরচ করেছেন, আমল করেছেন অর্থাৎ যা কিছু করেছেন, তা কেবল ছাহিবে মি’রাজ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লারøাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক রিযামন্দি-সন্তুষ্টির জন্যই করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এই পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে বুঝা গেল, জিন-ইনসান, উম্মত, কুল-কায়িনাত-এর রিযামন্দি সন্তুষ্টি হাছিলের মূল ক্বিবলা কা’বা হলেন ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রিযামন্দি-সন্তুষ্টি, তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-মা’রিফাত হাছিলের জন্যই যাবতীয় খরচ এবং যাবতীয় আমল করার কারণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উনাদের মুবারক হায়াতে ত্বইয়্যিবায় থেকেই খ¦ালিক্ব-মালিক-রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার পরিপূর্ণ রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক এবং সীমাহীন ফযীলত মুবারক হাছিল করেছেন। যে কারণে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি উনাদেরকে কুল কায়িনাতের ঈমান, আক্বীদা ও আমলের মুবারক মানদ- হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এই মর্মে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে:
فان امنوا بمثل ما امنتم به فقد اهتدوا
অর্থ: “যদি তোমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেভাবে ঈমান এনেছেন, সেভাবে ঈমান আনো, তবেই তোমরা হিদায়েতপ্রাপ্ত হবে।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ১৩৭) (অসমাপ্ত)