অনুসন্ধান
আর্কাইভ
বিভাগ
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২২
সংখ্যা: ১৮১তম সংখ্যা | বিভাগ: সাওয়ানেহে উমরী
-মুহম্মদ সাদী
পূর্ব প্রকাশিতের পর
আজমীর শরীফ-এ চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম,
কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ
আজমীর শরীফ থেকে ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফ্যালুল ইবাদ, ফখ্রুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখ্লেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিকে যে পাগড়ী মুবারক হাদিয়া দেয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে বক্ষ্যমান আলোচনার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য গভীর চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়। সব মানুষেরই, বিশেষতঃ তাসাউফপন্থীগণের জানা যে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ওলী আল্লাহ হওয়ার জন্য ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, কুতুবুল আক্তাব, সুল্্ত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর প্রাথমিক অনুমোদন প্রয়োজন। কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে সংশ্লিষ্ট জনপদের “সুলত্বান” ও “কুতুব” পদে ভূষিত করেছেন। মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের কারণে সকলকেই নায়িবে রসূল ফিল হিন্দ, সুলত্বানুল আরিফীন, মঈনুল মিল্লাত ওয়াদদ্বীন, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট থেকে প্রয়োজনীয় নাজ-নিয়ামত ও অনুমোদন লাভের প্রত্যাশী হতে হয়।
এখানে লক্ষ্যণীয় যে, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসুলিল্লাহ, সাইয়্যিদু উলিল আর্ম, মাখ্যানুল মা’রিফাত, খাজিনাতুর রহমত, মঈনুল মিল্লাত ওয়াদ্দীন, লিসানুল উম্মাহ, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখ্রুল ফুক্বাহা, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজ্্তাহিদীন, মুহইস্ সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়া, ছাহিবুল ইল্হাম, রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুল্্ত্বানুল আরিফীন, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, ছাহিবু সুলত্বানিন্ নাছীর, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আ’যম, আল মুজাদ্দিদুল আ’যম, ক্বইয়ূমুয্ যামান, আল জাব্বারিউল আউয়াল, আল ক্বাবিউল আউয়াল, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, ইমামে আ’যম, মুর্শিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, ইমামুল হুদা, জামিউল আল্ক্বাব, ক্বায়িম মক্বামে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এবং তাঁর সম্মানিত পিতা ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুয্ যামান, ছাহেবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি না চাইতেই পাগড়ী মুবারক হাদিয়া দেয়া হলো।
তাঁদের জন্য অবশ্য হাদিয়া, নাজ-নিয়ামত, অনুমোদন ইত্যাদি চাওয়ার বিষয়টি অবান্তর। কারণ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রফিকু ছাহিবিল কুদ্রত, ছাহিবু লাওলাক্ব, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বেই যাবতীয় নিয়ামত সম্ভারে পিতা-পুত্র উভয়কে পরিপূর্ণ করেছেন। পরবর্তীতে এ মুবারক হাদিয়া প্রদানের বিষয়ে যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক নির্দেশনা ছিলো, তা সমঝ্দার মানুষের বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। অর্থাৎ এ হাদিয়ার মাধ্যমে সকল ওলীআল্লাহ ও বিশ্ববাসীকে জানানো হয় যে, আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, আকরামুল আওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী খাছভাবে মনোনীত ও কবুলকৃত।
বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই পাগড়ী মুবারক হাদিয়া প্রদান সংক্রান্ত মহামূল্যবান ও বরকতময় ঘটনার আলোচনা “কারামত” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। “কারামত”-এর যতো প্রকার অর্থ দ্যোতনা, বিশ্লেষণ, তাৎপর্য ও মহিমাই থাকুকনা কেন, এর মর্মার্থ হলো বুযূর্গী, সম্মান, মান, শান, ইয্যত ও ঐতিহ্য। মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর পক্ষে মুবারক পাগড়ী হাদিয়া গ্রহণের মাধ্যমে ওলীয়ে মাদারজাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বেমেছাল মর্যাদা, মর্তবা, বুযূর্গী ও তাঁর অগণিত কারামতের মধ্যে একটি অনন্য কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। (চলবে)
আরও পড়ুন:
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি
কপিরাইট © ১৪৩৬ হিজরী মাসিক আল বাইয়্যিনাত, সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
আর্কাইভ
বিভাগ
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২২
সংখ্যা: ১৮১তম সংখ্যা | বিভাগ: সাওয়ানেহে উমরী
-মুহম্মদ সাদী
পূর্ব প্রকাশিতের পর
আজমীর শরীফ-এ চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম,
কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ
আজমীর শরীফ থেকে ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফ্যালুল ইবাদ, ফখ্রুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখ্লেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিকে যে পাগড়ী মুবারক হাদিয়া দেয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে বক্ষ্যমান আলোচনার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য গভীর চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়। সব মানুষেরই, বিশেষতঃ তাসাউফপন্থীগণের জানা যে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ওলী আল্লাহ হওয়ার জন্য ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, কুতুবুল আক্তাব, সুল্্ত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর প্রাথমিক অনুমোদন প্রয়োজন। কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে সংশ্লিষ্ট জনপদের “সুলত্বান” ও “কুতুব” পদে ভূষিত করেছেন। মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের কারণে সকলকেই নায়িবে রসূল ফিল হিন্দ, সুলত্বানুল আরিফীন, মঈনুল মিল্লাত ওয়াদদ্বীন, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট থেকে প্রয়োজনীয় নাজ-নিয়ামত ও অনুমোদন লাভের প্রত্যাশী হতে হয়।
এখানে লক্ষ্যণীয় যে, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসুলিল্লাহ, সাইয়্যিদু উলিল আর্ম, মাখ্যানুল মা’রিফাত, খাজিনাতুর রহমত, মঈনুল মিল্লাত ওয়াদ্দীন, লিসানুল উম্মাহ, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখ্রুল ফুক্বাহা, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজ্্তাহিদীন, মুহইস্ সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়া, ছাহিবুল ইল্হাম, রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুল্্ত্বানুল আরিফীন, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, ছাহিবু সুলত্বানিন্ নাছীর, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আ’যম, আল মুজাদ্দিদুল আ’যম, ক্বইয়ূমুয্ যামান, আল জাব্বারিউল আউয়াল, আল ক্বাবিউল আউয়াল, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, ইমামে আ’যম, মুর্শিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, ইমামুল হুদা, জামিউল আল্ক্বাব, ক্বায়িম মক্বামে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এবং তাঁর সম্মানিত পিতা ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুয্ যামান, ছাহেবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি না চাইতেই পাগড়ী মুবারক হাদিয়া দেয়া হলো।
তাঁদের জন্য অবশ্য হাদিয়া, নাজ-নিয়ামত, অনুমোদন ইত্যাদি চাওয়ার বিষয়টি অবান্তর। কারণ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রফিকু ছাহিবিল কুদ্রত, ছাহিবু লাওলাক্ব, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বেই যাবতীয় নিয়ামত সম্ভারে পিতা-পুত্র উভয়কে পরিপূর্ণ করেছেন। পরবর্তীতে এ মুবারক হাদিয়া প্রদানের বিষয়ে যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক নির্দেশনা ছিলো, তা সমঝ্দার মানুষের বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। অর্থাৎ এ হাদিয়ার মাধ্যমে সকল ওলীআল্লাহ ও বিশ্ববাসীকে জানানো হয় যে, আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, আকরামুল আওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী খাছভাবে মনোনীত ও কবুলকৃত।
বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই পাগড়ী মুবারক হাদিয়া প্রদান সংক্রান্ত মহামূল্যবান ও বরকতময় ঘটনার আলোচনা “কারামত” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। “কারামত”-এর যতো প্রকার অর্থ দ্যোতনা, বিশ্লেষণ, তাৎপর্য ও মহিমাই থাকুকনা কেন, এর মর্মার্থ হলো বুযূর্গী, সম্মান, মান, শান, ইয্যত ও ঐতিহ্য। মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর পক্ষে মুবারক পাগড়ী হাদিয়া গ্রহণের মাধ্যমে ওলীয়ে মাদারজাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বেমেছাল মর্যাদা, মর্তবা, বুযূর্গী ও তাঁর অগণিত কারামতের মধ্যে একটি অনন্য কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। (চলবে)
আরও পড়ুন:
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি
বিভাগ
ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২২
সংখ্যা: ১৮১তম সংখ্যা | বিভাগ: সাওয়ানেহে উমরী
-মুহম্মদ সাদী
পূর্ব প্রকাশিতের পর
আজমীর শরীফ-এ চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম,
কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ
আজমীর শরীফ থেকে ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফ্যালুল ইবাদ, ফখ্রুল আউলিয়া, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখ্লেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহিকে যে পাগড়ী মুবারক হাদিয়া দেয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে বক্ষ্যমান আলোচনার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য গভীর চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়। সব মানুষেরই, বিশেষতঃ তাসাউফপন্থীগণের জানা যে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ওলী আল্লাহ হওয়ার জন্য ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, কুতুবুল আক্তাব, সুল্্ত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর প্রাথমিক অনুমোদন প্রয়োজন। কারণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে সংশ্লিষ্ট জনপদের “সুলত্বান” ও “কুতুব” পদে ভূষিত করেছেন। মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের কারণে সকলকেই নায়িবে রসূল ফিল হিন্দ, সুলত্বানুল আরিফীন, মঈনুল মিল্লাত ওয়াদদ্বীন, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট থেকে প্রয়োজনীয় নাজ-নিয়ামত ও অনুমোদন লাভের প্রত্যাশী হতে হয়।
এখানে লক্ষ্যণীয় যে, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসুলিল্লাহ, সাইয়্যিদু উলিল আর্ম, মাখ্যানুল মা’রিফাত, খাজিনাতুর রহমত, মঈনুল মিল্লাত ওয়াদ্দীন, লিসানুল উম্মাহ, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, ফখ্রুল ফুক্বাহা, হাকিমুল হাদীছ, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল মুজ্্তাহিদীন, মুহইস্ সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়া, ছাহিবুল ইল্হাম, রসূলে নোমা, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুল্্ত্বানুল আরিফীন, ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন, ছাহিবু সুলত্বানিন্ নাছীর, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, কুতুবুল আলম, আল গাউছুল আ’যম, আল মুজাদ্দিদুল আ’যম, ক্বইয়ূমুয্ যামান, আল জাব্বারিউল আউয়াল, আল ক্বাবিউল আউয়াল, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, ইমামে আ’যম, মুর্শিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, ইমামুল হুদা, জামিউল আল্ক্বাব, ক্বায়িম মক্বামে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাদারজাদ ওলী, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী এবং তাঁর সম্মানিত পিতা ওলীয়ে মাদারজাদ, কুতুবুয্ যামান, ছাহেবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি না চাইতেই পাগড়ী মুবারক হাদিয়া দেয়া হলো।
তাঁদের জন্য অবশ্য হাদিয়া, নাজ-নিয়ামত, অনুমোদন ইত্যাদি চাওয়ার বিষয়টি অবান্তর। কারণ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রফিকু ছাহিবিল কুদ্রত, ছাহিবু লাওলাক্ব, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্বেই যাবতীয় নিয়ামত সম্ভারে পিতা-পুত্র উভয়কে পরিপূর্ণ করেছেন। পরবর্তীতে এ মুবারক হাদিয়া প্রদানের বিষয়ে যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক নির্দেশনা ছিলো, তা সমঝ্দার মানুষের বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। অর্থাৎ এ হাদিয়ার মাধ্যমে সকল ওলীআল্লাহ ও বিশ্ববাসীকে জানানো হয় যে, আল্লাহ পাক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, আকরামুল আওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী খাছভাবে মনোনীত ও কবুলকৃত।
বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই পাগড়ী মুবারক হাদিয়া প্রদান সংক্রান্ত মহামূল্যবান ও বরকতময় ঘটনার আলোচনা “কারামত” অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। “কারামত”-এর যতো প্রকার অর্থ দ্যোতনা, বিশ্লেষণ, তাৎপর্য ও মহিমাই থাকুকনা কেন, এর মর্মার্থ হলো বুযূর্গী, সম্মান, মান, শান, ইয্যত ও ঐতিহ্য। মুজাদ্দিদে আ’যম পুত্র মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর পক্ষে মুবারক পাগড়ী হাদিয়া গ্রহণের মাধ্যমে ওলীয়ে মাদারজাদ, ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বেমেছাল মর্যাদা, মর্তবা, বুযূর্গী ও তাঁর অগণিত কারামতের মধ্যে একটি অনন্য কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। (চলবে)
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি