-মুহম্মদ সাদী
পূর্ব প্রকাশিতের পর
সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সাক্ষাতে উনার দু’জন মুর্শিদ ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের একাধিকবার আগমন
নায়িবে মুজাদ্দিদ হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং ওলীয়ে মাদারযাদ, কুতুবুল আলম হযরত মাওলানা আবূ নজম মুহম্মদ নাজমুস সায়াদাত ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা ছিলেন ১৪০০ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, কুতুবে রব্বানী, মাহবূবে সুবহানী, দস্তগীর, শাইখুল মুহাক্বিক্বীন, ইমামুল মুসলিমীন, মাশায়িখুল মিল্লাত ওয়াদদ্বীন, ইমামুল হুদা, হাদীয়ে যামান, যুবদাতুল আরিফীন, ইমামুত তরীক্বত, আফতাবে শরীয়ত, কুতুবুল আকতাব, আলহাজ্জ হযরতুল আল্লামা মুহম্মদ আব্দুল্লাহিল মা’রূফ আবূ বকর ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বুযুর্গ আওলাদ। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, কুতুবুল আলম, সুলত্বানুল আরিফীন, ন’ হুযূর ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা শাহ ছূফী, আবূ নজম মুহম্মদ নাজমুস সায়াদাত ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪০২ হিজরী/ ০৭ জানুয়ারী, ১৯৮২ ঈসায়ী/ ২২ পৌষ, ১৩৮৮ ফসলী সন রাতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। গে-ারিয়াস্থ পবিত্র খানকা শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি উনার প্রাণের আঁকা মুর্শিদ ক্বিবলা হযরত আবু নজম মুহম্মদ নাজমুস সায়াদাত ছিদ্দীক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক সান্নিধ্যে নিয়মিত হাজির থাকতেন। সুবহানাল্লাহ!
মুরীদগণ সাধারণত তা’য়াল্লুক-নিছবত, ফায়িজ-তাওয়াজ্জুহ, মুহব্বত-মা’রিফাত হাছিলের অনিবার্য লক্ষ্যে সম্মানিত শায়েখ উনার পবিত্র দরবার শরীফে গিয়ে থাকেন, সম্মানিত শায়েখ উনার পবিত্র ক্বদম মুবারকে হাজির হয়ে থাকেন। সেখানে অবস্থান করে থাকেন। ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সায়্যিদুনা দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম তিনিও উনার সম্মানিত দু’জন শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের মুবারক ছোহবতে নিয়মিত হাজির হয়েছেন। উনাদের মুবারক নিগূঢ় সান্নিধ্যে থেকেছেন বহুদিন, বহু সময়, বহু বছর। সুবহানাল্লাহ!
কোনো সম্মানিত শায়েখ তিনি বিশেষ প্রয়োজন ও কারণ ছাড়া কখনোই মুরীদ বা খলীফা উনার কাছে যান না। বিষয়টি সম্মানিত তাছাওউফ উনার রীতি ও নীতির সঙ্গে সমাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কিন্তু এই নিয়মের ব্যত্যয়ে হিদায়েত ও নছীহতের দিকপাল, তরীক্বত উনার সমকালীন প্রাণপুরুষ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, কুতুবুল আলম, ইমামুল হুদা, ক্বইয়্যূমুযযামান, শাইখুল মাশায়িখ, নায়িবে মুজাদ্দিদ হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বি ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বত:প্রবৃত্ত হয়ে উনার প্রিয়তম বিশিষ্ট খলীফা ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, ফখরুল আউলিয়া, ছাহিবে ইসমে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, মুসতাজাবুদ দা’ওয়াত, ছাহিবে ইলম ওয়াল হিকাম ওয়াল কাশফ ওয়াল কারামত, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সান্নিধ্যে পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফে একাধিকবার মুবারক তাশরীফ গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত মাওলানা আবূ নছর মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার নিকট মুবারক আগমনের বহুবিধ জাহিরী ও বাতিনী কারণ রয়েছে, যা আমরা জানিনা। কারণ মুবারক বিষয়টি কেবল উনাদের দু’জনেরই সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে জাহিরী কারণগুলোর মধ্যে যেগুলো আমাদের সহজে বোধগম্য তা হলো:
১. সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক নির্দেশনা। সুবাহানাল্লাহ! (চলবে)