ওই আল হিলাল ত্বলায়াল ত্বলায়াল,
দেন মুবারক, খবরে হক্ব, রবীউল আউওয়াল।
চৌদ্দশত সাঁইত্রিশ হিজরীতে রহেন, উজ্জ্বলে উত্তাল,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ জিন্দাবাদ মক্ববুলে আকমাল।
কামাল অনন্তকাল করলেন জারি মুজাদ্দিদ মহীয়ান,
তিনি ক্বউইয়্যূল আউওয়াল আল বালাগাল সাইয়্যিদী মহা-শান।
রহেন তাহতাচ্ছারা হতে আরশে মাকিন রহমতে আযীমান,
মাখলুক্ব মাঝে এলেন সওগাত বেমিছাল অনুদান।
ইনসাফ আর ইহসানসহ শাহী ছিফাতেই রঙ্গিন,
সুন্নাহ নীতির জ্যোতিতে রহেন অনন্ত মুহসিন।
তিনি জাব্বারিউল আউওয়াল হয়ে তাশরীফ ধরাভূমে,
তিনি মুশরিক নিশ্চিন তরে ফিকিরেই হরদমে।
তিনি সাইয়্যিদুল আইয়াদী জজবাহী জোশে তামাম মুসলিমীন,
দেন শিক্ষা এক ময়দানে বাতিন আর জাহিরীন।
ফাল ইয়াফরাহূ গুণে গুণান্বিত গড়ছেন মুজাহিদ,
তিনি ধরণীর মানব মহলে পৌঁছান তাজদীদ।
ওই আল্লাহ ও রসূল ইসলামসহ মুসলিমী দুশমন,
জানান ইহুদী মুশরিক নাছারাও ঠিক তাগুতেই মন্থন।
কাদিয়ানী আর বাহাই শিয়া ওহাবীরা দস্তুর,
জানি উলামায়ে ‘সূ’ মওদূদীসহ ফিরক্বা বাহাত্তর।
ওই ফ্রান্সসহ মুল্কে কাফির তাদের কার্যাবলী,
দেয় পাক হাবীবী ব্যাঙ্গ ছবি প্রকাশিয়া হাততালি। নাউযুবিল্লাহ!
তাদের দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করাই কাজ,
খোদ কুরআন শরীফ নিয়ে বিদ্রূপ করে কুখ্যাত বে-লাহাজ।
খামোখা তুচ্ছ ছুতা দিয়ে তারা মুসলমানেরে মারে,
ওই গুজরাট, আসাম, বসনিয়া, থাই ও মিয়ানমারে।
ওভাবে কতই ভুবনী যমীন রাঙ্গায় লহুতে মুসলিমীন,
দস্যু বনেই লুট করে নেয় ইসলামী আমিরীন।
মুসলিম মাঝে যায় মিশে যায় ইহুদী ও মুশরিক,
মুসলিম সেজে দেয় ধোঁকা দেয় থেকে তারা নযদিক।
ফের গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রে আওয়াম রাখছে ঝুলায়,
ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ ধর্মীয় নেতার কঠিন খয়ের খায়।
ওই ইহুদী আরদালী উলামায়ে ‘সূ’ ভনিতা খুব পারে,
দেয়, মুসলিমী খুন চুষে চুষে, অগ্নি লাভাতে ছুড়ে।
আখিরী রসূল সৃষ্টির মূল হাবীবী রব উনার,
ওই বদনাম করা কাফিরের কাম দায়িমীতে পারাবার।
তাই পৃথিবীর দিকে দিকে শুনি ইবলিসী চিৎকার,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বন্ধ কর সহ্য না হয় আর।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ রোবেই জ্বলছে ইবলিসী দেহ দিল,
হলো ক্ষত-বিক্ষত রবীউল আউওয়ালে দাপরায় আজাজিল।
মাগরিব হতে মাশরিক পুরো কায়িনাতে তাগুতেরা,
ওই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী বিরুদ্ধে লেগেছে গর্ধব কুত্তারা।
বিশ্ব তাগুতী কেডি কুকুর শুনরে কর্ণ খুলে,
যমীনে এলেন খোদায়ী খলীফা সাফফাহী মক্ববুলে।
শুন, তোদেরকে করতে নাস্তানাবুদ অনুরূপে আবাবিল,
পারবি না আর ভুবনী বক্ষে হাসতে যে খিলখিল।
তোরা আবরাহী বিচ্ছু শাবক সাফফাহী শাহী রোশে,
রহিস সমূলেই পঙ্গপালেরা ঝলসায় অনায়াসে।
তিনি জাব্বারিউল আউওয়াল,
রাখেন তামাম তাগুত অগ্নি গুহায় মজবুতে চিরকাল।
উনার সুমহান তপ্ত ফায়িয জ্বলে রবি বেশামাল,
তোরা সবে ভবের ভেরাতে গুজরাবি নাজেহাল।
ভাবছিস তোরা তাগুতি তাবেই হবিরে ক্ষমতাধর?
ভাবিস তোদের ভয়েই কাঁপবে, হক্ব হবে অবসর?
মু’মিনের নূর করে দিয়ে দূর আলম দখলে নিবি?
ধোঁকা দিয়ে তোরা ঈমানদারের ঈমান ধসায়ে দিবি?
দেখি স্পর্ধা ওই মুশরিকদের হয়ে গেছে বড় বেশি,
জিহ্বা তোদের ঝুলে বুলন্দ আশকারাতেই মিশি।
বন্দনা করে কল্পনা করিস মুল্লুক সব তোর,
স্বপ্ন তোদের হাওয়ায় হারাবে শুনরে ছিছকা চোর।
ওই ইহুদী হিন্দু বৌদ্ধ নাছারা সউদী ওহাবী রাজ,
ভাবো বিতাড়িত সেই ইবলিসী কোলে আস্ত রইবি বিরাজ?
এবার ওরে জানোয়ার, নে শুনে নে সাফফাহী সংবাদ,
তিনি সরওয়ারে কায়িনাত রউফুর রহীমি নূরী খাছ আওলাদ।
ওই হিন্দু যবন, মেøচ্ছ মালউন, রেহাই দেবো না তোরে,
মুসলিমী লহূতে খেলবি হোলি ভারতী বক্ষ জুড়ে?
মোরা ইমামুল উমামী জজবা জেওরে জাগ্রত মুরীদিন,
মোরা নক্বশায়ে ছাহাবী আল আরাবী তোরে করি নিশ্চিন।
শুরুতেই মোরা পুরো ভারতকে দখল করেই নিবো,
দ্বীনী আলোতেই রাঙ্গাবো ভারত তাগুতী ভেঙ্গে দিবো।
চৌদিক ওই আযানের ধ্বনি শুনাবোরে পুনরায়,
আল বাইয়্যিনাতী পতাকা উড়াবো ভারতীয় গোটা গায়।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ জিন্দাবাদ জজবাহী তাকবীরে,
অবশ্যই মোরা হিন্দু হালাক্বে রাখবোই বলছিরে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬