কাদিয়ানী রদ!

সংখ্যা: ১৮২তম সংখ্যা | বিভাগ:

(ষষ্ঠ ভাগ)

(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।

(ধারাবাহিক)

মির্জা ছাহেব ছূরা মায়েদার فلما توفيتنى  শব্দের অর্থ হজরত ইছা আলাইহিস্ সালাম-এর মৃত্যু প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছে।

হজরত এবনো-আব্বাছ রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তফছিরে-আব্বাছিয়ার ১/৩৭৮ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;Ñ

( فلما توفيتنى ) رفعتنى من بينهم.

“যখন তুমি আমাকে তাহাদের মধ্য হইতে উঠাইয়া লইয়াছিলে।”

মাওলানা অলিউল্লাহ ছাহেব ফৎহোর-রহমানের ১৪৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;Ñ

فلما توفیتنی پس وقتیکہ برگرفتی مرا.

‘যে সময় তুমি আমাকে ঊঠাইয়া লইয়াছিলে।” উহার হাশিয়াতে আছে ;

یعنی بر  أ      ان بردی مرا

“অর্থাৎ তুমি আমাকে আছমানে উঠাইয়া লইয়াছিলে।”

ইমাম রাজি তফছিরে-কবিরের ৩/৪৮৬ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;Ñ

فلما توفيتنى  والمراد منه وفاة الرفع الى السماء.

উহার অর্থ আছমানে উঠাইয়া লওয়া।” তফছিরে-জালালাএন;Ñ

فلما توفيتنى  قبضتنى بالرفع الى السماء.

“যখন তুমি আছমানে উঠাইয়া লইয়াছিলে।” পীর মহইউদ্দিন আরাবি ‘ফতুহাতে-মক্কিয়া’র ১/২২৩/২২৪ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;-

হজরত ওমার বেনে খত্তাব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছা’দ বেনে আবি ওয়াক্কাছ রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে লিখিয়ছিলেন যে, নাজলা আনছারিকে এরাকের হোলওয়ানের দিকে রওয়ানা কর। ইহাতে তিনি নাজলা আনছারিকে একদল যোদ্ধার সহিত রওয়ানা করিলেন। তাঁহারা তথায় উপস্থিত হইয়া বহু লুন্ঠিত দ্রব্য প্রাপ্ত হইলেন এবং বহু লোককে বন্দী করিলেন এবং তৎসমুদয় লইয়া প্রত্যাবর্ত্তন করিলেন, আছরের ওয়াক্ত জইফ হইতেছিল, সূর্য্য অস্তমিত প্রায় হইতেছিল, তখন নাজলা বন্দিদিগকে ও লুন্ঠিত দ্রব্যসমূহকে পাহাড়ের অধোদেশে স্থাপন করিয়া আজান দিতে আরম্ভ করিলেন। এমতাবস্থায় পাহাড়ের মধ্য হইতে একজন লোক আজানের প্রত্যেক শব্দের জওয়াব দিতেছিলেন, তিনি আজান শেষ করিয়া বলিলেন, আপনি কে? আল্লাহ আপনার উপর রহমত করুন, আপনি কি ফেরেশতা, না জেন, না আল্লাহ তায়ালার বান্দা। আপনি যেরূপ নিজের আওয়াজ শুনাইয়াছেন সেইরূপ নিজের শরীর আমাদের নিকট প্রকাশ করুন। আমরা আল্লাহ তায়ালার রাছুলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ও হজরত ওমর বেনেল-খাত্তাবের দল। তখন পাহাড় ফাটিয়া একজন লোক বাহির হইল। তাহার মস্তক চক্কি প্রস্তরের তুল্য ছিল, মস্তকের কেশ ও দাড়ী সাদা হইয়া গিয়াছিল, তাহার পরিধেয় দুইটী পুরাতন পশমি চাদর ছিল। তিনি ছালাম করিলেন। আমরা ছালামের উত্তর দিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, আপনি কে? খোদা আপনার উপর রহম করুন। তিনি বলিলেন, আমি বার-ছালমার পুত্র জরিব, নেকবান্দা ইছা বেনে মরয়মের অছি। তিনি আমার স্থান এই পাহাড়ে স্থির করিয়া দিয়াছেন এবং তাঁহার আছমান হইতে নাজেল হওয়া পর্য্যন্ত আমার আয়ু লম্বা হওয়ার দোওয়া করিয়াছিলেন। তিনি নাজেল হইয়া শুকর হত্যা করিবেন, ক্রুশ ভাঙ্গিয়া ফেলিবেন, খ্রীষ্টানেরা যে অভিনব মত ধারণ করিয়াছে, তাহা হইতে নারাজি প্রকাশ করিবেন। অসমাপ্ত।

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র ইসলামী শরীয়ত উনার হুকুম মোতাবেক খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির। যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”