[সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-এর জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে æগবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-এর ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব-এর অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র æমাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন-এর শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহর বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহরের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা) ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) পেশ করার পর ১৬৮তম সংখ্যা থেকে-
২৮তম ফতওয়া হিসেবে
æকুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করে আসতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা, করানো ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ
সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- æমাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ মাসিক আল বাইয়্যিনাত”-এ এমন সব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।
বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো ‘ওহাবী সম্প্রদায়’। ইহুদীদের এজেন্ট ওহাবী মতাবলম্বী উলামায়ে ‘ছূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
স্মরণীয় যে, ইহুদীদের এজেন্ট, ওহাবী মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ‘ছূ’রা প্রচার করছে æছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই”। (নাউযুবিল্লাহ) সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, æনির্বাচন কমিশনার বলেছে, ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে জেল-জরিমানা হবে, নির্বাচন কমিশনার ভোটার আই.ডি কার্ডের জন্য ছবিকে বাধ্যতামূলক করেছে এবং ছবির পক্ষে মসজিদে, মসজিদে প্রচারণা চালাবে বলেও মন্তব্য করেছে। আর উলামায়ে ‘ছূ’রা তার এ বক্তব্যকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে যে, æরাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যেই ছবি তোলা জায়িয।” (নাঊযুবিল্লাহ) শুধু তাই নয়, তারা নিজেরাও অহরহ ছবি তুলে বা তোলায়।
অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এ বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, æরাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ছবি তোলা জায়িয” তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে,
استحلال المعصية كفر.
অর্থাৎ æগুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী।)
অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে æছূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমানদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।
অনুরূপ æছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধ নেই বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সকলের জন্যে ছবি তোলা জায়িয” উলামায়ে æছূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে ছবি তুলবে (যদিও হারাম জেনেই তুলুক না কেন) তারা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হবে যা শক্ত আযাব বা কঠিন গুনাহের কারণ। কেননা হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون.
অর্থঃ হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, আমি হযরত মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইর-এর ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, æনিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০)
উক্ত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় æউমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারীতে” উল্লেখ আছে,
وفى التوضيح قال اصحابنا وغيرهم صورة الحيوان حرام اشد االتحريم وهم من الكبائر.
অর্থঃ ‘তাওদ্বীহ’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে যে, হযরত উলামায়ে কিরামগণ প্রত্যেকেই বলেন, জীব জন্তুর ছবি বা প্রতিমূর্তি নির্মাণ করা হারাম বরং শক্ত হারাম এবং এটা কবীরা গুাহর অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উলামায়ে æছূ”দের উক্ত বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ছবি তুলে প্রকাশ্য হারাম কাজে মশগুল হয়ে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে যা আমলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ মূর্তি বা ছবিসহ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই æকুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়াটি” পুনরায় প্রকাশ করা হলো।
প্রাণীর মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরি করা-করানো, ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীল প্রমাণ
স্মর্তব্য যে, নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য প্রায় হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও ফিক্বাহ-ফতওয়ার কিতাবেই æপ্রাণীর মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরি করা-করানো, ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয” বলে উল্লেখ আছে। নিম্নে সেসকল কিতাবসমূহ থেকে ধারাবাহিকভাবে এ সম্পর্কিত দলীল প্রমাণ তুলে ধরা হলো-
আল মুওয়াত্ত্বা লিল ইমাম মুহম্মদ
রহমতুল্লাহি আলাইহি
হাদীছ শরীফ-এর ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য কিতাব ‘আল মুওয়াত্ত্বা লিল ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি’। এ কিতাবখানা লিখেছেন- হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর যাহির-বাত্বিন প্রধান ছাত্র, তাবি’ তাবিয়ীন, ফক্বীহ, মুজতাহিদ, মুহাদ্দিছ আবূ আব্দিল্লাহ হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে হাসান ইবনে ওয়াক্বিদ ফারক্বাদ শাইবানী হানাফী বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি। (জন্ম মুবারক: ১৩৫ হিজরী, ওফাত মুবারক: ১৮৯ হিজরী)
(৫)
قال اخبرنا مالك اخبرنا ابو النضر مولى عمر بن عبد الله بن عبيد الله عن عبد الله بن عتبة ابن مسعود انه دخل على ابى طلحة الانصارى يعوده فوجد عنده سهل بن حنيف فدعا ابو طلحة انسانا ننزع نمطا تحته فقال سهل بن حنيف لم ينزعه قال لان فيه تصاوير وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فيها ما قد علمت قال سهل اولم يقل الا ماكان رقما فى ثوب قال بلى ولكنه اطيب لنفسى. قال محمد رحمة الله عليه وبهذا ناخذ.
অর্থাৎ æহযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত উমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইদুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি- এর মাওলা আবুন নদ্বর। তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উতবাহ ইবনে মাসঊদ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি একদা অসুস্থ আবূ ত্বলহা আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে দেখতে গেলেন এবং সেখানে তার কাছে হযরত সাহল ইবনে হুনাইফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে দেখতে পেলেন। হযরত আবূ ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একজন লোককে ডাকলেন এবং নিজের বিছানার নিচের গদি টেনে বের করে নিতে বললেন। তখন হযরত সাহল ইবনে হুনাইফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, এটি টানছেন কেন? তিনি বললেন, এতে ছবি আঁকা আছে। আর এ সম্পর্কে সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা আপনার জানা আছে। তখন হযরত সাহল ইবনে হুনাইফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি এও বলেননি যে, কাপড়ের উপর রক্বম বা নকশা (যা প্রাণীর ছবি নয়) অঙ্কিত থাকলে দোষ নেই। উত্তরে হযরত আবূ ত্বলহাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, হ্যাঁ, এতে দোষ নেই। কিন্তু আমার মতে, এ থেকেও (নক্বশা থেকেও) বেঁচে থাকা উত্তম।” হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, আমরা এ হাদীছ শরীফ-এর উপর আমল করি। (বাবুত তাছাবীর ওয়াল জারাস ওয়া মা ইয়াকরাহু মিনহা ৩৮২ পৃষ্ঠা)
আল মুছান্নাফ লি আব্দির রযযাক
রহমতুল্লাহি আলাইহি
হাদীছ শরীফ-এর ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য কিতাব ‘আল মুছান্নাফ লি আব্দির রযযাক রহমতুল্লাহি আলাইহি।’ এ কিতাবখানা লিখেছেন, তাবি’ তাবিয়ীন, আল হাফিযুল কবীর, আল্লামা হযরত ইমাম আবূ বকর আব্দুর রযযাক ইবনে হুমাম ইবনে নাফি’ হুমাইরী ছানয়ানী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উস্তায ছিলেন। (জন্ম মুবারক: ১২০ হিজরী মতান্তরে ১২৬ হিজরী, ওফাত মুবারক: ২১১ হিজরী)। এ কিতাবে প্রাণীর ছবি সম্পর্কে যা উল্লেখ আছে তা হলো-
(৬)
اخبرنا عبد الرزاق قال اخبرنا معمر عن الزهرى قال: اخبرنى عبيد الله بن عبد الله بن عتبة انه سمع ابن عباس رضى الله تعالى عنه يقول سمعت ابا طلحة يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لاتدخل الملائكة بيتا فيه كلب ولا صورة تماثيل.
অর্থাৎ æহযরত আব্দুর রযযাক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত মুয়াম্মার রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত শিহাব যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি বলেন, আমার কাছে বর্ণনা করেছেন হযরত উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। নিশ্চয়ই তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট থেকে শ্রবণ করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি হযরত আবূ ত্বলহাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর নিকট থেকে শ্রবণ করেছি। তিনি বলেছেন, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট থেকে শুনেছি যে, তিনি ইরশাদ করেছেন, ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করেন না যে ঘরে কুকুর ও প্রাণীর ছবি থাকে।” (কিতাবুল জামি’ বাবুত তামাছীলি ওয়া মা জায়া ফীহি ১০ম খণ্ড ৩৯৭ পৃষ্ঠা)
(৭)
اخبرنا عبد الرزاق قال: اخبرنا معمر عن الزهرى قال: اخبرنى القاسم بن محمد ان عائشة اخبرته ان رسول الله صلى الله عليه وسلم دخل عليها وهى مستترة بقرام فيه صورة تماثيل فتلون وجهه ثم اهوى الى القرام فهتكه بيده ثم قال: ان من اشد الناس عذابا يوم القيامة الذين يشبهون بخلق الله.
অর্থাৎ æহযরত আব্দুর রয্যাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত মুয়াম্মার রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত শিহাব যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি বলেন, আমার কাছে খবর দিয়েছেন হযরত ক্বাসিম ইবনে মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। নিশ্চয়ই হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তাঁকে বলেছেন যে, একদা সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর (অর্থাৎ হযরত আয়িশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর) ঘরে প্রবেশ করলেন, ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন ঘরের ভিতর প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি পর্দা টানানো হয়েছে। ইহা দেখে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারক রঙিন হয়ে গেল এবং তিনি পর্দাটির কাছে গিয়ে পর্দাটি নিজ হাত মুবারক দ্বারা ছিঁড়ে ফেললেন। অতঃপর তিনি বললেন: ক্বিয়ামতের দিন ঐ সমস্ত ব্যক্তির কঠিন আযাব হবে যারা আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির সাদৃশ্য কোন প্রাণীর ছবি তৈরি করে।” (কিতাবুল জামি’ বাবুত তামাছীলি ওয়া মা জায়া ফীহি ১০ম খণ্ড ৩৯৮ পৃষ্ঠা)
(৮)
اخبرنا عبد الرزاق قال: اخبرنا معمر عن ايوب عن عكرمة عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه ان النبى صلى الله عليه وسلم لما راى الصور فى البيت يعنى الكعبة لم يدخل حتى امر بها فمحيت وراى ابراهيم واسماعيل بايديهما الازلام فقال النبى صلى الله عليه وسلم: قاتلهم الله والله ما استقسما بالازلام قط.
অর্থাৎ æহযরত আব্দুর রয্্যাক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত মুয়াম্মার রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আইউব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে। নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাইতুল্লাহ শরীফ তথা কা’বা শরীফ-এ যখন ছবি দেখলেন তখন সেখানে ঢুকলেন না। ধ্বংস করার জন্য নির্দেশ দিলেন এমনকি উহা ধ্বংস করা হলো। সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালাম ও হযরত ইসমাঈল আলাইহিস্ সালাম-এর হাত মুবারকে (শুভ-অশুভ নির্ণয়ের) তীর দেখলেন (কাফির-মুশরিকরা অন্যায়ভাবে তাঁদের ছবি তৈরি করে তাদের হাত মুবারকে এই তীর সংযুক্ত করে দিয়েছিল)। এ অবস্থা দেখে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ পাক তাদেরকে (কাফির-মুশরিকদেরকে) ধ্বংস করেছেন। আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও হযরত ইসমাঈল আলাইহিস্ সালাম কখনোই ভাগ্য নিয়ন্ত্রক তীর (যা হারাম) দ্বারা ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেননি।” (কিতাবুল জামি’ বাবুত তামাছীলি ওয়া মা জায়া ফীহি ১০ম খণ্ড ৩৯৮ পৃষ্ঠা)
(৯)
اخبرنا عبد الرزاق قال: اخبرنا معمر عن ايوب عن نافع عن اسلم مولى عمر ان عمر حين قدم الشام صنع له رجل من النصارى طعاما فقال لعمر انى احب ان تجيئنى فتكرمنى انت واصحابك وهو رجل من عظماء اهل الشام فقال له عمر انا لاندخل كنائسكم من اجل الصور التى فيها يعنى التماثيل.
অর্থাৎ æহযরত আব্দুর রয্যাক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত মুয়াম্মার রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইমাম নাফি’ রহমতুল্লাহি থেকে, তিনি হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর গোলাম হযরত আসলাম রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে। নিশ্চয়ই হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (শাম বা সিরিয়া বিজয় করার পর) যখন শাম বা সিরিয়ায় আগমন করলেন। তখন একজন নাছারা তথা খ্রিস্টান ব্যক্তি হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বলল, আমি পছন্দ করি যে, আপনি ও আপনার সঙ্গীগণ আমার বড়িতে এসে আমাকে ধন্য করবেন। মূলতঃ সে ব্যক্তি শাম-সিরিয়ার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিল। হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ঐ ব্যক্তির প্রত্যুত্তরে বললেন: নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের গির্জায় প্রবেশ করবো না এজন্য যে, সেখানে প্রাণীর ছবি অঙ্কিত রয়েছে।” (কিতাবুল জামি’ বাবুত তামাছীলি ওয়া মা জায়া ফীহি ১০ম খণ্ড ৩৯৮ পৃষ্ঠা)
(১০)
اخبرنا عبد الرزاق عن معمر عن ابى اسحاق عن ابى عبيدة بن عبد الله بن مسعود انه قال ان من اشد الناس عذابا يوم القيامة امام مضل يضل الناس بغير علم او رجل قتل نبيا او رجل قتله نبى او رجل مصور يصور هذه التماثيل.
অর্থাৎ æহযরত আব্দুর রযযাক রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুয়াম্মার রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত আবু ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত আবূ উবাইদাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন। নিশ্চয়ই তিনি (হযরত আবূ উবাইদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন যে সমস্ত ব্যক্তির কঠিন আযাব হবে, তারা হলো: ১. পথভ্রষ্ট-গুমরাহ ইমাম যে অন্যায়ভাবে মানুষকে গুমরাহ করেছে, ২. এমন নাফরমান ব্যক্তি যে কোন নবীকে শহীদ করেছে ৩. এমন বদ্নছীব ব্যক্তি যাকে কোন নবী হত্যা করেছেন ৪. ছবি অঙ্কনকারী এমন ব্যক্তি যে প্রাণীর ছবি অঙ্কন করে বা তোলে।” (কিতাবুল জামি’ বাবুত তামাছীলি ওয়া মা জায়া ফীহি ১০ খণ্ড ৩৯৮ পৃষ্ঠা)
(১১)
اخبرنا عبد الرزاق قال اخبرنا معمر عن ابى اسحاق عن مجاهد عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه ان جبريل عليه السلام جاء النبى صلى الله عليه وسلم فعرف النبى صلى الله عليه وسلم صورته فقال ادخل فقال ان فى البيت سترا فى الحائط فيه تماثيل, فاقطعوا رؤوسها او اجعلوه بساطا او وسائد فاوطئوه فانا لا ندخل بيتا فيه تماثيل.
অর্থাৎ æহযরত আব্দুর রযযাক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত মুয়াম্মার রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আবূ ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে তিনি হযরত আবূ হুরাইরাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে। হযরত আবূ হুরাইরাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন, নিশ্চয়ই একদা সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উদ্দেশ্য হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম আসলেন, আর সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম তাঁর আগমনের আওয়াজ শ্রবণ করলেন এবং বললেন, আপনি প্রবেশ করুন। তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস্ সালাম বললেন, এই ঘরের ভিতরের দেয়ালে একটি পর্দা ঝুলানো আছে, যাতে প্রাণীর ছবি অঙ্কিত। আপনারা ছবিগুলোর মাথা কেটে দিন অথবা সেগুলো দিয়ে বিছানার চাদর নতুবা বালিশ তৈরি করুন। কেননা, নিশ্চয়ই আমরা (ফেরেশ্তারা) ঐ ঘরে প্রবেশ করি না। যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে।” (কিতাবুল জামি’ বাবুত তামাছীলি ওয়া মা জায়া ফীহি ১০ম খণ্ড ৩৯১ পৃষ্ঠা)
(১২)
اخبرنا عبد الرزاق عن معمر عن ايوب عن نافع عن ابن عمر رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: المصورون يعذبون يوم القيامة ويقال لهم احيوا ما خلقتم.
অর্থাৎ æহযরত আব্দুর রযযাক রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুয়াম্মার রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত আইউব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত নাফি রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রাণীর ছবি অঙ্কনকারীদেরকে ক্বিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। আর তাদেরকে বলা হবে তোমরা যা তৈরি করেছিলে সেগুলিতে প্রাণ দাও।(কিতাবুল জামি’ বাবুত তামাছীলি ওয়া মা জায়া ফীহি ১০ম খণ্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠা)
(অসমাপ্ত)
পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন