পূর্ব প্রকাশিতের পর
মুবারক জীবন সায়াহ্নে এসে সার্বিক ক্ষেত্রে ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় কামিয়াবী প্রত্যক্ষ করে সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম
তিনি পরম ইতমিনান
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বখ্যাত ওলীআল্লাহ হযরত রাবিয়া বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার ছাওয়ানেহ উমরী মুবারকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি পাবিত্র হজ্জ পালন করতে গিয়ে পবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে লক্ষ্য করে জানতে চাইলেন: “হে পবিত্র কা’বা শরীফ! সমগ্র দুনিয়ার কোটি কোটি জিন-ইনসান আপনার পবিত্র তাওয়াফ ও যিয়ারত করতে আসেন। আমি সবিনয়ে জানতে চাই, আপনি কার আশিক?” জবাবে পবিত্র কা’বা শরীফ উনি জানালেন, “হে হযরত রাবিয়া বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহা! আপনি জেনে রাখুন, আমি খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার আশিক।” সুবহানাল্লাহ!
এই প্রেক্ষিতে হযরত রাবিয়া বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি মহান আল্লাহ উনার দিকে মুতাওয়াজ্জুহ হয়ে বিনীত আরজি পেশ করলেন: “হে বারে ইলাহী! আপনি কার আশিক?” মহান আল্লাহ পাক তিনি জানালেন, “হে হযরত রাবিয়া বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহা! আপনি জেনে রাখুন, যাঁকে সৃষ্টি না করলে আমি কায়িনাত সৃষ্টি করতাম না, এমনকি আমার রুবূবিয়াতও জাহির করতামনা, সেই আমার প্রিয়তম মাশুক, আমার প্রিয়তম মাহবূব, আমার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমি উনার আশিক।” সুবহানাল্লাহ!
তখন হযরত রাবিয়া বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, মাশুকে মাওলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে মুতাওয়াজ্জুহ হয়ে সবিনয়ে জানতে চাইলেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! পবিত্র কা’বা শরীফ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার আশিক এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার আশিক। তাহলে আপনি কার আশিক!” নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানালেন: “আমি আমার উম্মতের আশিক।” সুবহানাল্লাহ!
জিন-ইনসানসহ কুল কায়িনাতের সকল কিছুই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত। তবে এখানে বিশেষভাবে জানার বিষয় হলো, তিনি আখাছছুল খাছভাবে যে উম্মতের আশিক, সে উম্মত কেমন? সে উম্মতের শান-মান-মর্যাদা-মাক্বাম কোন পর্যায়ের? সে উম্মতের বৈশিষ্ট্য মুবারক কেমন? তায়াল্লুক-নিসব-কুরবত উনাদের প্রকৃতি, পরিধি, গভীরতা কেমন? কতটুকু?
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী তায়াল্লুক-নিসবত-কুরবত-রিযামন্দি-সন্তুষ্টি, অবিচ্ছেদ্য মুহব্বত-মা’রিফাতলাভে ধন্য সেই মাশুক ও মাহবূব হলেন ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখদূমুল কায়িনাত, মুত্বহহার, মুত্বহহির, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার ছাহিবাতুল মুকাররামাহ, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখদূমুল কায়িনাত, মুত্বহহার, মুত্বহহির, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, ত্বহিরা ওয়াত ত্বইয়্যিবাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি