পূর্ব প্রকাশিতের পর
বুখারী শরীফ উনার মুকাদ্দিমার তৃতীয় পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো এক বুযুর্গ ব্যক্তি স্বপ্নে দেখলেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কতিপয় হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরসহ এক জায়গায় অবস্থান মুবারক করছেন। তখন স্বপ্নদ্রষ্টা ঐ বুযুর্গ ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সালাম মুবারক দিয়ে সবিনয়ে জানতে চাইলেন: “ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার এখানে অবস্থান মুবারকের কারণ যদি দয়া করে জানাতেন।” জবাবে নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, “আমি ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জন্য অপেক্ষা করছি।” সুবহানাল্লাহ!
কিছুদিন পর স্বপ্নদ্রষ্টা বুযুর্গ ব্যক্তি জানতে পারলেন, সাইয়্যিদুল মুহাদ্দিছীন, আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ, উস্তাজুল হুফফাজ, হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। বুযুর্গ ব্যক্তি হিসেব করে দেখলেন, যে সময় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, ঠিক ওই সময়ই হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি