খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র
খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির
“ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”
কাদিয়ানী রদ!
(ষষ্ঠ ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়)।
(ধারাবাহিক)
ছহিহ মুসলিম শরীফ, ২/৪০১/৪০২ পৃষ্ঠা; “তৎপরে আল্লাহ তায়ালা হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার উপর ইলহাম করিবেন যে, নিশ্চয়ই আমি আমার এরূপ বান্দাগণকে বাহির করিয়াছি যে, তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা কাহারও শক্তি নাই, কাজেই আপনি আমার বান্দাগণকে তুর পর্বতে সুরক্ষিত করুন এবং আল্লাহ তায়ালা ইয়াজুজ ও মাজুজকে প্রেরণ করিবেন এবং তাহারা প্রত্যেক উচ্চস্থান হইতে সবেগে ধাবিত হইবে। তাহাদের প্রথম দল তাবারিয়া হ্রদে উপস্থিত হইয়া উহার সমস্ত পানি পান করিয়া ফেলিবে। তাহাদের শেষ দল (তথায়) উপস্থিত হইয়া বলিবে যে, নিশ্চয়ই এ হ্রদে এক সময় পানি ছিল। আল্লাহ তায়ালা উনার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ও উনার সহচরগণ অবরুদ্ধাবস্থায় থাকিবেন, এমনকি একটি বলদের মস্তক তাহাদের একজনের পক্ষে বর্তমানে তোমাদের একজনের শত দীনার অপেক্ষা উৎকৃষ্ট হইবে। তখন তাহারা ধাবিত হইবে, এমনকি তাহারা বাইতুল মুকাদ্দাছের খামার নামক পাহাড়ের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিবে, নিশ্চয় আমরা জমিনবাসিদিগকে হত্যা করিয়াছি। তোমরা আস, আমরা আসমানবাসিদিগকে হত্যা করিব।
তখন তাহারা নিজেদের তীরকে আছমানের দিকে নিক্ষেপ করিবে। ইহাতে আল্লাহ তায়ালা তাহাদের তীরগুলি রক্তে রঞ্জিত অবস্থায় ফেরত দিবেন। তখন আল্লাহ তায়ালা উনার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ও উনার সহচরগণ দোয়া করিবেন। ইহাতে আল্লাহ তায়ালা তাহাদের গ্রীবা দেশে কীট প্রেরণ করিবেন, পরে তাহারা সমস্তই একটি প্রাণীর ন্যায় মৃত অবস্থায় প্রভাত করিবে। তৎপরে আল্লাহ তায়ালা উনার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ও উনার সহচরগণ যমীনে অবতরণ করিবেন, ইহাতে তাহারা উহাদের চর্বি ও দুর্গন্ধপূর্ণ ব্যতীত জমিতে এক বিঘত পরিমাণ স্থান পাইবে না। তখন আল্লাহ তায়ালা উনার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ও উনার সহচরগণ আল্লাহ তায়ালা উনার নিকট দোয়া করিবেন। সেই সময় আল্লাহ তায়ালা উষ্ট্রীগুলির গ্রীবা দেশের ন্যায় গ্রীবাধারী পক্ষী সকল প্রেরণ করিবেন, তাহারা উক্ত লাশগুলিকে উঠাইয়া আল্লাহ তায়ালা যে স্থানে ইচ্ছা করেন, সেই স্থানে নিক্ষেপ করিবেন। তৎপরে আল্লাহ তায়ালা এরূপ বৃষ্টিপাত করিবেন যে, কোন মৃত্তিকা কিংবা পশমের গৃহ উক্ত পানি রোধ করিতে পারিবে না, এমনকি জমিকে দর্পনের ন্যায় করিয়া ফেলিবে। তৎপরে জমিকে বলা হইবে, তুমি তোমার ফল উৎপাদন কর এবং তোমার বরকত ফিরাইয়া আন, সেই সময় একদল লোক একটি ডালিম ভক্ষণ করিবে এবং উহার ছালে ছায়া গ্রহণ করিবে। এবং দুগ্ধে বরকত দেওয়া হইবে, এমন কি একটি দুগ্ধবতী উষ্ট্রী একটি বড় দলের জন্য যথেষ্ট হইবে, একটি দুগ্ধবতী গাভী তদপেক্ষা ছোট দলের পক্ষে যথেষ্ট হইবে এবং একটি দুগ্ধবতী ছাগী তদপেক্ষা ছোট দলের পক্ষে যথেষ্ট হইবে। তাহারা এই অবস্থায় থাকিবে, এমতাবস্থায় আল্লাহ তায়ালা একটি সুগন্ধ বায়ু প্রবাহিত করিবেন, ইহাতে উক্ত বায়ু তাহাদের বোগলের নিম্নদেশ দ্বারা তাহাদের দেহের মধ্যে সংক্রামিত হইবে। তখন প্রত্যেক ঈমানদার ও প্রত্যেক মুসলমানের আত্মা বাহির করিয়া নেওয়া হইবে। আর নিকৃষ্টতম লোকগুলি বাকী থাকিবে, তাহারা গর্দভসমূহের ন্যায় প্রকাশ্যভাবে আহলিয়াদের ব্যবহার করিবে তাহাদের উপর কিয়ামত উপস্থিত হইবে।”
তেরমিজি শরীফ, ২/৪৭ পৃষ্ঠা;-
“উক্ত পক্ষী সকল লাশগুলিকে মহাবলে নিক্ষেপ করিবে এবং মুছলমানগণ তাদের ধনুক, তীর ও তীরদানগুলি দ্বারা সাত বৎসর অগ্নি জ্বালাইবেন।” (অসমাপ্ত)