খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র-  খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

সংখ্যা: ১৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

কাদিয়ানী রদ!

(ষষ্ঠ ভাগ)

(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।

(ধারাবাহিক)

মির্জা ছাহেব

وما قتلوه وما صلبوه

 এই আয়াতের বিপরীতে বলেন যে, হজরত ঈসা আলাইহিস্ সালামকে ফাঁসি দেওয়া হইয়াছিল, যেহেতু উহা ইঞ্জিলে আছে।

মাওলানা শাহ অলিউল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি ফৎহোর-রহমানের ১১৬ পৃষ্ঠায় উহার অনুবাদে লিখিয়াছেন;-

نکشتہ اند او  را وبردار  نکردہ اند او را.

 “না তাঁহাকে তাহারা হত্যা করিয়াছিল এবং না তাহারা তাঁহাকে শূলীর উপর উঠাইয়াছিল।”

এমাম জালালুদ্দিন ছইউতি রহমতুল্লাহি আলাইহি দোর্রোল-মনছুরের ২/২৩৮/২৩৯ পৃষ্ঠায় এই মত সমর্থন করিয়াছেন।

এমাম রাজি রহমতুল্লাহি আলাইহি তফছিরে কবিরের ৩/৩৪৯/৩৫০ পৃষ্ঠায় এই মত সমর্থন করিয়াছেন।

উপরোক্ত তিনজন এলহামপ্রাপ্ত মোজাদ্দেদের মতের বিপরীতে মির্জা ছাহেবের মত বাতীল।

মির্জা ছাহেব ছূরা জোখরফের وانه لعلم الساعة

 এই আয়াতের এইরূপ অনুবাদ করিয়াছেন, “নিশ্চয়ই উক্ত কোরআন কেয়ামতের আলামত।”

মাওলানা শাহ অলিউল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি ফৎহোর-রহমানের ৫৬১৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন;

وانه لعلم الساعة و ہر  أینہ عیسی نشانہ است قیامت را.

“নিশ্চয় ইহা কেয়ামতের নিদর্শন।”

তফছিরে-আব্বাছি, (ফৎহোর-রহমানের হাশিয়াত মুদ্রিত)’ ৫৬১ পৃষ্ঠা;

(وانه) يعنى نزول عيسى بن مريم ( لعلم الساعة ) لبيان قيام الساعة.

“নিশ্চয় ইছা বেনে মারইয়াম আলাইহিস্ সালাম-এর নাজেল হওয়া কেয়ামত আসার লক্ষণ।

এমাম জালালুদ্দিন ছইউতি রহমতুল্লাহি আলাইহি তফছিরে-জালালাইনে লিখিয়াছেন;Ñ

 (وانه) اى عيسى ( لعلم الساعة ) تعلم بنزوله.

“নিশ্চয় ইছা আলাইহিস্ সালাম কেয়ামতের আলামত, তাঁহার নাজেল হওয়াতে উহা জানা যাইবে।”

হাশিয়ায়-জোমান, ৪/৯৩ পৃষ্ঠা;-

والمعنى ان نزوله علامة على قرب الساعة.

“অর্থ: ইছা আলাইহিস্ সালাম-এর নাজেল হওয়া কেয়ামত সন্নিকট হওয়ার আলামত।”

এমাম রাজি তফছিরে-কবিরের ৯/৪৩৪/৪৩৫ পৃষ্ঠায় উক্ত মর্ম্ম লিখিয়াছেন।

উপরোক্ত তিনজন এলহামপ্রাপ্ত মোজাদ্দেদের মতের বিপরীতে মির্জা ছাহেবের এলহাম বাতীল।

অসমাপ্ত

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র ইসলামী শরীয়ত উনার হুকুম মোতাবেক খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির। যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

কাদিয়ানী রদ!