কাদিয়ানী রদ!
(ষষ্ঠ ভাগ)
[কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খণ্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষণীয়।]
(ধারাবাহিক)
মির্জা ছাহেবের অর্থ পরিবর্তন (তাহরিক) করার আলোচনা
হোছামি, ১২ পৃষ্ঠা;-
فان كانت الحقيقة متعذرة او مهجورة صر الى المجاز
“যদি হকিকি অর্থ অসম্ভব ও পরিত্যক্ত হয়, তবে মাজাজি অর্থ গ্রহণ করা হইবে।”
মানার, ১/১৫৮ পৃষ্ঠা;-
ومتى امكن العمل بها سقط المجاز
উহার টীকা কাশফোল আছরার, উক্ত পৃষ্ঠা;-
“যতক্ষণ হকিকি অর্থ গ্রহণ করা সম্ভব হয়, মাজাজি অর্থ বাতীল হইবে।” নুরোল আনওয়ার, ৯৪ পৃষ্ঠা;-
ما دام امكن العمل بالمعنى الحقيقى سقط المعنى المجازى
.
“প্রকৃত অর্থ গ্রহণ করা সম্ভব হইলে, অপ্রকৃত অর্থ গ্রহণ করা বাতীল হইবে।”
আক্বায়েদে নাছাফি, ২৪৪ পৃষ্ঠা:-
والنصوص من الكتاب والسنة تحمل على ظواهرها مالم يصرف عنها دليل قطعى والعدول عنها من الظواهر الى معان بدعيها اهل الباطن وهم الملاحدة رسموا الباطنية لارعالهم ان النصوص ليست على ظواهرها بل لها معان باطنية لايعرفها الا المعلم وقصدهم بذلك نفى الشريعة بالكلية الحاد اى ميل وعدول عن الاسلام واتصال والتصاق بكفر لكونه تكذيبا للنبى صلى الله عليه وسلم فيما علم مجيئه بالغرورة
“কোরআন ও হাদিছের নছنص গুলির স্পষ্ট প্রকাশ্য (হকিকি) অর্থ গ্রহণ করিতে প্রতিবন্ধকতা করে। তৎসমস্তের প্রকাশ্য মর্ম্মগুলি ত্যাগ করত: এরূপ মর্ম্ম সকল গ্রহণ করা- যাহা বাতেনি দল দাবি করিয়া থাকে, ইছলাম ত্যাগ করত: কাফিরিতে পরিণত হওয়া হইবে, কেননা ইহাতে নবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে শরিয়ত আনয়ন করা অকাট্যভাবে জানা গিয়াছে, উহার উপর অসত্যারোপ করা হয়। ইহারা মোলহেদ ও বাতেনিয়া নামে অভিহিত হইয়া থাকে, যেহেতু তাহারা দাবি করিয়া থাকে কোরআন ও হাদিছগুলির প্রকাশ্য অর্থ গ্রহণীয় নহে। বরং তৎসমুদয়ের অস্পষ্ট অর্থ গ্রহণীয় হইবে, শিক্ষক ব্যতীত কেউ তৎসমস্ত অবগত নহে। ইহারা সম্পূর্ণরূপে শরিয়তকে ধ্বংস করার চেষ্টা করিয়াছে।” (অসমাপ্ত)