কাদিয়ানী রদ!
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পূনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
(মির্জার মাহদী দাবি খণ্ডন)
(পূর্ব প্রকাশিতের)
(৮) মিশকাত শরীফ ৪৭১ পৃষ্ঠা-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ ذَكَرَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهَ وَسَلَّمَ بَلَاءً يُصِيْبُ هٰذِهِ الْاُمَّةِ حَتّٰـى لَايَـجِدُ الرَّجُلُ مَلْجَأً يَلْجَأُ اِلَيْهِ مِنَ الظُّلْمِ فَيَبْعَثُ اللهُ رَجُلًا مِّنْ عِتْرَتِىْ وَاَهْلِ بَيْتِـىْ فَيَمْلَاُ بِهِ الْاَرْضَ قِسْطًا وَّعَدْلًا كَمَا مُلِئَتْ ظُلْمًا وَّجَوْرًا يَرْضٰى عَنْهُ سَاكِنُ السَّمَاءِ وَسَاكِنُ الْاَرْضِ لَا تَدَعُ السَّمَاءُ مِنْ قَطْرِهَا شَيْأ اِلَّا صَبَّتْهُ مِدْرَارًا وَّلَا تَدَعُ الْاَرْضُ مِنْ نَبَاتِـهَا شَيْأً اِلَّا اَخْرَجَتْهُ حَتّٰـى يَتَمَنَّـى الْاَحَيَاءُ الْاَمْوَاتَ يَعِيْشُ فِـىْ ذٰلِكَ سَبْعَ سِنِيْنَ اَوْثَـمَانَ سِنِيْنَ اَوْتِسْعَ سِنِيْنَ.
অর্থ: “হযরত আবূ সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক বিপদের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা এ উম্মতের উপর পতিত হবে। এমনকি লোক অত্যাচার হতে (রক্ষা পাওয়ার জন্য) আশ্রয় গ্রহণ করার উপযুক্ত কোন আশ্রয়স্থল পাবে না। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার বংশধরগণের মধ্যে এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করবেন, এতে তিনি পৃথিবীকে সুবিচারে পূর্ণ করবেন, যেরূপ তা অত্যাচার ও অনাচারে পূর্ণ করা হয়েছিল; আসমানের অধিবাসিগণ এবং যমীনের অধিবাসিগণ উনার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন। আসমান তার বৃষ্টিসমূহের কিছুই বাকি রাখবে না, বরং উহা মুষলধারে বর্ষণ করবে। জমি তার উদ্ভিদরাশি কিছুই বাকি রাখবে না, বরং সমস্তই উৎপাদন করবে, এমন কি জীবিতরা মৃতদের (জীবিত থাকার) কামনা করবে, তিনি এই অবস্থায় সাত কিংবা আট কিংবা নয় বৎসর জীবন অতিবাহিত করবেন।”
হাকিম এই পবিত্র হাদীছ শরীফখানা ছহীহ সনদে উল্লেখ করেছেন। তিনি কয় বৎসর খিলাফত কার্য সম্পাদন করবেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার রাবি এতে সন্দেহ করেছেন, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আসসাদিসাহ উম্মে সালামা আলাইহাস সালাম তিনি সাত বৎসরের কথা উল্লেখ করেছেন। (অসমাপ্ত)