কাদিয়ানী রদ!
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পূনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
(মির্জার মাহদী দাবি খণ্ডন)
(পূর্ব প্রকাশিতের)
হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘মিরকাত শরীফ’ উনার টীকায় লিখেন, কোন রেওয়ায়েতে আছে, হযরত ইমাম মাহ্দী আলাইহিস সালাম তিনি হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর হবেন। সুবহানাল্লাহ!
অপর বর্ণনায় উল্লেখ আছে, হযরত ইমাম মাহ্দী আলাইহিস সালাম তিনি পিতার দিক থেকে হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর হবেন এবং মাতার দিক থেকে হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর হবেন। এজন্য উনাকে হাসানী এবং হুসাইনীও বলা হয়।
(৪) আরও ৪৭০ পৃষ্ঠা-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ السَّادِسَةِ اُمِّ سَلَمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ الْـمَهْدِىُّ مِنْ عِتْـرَتِىْ مِنْ اَوْلَادِ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ.
অর্থ: “(হযরত) উম্মে সালামা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট শুনেছি, তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম আমার নিকট আত্মীয়গণ উনাদের বংশধর- হযরত আন নূরুর রবিয়াহ (ফাতিমাতুয যাহরা) আলাইহাস সালাম উনার বংশধর হবেন। (আবূ দাউদ শরীফ)
(৫) আরও উক্ত পৃষ্ঠা-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدٍ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قاَلَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْـمَهْدِىُّ مِنِّىْ اَجَلَّى الْـجَبْهَةِ اَقْنـَى الْاَنْفِ يـَمْلَاُ الْاَرْضَ قِسْطًا وَّعَدْلًا كَمَا مُلِئَتْ ظُلْمًا وَّجَوْرًا يـَمْلِكُ سَبْعَ سِنِيْنَ
অর্থ: “হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি আমার বংশধর হবেন, উনার ললাট উজ্জল প্রশস্ত হবে, উনার নাক মুবারকের উপরি অংশ উচ্চ হবে, তিনি পৃথিবীকে সুবিচার ও ন্যায় বিচারে পূর্ণ করবেন, যেমন তা অত্যাচারে ও যুলুম পূর্ণ করা হয়েছিল, সে ব্যক্তি সাত বৎসর (পৃথিবীর) অধিপতি হবেন। (আবূ দাউদ শরীফ)
(৬) কানযুল উম্মাল ১৯৫৬ পৃষ্ঠা-
وَفِـىْ خَدِّهِ الْاَيـْمَنِ خَالٌ اَسْوَدُ
অর্থ: “ইমাম আলাইহিস সালাম উনার ডান চেহারাতে কাল তিলক হবে।”
(৭) বুরহান কিতাবে আছে-
اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَفَ الْـمَهْدِىَّ فَذَكَرَ ثِقَلًا فِـىْ لِسَانِهٖ
অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার লক্ষণ বর্ণনা উপলক্ষে ইরশাদ মুবারক করেছেন, উনার জিউভা বা জিভ ভারি বা মোটা হবেন। (চলবে)