কাদিয়ানী রদ!
বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিযে হাদীছ, মুফতীয়ে আ’যম, মুনাযিরে আ’যম, পীর কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরত মাওলানা, আল্লামা শাহ ছূফী মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পূনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
(মির্জার মাহদী দাবি খণ্ডন)
(পূর্ব প্রকাশিতের)
৫২৪ হিজরীতে সে কঠিন অসুস্থ হয়, সেই সময় একটি বড় যুদ্ধে তাহার প্রধান সহচর দেনশারিশি মৃত্যুমুখে পতিত হয়, সে তার মৃত্যু সংবাদ শ্রবণে ব্যথিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলো যে, আব্দুল মু’মিন জীবিত আছে কিনা? লোকেরা বললো, হ্যাঁ সে ব্যক্তি জীবিত আছে। তখন সে এ ভবিষ্যদ্বানী প্রচার করে, যদি এই ব্যক্তি জীবিত থাকে তবে কেউ মরেনি ধরতে হবে, এই ব্যক্তি বহু রাজ্য অধিকার করবে। তারপর সে মুরীদদেরকে তার আদেশ পালন করতে আদেশ দেয় এবং তাকে ‘আমীরুল মুমিনীন’ উপাধি প্রদান করে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। আব্দুল মু’মিন চার বৎসর নিস্তব্ধভাবে থেকে লোকদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন করার পরে যুদ্ধ করতে ও রাজ্য অধিকার করতে রত হয়। উক্ত কথিত মাহদীর ভবিষ্যদ্বানী অনুসারে সে যে দিকে ধাবিত হতো, সেই দিকেই জয় হতে লাগল। আন্দলুছিয়া ও আরব দেশে আধিপত্য বিস্তার করলো, অবশেষে সে ৫৫৮ হিজরীতে ইন্তিকাল করে। (কামিল ইবনে আছির, ১০ম খ- দ্রষ্টব্য)।
৩। উবায়দুল্লাহ আলাবী, সে ২৯৬ হিজরীতে মাহদী হওয়ার দাবি করেছিলো। ২৯৭ হিজরীতে আফ্রিকায় পৌঁছে তথাকার বাদশাহ হয়ে গেলো এবং খুব জোরের সাথে মাহদী হওয়া প্রচার করেছিলো। চারদিকে ঘিরে ইলচি (দূত) প্রেরণ করেছিলো, বহু লোক তার নিকট মুরীদ হয়েছিলো, রাজ্য অধিকার করে জাকজমকের সাথে ২৪ বৎসরের কিছু অধিক বাদশাহী করেছিলো। ৬৩ বৎসর বয়সে সে আবুল কাসিমকে সিংহাসনের ভাবি অধিকারী নির্দেশ করে ৩২২ হিজরীতে ইন্তিকাল করে। (ইবনে খালদুন ৪র্থ খন্ড ও কামিল ইবনুল আছীর ৮ম খণ্ডে ইহার বিস্তারিত বিবরণ লিখিত আছে।)
৪। ছালেহ ইবনে তারিফ, ১২৭ হিজরীতে নিজের পিতার সিংহাসনের অধিকারী হয়েছিলো, সে নুবুওওয়াত ও বড় মাহদী হওয়ার দাবি করেছিলো, সে ব্যক্তি নিজের উপর ওহী ও নতুন কুরআন নাযিল হওয়ার দাবি করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ! তার উম্মতেরা নামাযে উক্ত কথিত কুরআনের সূরাগুলি পাঠ করতো। এ ব্যক্তি ৪৭ বৎসর রাজত্ব করে নিজের পৌত্রকে স্থলাভিষিক্ত করে কোথায় চলে যায়। (ইবনে খালদুন দ্রষ্টব্য)
এরূপ মাহদী দাবিকারী অনেক লোক গত হয়ে গিয়েছে তারা ওহী প্রাপ্তির দাবি করেছে, কারো ভবিষ্যদ্বানী সফল হয়েছে, কিন্তু বিদ্বানদের বিচারে তারা সকলেই মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হয়েছে, কাদিয়ানি স¤প্রদায় তাদেরকে প্রকৃত মাহদী বলে বিশ্বাস করবে কি? (চলবে)