(কাদিয়ানী রদ!)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়েখ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পুনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
মির্জার মাহদী দাবি খণ্ডন
(পূর্ব প্রকাশিতের)
(২২) মিশকাত শরীফ, ৪৬৭ পৃষ্ঠা-
عَنْ حضرت عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْمَلْحَمَةِ وَفَتْحِ الْمَدِيْنَةِ سِتُّ سِنِيْنَ وَيـَخْرُجُ الدَّجَّالُ فِي السَّابِعَةِ رَوَاهُ اَبُوْ دَاؤُوْدَ وَقَالَ هٰذَا اَصَحُّ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বুছর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ভয়ঙ্কর যুদ্ধ ও কনষ্টান্টিনোপল অধিকারভুক্ত হওয়ার মধ্যে ছয় বৎসর সময় লাগবে, দাজ্জাল সপ্তম বৎসরে বের হবে। (আবূ দাউদ এটা বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটাই সমধিক ছহীহ মত।)
(২৩) পীর মহিউদ্দিন আরাবি ‘ফতুহাতে মক্কিয়া’ কিতাবে লিখিয়াছেন-
اِنَّ لِلّٰهِ خَلِيْـفَةً يَخْرُجُ وَقَدْ اِمْتَلَاَتِ الْاَرْضُ جَوْرًا وَظُلْمًا فَـيَمْلَؤُهَا قِسْطًا وَعَدْلًا لَوْ لَـمْ يَـبْقَ مِنَ الدُّنْـيَا اِلَّا يَوْمٌ وَاحِدٌٍ طَوَّلَ اللهُ ذٰلِكَ الْيَـوْمَ حَتّٰى يَلِىَ هٰذَا الْخَلِيْـفَةُ مِنْ عِتْـرَةِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهَ وَسَلَّمَ مِنْ وَّلَدِ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ جَدِّهِ الْحُسَيْنِ ابْنِ عَلِىِّ ابْنِ اَبِىْ طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُوَاطِئُ اِسْمُهٗ اِسْمَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهَ وَسَلَّمَ يُـبَايِعُ النَّاسُ بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْمَقَامِ اَسْعَدَ النَّاسَ بِهٖ اَهْلُ الْكُوْفَةَ يَقْسِمُ الْمَالَ بِالسَّوِيَّةِ وَيَعْدِلُ فِى الرَّعِيَّةِ وَيَـفْصِلُ فِى الْقَضِيَّةِ يَاْتِيْهِ الرَّجُلُ فَـيَـقُوْلُ لَهٗ يَا مَهْدِىُّ اَعْطِنِىْ وَبَيْنَ يَدَيْهِ الْـمَالَ
অর্থ: “যে সময় পৃথিবী জুলুম অত্যাচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে, সে সময় মহান আল্লাহ তায়ালা উনার একজন খলীফা প্রকাশিত হবেন, তিনি দুনিয়া ন্যায়বিচারে পূর্ণ- করবেন, যদি দুনিয়ার একদিন ব্যতীত বাকি না থাকে, তবু মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত দিনকে লম্বা করে দিবেন, এমনকি এই খলীফা খিলাফত প্রাপ্ত হবেন, ইনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর, (হযরত) আন নূরুর রবিয়াহ (ফাতিমা) আলাইহাস সালাম উনার বংশধর হবেন, উনাদের পূর্বপুরুষ হযরত হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবি তালিব আলাইহিস সালাম তিনি হবেন, উনার নাম ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক একই হবে, লোকেরা হাজারে আসওয়াদ ও মাক্বামে ইবরাহীম উনার মধ্যস্থলে উনার নিকট বাইয়াত করবেন, কুফাবাসীগণ উনার সমধিক পৃষ্ঠপোষক হবেন, তিনি অর্থসম্পদ সমানভাবে বণ্টন করবেন, প্রজাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করবেন, কলহ বিরোধ মীমাংসা করে দিবেন। কোন লোক উনার নিকট উপস্থিত হয়ে বলবে, হে মাহদী আলাইহিস সালাম! আমাকে কিছু অর্থ প্রদান করুন।