কাদিয়ানী রদ!
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়েখ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পুনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
মির্জার মাহদী দাবি খ্ণ্ডন
(পূর্ব প্রকাশিতের)
(২০) ইবনে মাজাহ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ لَـمْ يَبْقَ مِنَ الدُّنْيَا إِلَّا يَوْمٌ لَطَوَّلَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ حَتّٰى يـَمْلِكَ رَجُلٌ مِّنْ أَهْلِ بَيْتِي يَـمْلِكُ جَبَلَ الدَّيْلَمِ وَالْقُسْطَنْطِيْنِيَّةِ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি দুনিয়ার কেবল এক দিবস ব্যতীত বাকী না থাকে, তবু মহান খোদা তায়ালা উহা (দিনকে) লম্বা করে দিবেন, এমনকি আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এক ব্যক্তি দায়লাম পর্বত ও কনষ্টান্টিনোপলের মালিক হয়ে যাবেন।”
উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে তুরস্ক রাজ্য বিধ্বস্ত হবে। পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নিকটস্থ খায়বর অবধি কেবল মুসলমানদের অধিকারভুক্ত থাকবে। তুরস্ক, ইরাক ও শাম সমস্তই খৃষ্টানদের রাজ্যভুক্ত হবে। হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি খলীফা হবেন। সমস্ত খৃষ্টান শক্তি উনার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে, হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম ও উনার সহায়তাকারী মুজাহিদগণ উক্ত যুদ্ধে জয়ী হয়ে কনষ্টান্টিনোপল ও সমস্ত মুসলমান রাজ্য অধিকারভুক্ত করে নিবেন। এই যুদ্ধকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বলা হয়েছে, এই খৃষ্টানদের সেনাদলের সংখ্যা ৯,৬০,০০০ হবে।
(২১) মেশকাত শরীফ, ৪৬৭ পৃষ্ঠা-
عَنْ حَضْرَتْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُمْرَانُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ خَرَابُ يَثْرِبَ وَخَرَابُ يَثْرِبَ خُرُوجُ الْمَلْحَمَةِ وَخُرُوجُ الْمَلْحَمَةِ فَتْحُ قُسْطَنْطِينِيَّةَ وَفَتْحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ خُرُوجُ الدَّجَّالِ
অর্থ: হযরত মুয়ায বিন যাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “বায়তুল মুকাদ্দাস উনার উন্নতি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার উৎসন্ন হওয়ার কারণ হবে। পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ক্ষতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ উপস্থিত হবে। উক্ত যুদ্ধের পরেই কনষ্টান্টিনোপল অধিকারে আসবে, তা অধিকৃত হওয়ার পরেই দাজ্জাল বের হবে। (আবূ দাউদ শরীফ)