কাদিয়ানী রদ!
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পূনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
(মির্জার মাহদী দাবি খণ্ডন)
(পূর্ব প্রকাশিতের)
ثُمَّ يَنْشَأُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ أَخْوَالُهٗ كَلْبٌ فَيَبْعَثُ إِلَيْهِمْ بَعْثًا فَيَظْهَرُوْنَ عَلَيْهِمْ وَذٰلِكَ بَعْثُ كَلْبٍ، وَيَعْمَلُ فِي النَّاسِ بِسُنَّةِ نَبِيِّهِمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُلْقِي الْإِسْلامُ بِجِرَانِه فِي الْأَرْضِ. فَيَلْبَثُ سَبْعَ سِنِيْنَ ثُمَّ يُتَوَفّٰـى وَيُصَلِّىْ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُوْنَ. رواه ابو داؤد.
অর্থ: তারপরে কুরাইশ বংশীয় একটা লোক প্রকাশিত হবে, সে মামুরা (আরবের) কলব বংশধর হবে। সে ব্যক্তি উক্ত হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার বিরুদ্ধে একদল সৈন্য প্রেরণ করবে, হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম ও উনার অনুগামীরা তাদের উপর জয়যুক্ত হবেন। এটাকে কলব সম্প্রদায়ের ফিতনা বলা হয়। হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি লোকের মধ্যে উনাদের নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক অনুসারে কাজ করবেন। ইসলাম নিজের গ্রীবাদেশকে যমিনের উপর স্থাপন করবে (অর্থাৎ পৃথিবীতে দ্বীন ইসলাম প্রবল পরাক্রান্ত হয়ে থাকবে), তিনি সাত বৎসর (এ অবস্থায়) জীবন অতিবাহিত করবেন তারপর তিনি বিছাল শরীফ বা ইন্তিকাল) প্রাপ্ত হবেন এবং মুসলমানেরা উনার জানাযা পড়বেন। আবু দাউদ এটা রিওয়ায়েত করেছেন।
আশয়াতুল লুময়াত ৪র্থ খ- ৩৩৮ পৃষ্ঠায় ও অন্যান্য অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার এ চিহ্ন উল্লেখিত হয়েছে যে, শাম দেশে ছুফিয়ান বংশের একটি লোকের রাজত্ব হবে, উনার অধিকাংশ অনুগামী আরবের বনু কলব সম্প্রদায়ের লোক হবে, এ ব্যক্তি অতিরিক্ত প্রাণ ঘাতক হবে, এমনকি গর্ভবতী স্ত্রীলোকদের উদর বিদীর্ণ করত: সন্তান বের করে সন্তানগুলি মেরে ফেলবে। সে ব্যক্তি হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার আবির্ভাবের কথা শুনে উনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ইচ্ছায় দু’বার দু’দল সৈন্য প্রেরণ করবে। একদল সৈন্য হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার ও উনার দলের নিকট পরাস্ত হবে, অন্যদল পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যস্থিত বায়দা নামক স্থানে যমিনের মধ্যে তলিয়ে যাবে, তাদের সব বিনষ্ট হবে, কেবল একটা লোক জীবিত থাকবে, তিনিই ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার নিকট এ সংবাদ পৌঁছাবেন।
(১০) মিশকাত শরীফ, ৪৭১ পৃষ্ঠা-
عَنْ حَضْرَتْ ثَوْبَانَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَذَا رَاَيْتَهُمْ اَلرَّايَاتَ السَّوَدِ قَدْ جَاءَتْ مِنْ قَبْلِ خَرَاسَانَ فَاَتُوْهَا فَاِنَّ فِيْهَا خَلِيْفَةُ اللهِ الْـمَهْدِىِّ عَلَيْهِ السَّلَامُ
অর্থ: “হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন তোমরা কালো পতাকাগুলি খোরাসানের দিক হতে আসতে দেখবে, তখন তোমরা তৎসমূদয়ের নিকট উপস্থিত হও, কেননা তৎসমূদয়ের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার খলীফা হযরত মাহদী আলাইহিস সালাম তিনি থাকবেন।” (আহমদ ও বায়হাক্বী ইহা রেওয়ায়েত করিয়াছেন) (চলবে)