(কাদিয়ানী রদ!)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়েখ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত ‘কাদিয়ানী রদ’ কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত)। আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পত্রিকায় ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছি। পাঠকদের অনুরোধে তা পুনরায় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে কাদিয়ানীসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন। আমীন!
যদিও তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
মির্জার মাহদী দাবি খণ্ডন
(পূর্ব প্রকাশিতের)
(২৩) পীর মহিউদ্দিন আরাবি রমতুল্লাহি আলাইহি ‘ফতুহাতে মক্কিয়া’ কিতাবে লিখিয়াছেন-
وَبَيْنَ يَدَيْهِ الْـمَالَ فَـيُحْثِىْ لَهٗ فِىْ ثَـوْبِهٖ مَا اسْتَطَاعَ اَنْ يـَّحْمِلَهٗ يَـخْرُجُ عَلٰى فِتْـرَةِ مِنَ الدِّيْنِ يُـمْسِى الرَّجُلُ جَاهِلًا بَـخِيْلًا جَبَانًا فَـيُصْبِحُ اَعْلَمُ النَّاسِ اَشْجَعُ النَّاسِ اَكْرَمُ النَّاسِ يُصْلِحُهُ اللهُ فِىْ لَيْـلَةٍ يَـمْشِى النَّصْرُ بَيْنَ يَدَيْهِ يَعِيْشُ خَمْسًا اَوْسَبْـعًا اَوْتِسْعًا يَقِفُ اَثَـرَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَايُـخْطِئُ لَهٗ مَلَكٌ يُسَدِّدُهٗ مِنْ حَيْثُ لَا يَـرَاهُ يَـحْمِلُ الْكُلَّ وَيَقْوِى الضَّعِيْفَ فِى الْـحَـقِّ وَيَـقْرِى الضَّيْفَ وَيُعَيِّنُ عَلٰى نَـوَائِبِ الْحَقِّ يَفْعَلُ مَا يَـقُوْلُ وَيَـقُوْلُ مَا يَعْلَمُ وَيَعْلَمُ مَا يَشْهَدُ وَيَـفْتَحُ الْمَدِيْـنَةَ الرُّوْمِيَّةَ بِالتَّكْبِيْرِ فِىْ سَبْعِيْنَ اَلْفًا مِّنَ الْمُسْلِمِيْنَ مِنْ وُلْدِ اِسْحَاقَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
উনার সম্মুখে অর্থসম্পদ থাকবে, তিনি তাকে দুই হাতে করে এত টাকা প্রদান করবেন যা সে কাপড়ে বহন করে নিয়ে যেতে পারে। যে সময় দ্বীন দুনিয়া হতে অদৃশ্য হয়ে যাবে, সে সময় তিনি প্রকাশ হবেন। যে ব্যক্তি সন্ধ্যাকালে নিরক্ষর, কৃপণ ও কাপুরুষ ছিল সে ব্যক্তি (উনার সঙ্গগুণে) প্রভাতে শ্রেষ্ঠ আলিম, বীর পুরুষ ও দানশীল হয়ে যাবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি একরাতে তার সংশোধন করে দিবেন। খোদা তায়ালা উনার সাহায্য উক্ত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার অগ্রগামী হবে। তিনি পাঁচ, সাত কিংবা নয় বৎসর (এই অবস্থায়) জীবন অতিবাহিত করবেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করবেন, এক কেশাগ্র অতিক্রম করবেন না। উনার সাথে একজন ফেরেশতা আলাইহিস সালাম অদৃশ্যভাবে থাকবেন- যিনি উনাকে সত্যপথে পরিচালিত করবেন, দরিদ্রদের অভাব মোচন করবেন, ন্যায়সঙ্গত বিষয়ে দুর্বলের সহায়তা করবেন, মেহমানের মেহমানদারী করবেন, সত্য ঘটনাগুলিতে পৃষ্ঠপোষকতা করবেন, যা বলবেন তাই করবেন, যা অবগত হবেন তাই বলবেন, তিনি কাশ্ফ্ কর্তৃক অবগত হবেন। হযরত ইসহাক্ব আলাইহিস সালাম উনার বংশধর ৭০ হাজার মুসলমানের সহযোগিতায় তাকবীর পড়ে কনষ্টান্টিনোপল শহর অধিকার করে নিবেন।