খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- উলামায়ে ‘সূ’দের হাক্বীক্বত সম্পর্কে

সংখ্যা: ২৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونؤمن به ونتوكل عليه ونعوذ بالله من شرور انفسنا ومن سيات اعمالنا من يهدى الله فلا مضل له ومن يضلله فلا هادى له ونشهد ان لا اله الا الله ونشهد ان سيدنا نبينا حبيبنا شفيعنا مولنا محمدا عبده ورسوله صلى الله عليه وسلم.

اما بعد: فاعوذ بالله من الشيطان الرجيم. بسم الله الرحمن الرحيم. ان الله وملئكته يصلون على النبى. يايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما.

 اللهم صل على سيدنا ونبينا وحبيبنا وشفيعنا ومولنا وسيلتى اليك واله وسلم. اللهم صل على سيدنا ونبينا وحبيبنا وشفيعنا ومولنا معدن الجود والكرم واله وسلم. اللهم صل على سيدنا ونبينا وحبيبنا وشفيعنا ومولنا النبى الامى واله وسلم.

সমস্ত প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্য, যিনি আমাদেরকে এখানে হাযির হয়ে ওয়াজ-নছীহত শোনার তাওফিক দান করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

وذكر فان الذكر تنفع الـمؤمنين

“হে আমার হাবীব! আপনি নছীহত করুন। নিশ্চয়ই আপনার নছীহতগুলো মু’মিনদের জন্য ফায়দাদায়ক।”

আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

ما اجتمع قوم فى بيت من بيوت الله يتلون كتاب الله ويتدارسونه بينهم الا نزلت عليهم السكينة وغشيتهم الرحمة وحفتهم الـملئكة وذكرهم الله فيمن عنده.

“যখন কোন এলাকার লোকজন মহান আল্লাহ পাক উনার ঘরে অথবা কোন স্থানে একত্রিত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব তিলাওয়াত করে অথবা পরস্পর দ্বীনী আলোচনা বা দর্স-তাদরীস করে তখন মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে তাদের উপর সাকীনা বা শান্তি বর্ষিত হয়।

মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত তাদের উপর ছেয়ে যায় বা তাদেরকে আবৃত করে নেয়। মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তাদেরকে বেষ্টন করে নেন এবং স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার নিকটবর্তী ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সেই মাহফিলের লোকদের ছানা-ছিফত ও তাদের সম্পর্কে আলোচনা করেন।” সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো রয়েছে, “মাহফিল যখন শেষ হয়ে যায়, তখন সকল মানুষ চলে যায়, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাও চলে যান মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে।

মহান আল্লাহ পাক উনার জানা থাকা সত্ত্বেও ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, “হে ফেরেশতারা! তোমরা কোথা হতে আসলে?” ফেরেশতা উনারা বলেন, “আল্লাহ পাক! অমুক স্থানে মাহফিল হয়েছে সেখান থেকে এসেছি।”

তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “তারা কি চেয়েছে এবং কি থেকে পানাহ চেয়েছে?” হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বলেন, “মহান আল্লাহ পাক! তারা আপনার সন্তুষ্টি মুবারক চেয়েছে, সম্মানিত জান্নাত চেয়েছে এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ চেয়েছে।”

মহান আল্লাহ পাক তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করেন, “হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! তারা কি আমাকে দেখেছে?”  হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বলেন, “না, তারা দেখেনি।”

মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “তারা কি জান্নাত-জাহান্নাম দেখেছে?”

হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সারাম উনারা বলেন, “না, তারা দেখেনি। যদি তারা আপনাকে দেখতো তাহলে আপনার রেযামন্দী বা সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্য তারা আরো বেশি বেশি কোশেশ করতো। আর জান্নাত ও জাহান্নাম দেখলে, জান্নাত বেশি বেশি তলব করতো এবং জাহান্নাম থেকে বেশি বেশি পানাহ তলব করতো।” ইত্যাদি অনেক কথোপকথনের পর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-

فاشهدكم انى قد غفرت لـهم

“হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা সাক্ষী থাকুন এই মাহফিলে যারা এসেছে, আমি তাদের প্রত্যেককে ক্ষমা করে দিলাম।” সুবহানাল্লাহ!

قال ملك من الـملائكة فيهم فلان ليس منهم انما جاء لحاجة

তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে একজন ফেরেশতা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “আয় মহান আল্লাহ পাক! এ মাহফিলে এমন একজন লোক ছিল, যে মূলত ওয়াজ-নছীহত শুনার উদ্দেশ্যে আসেনি। সে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল তার কাজে। যখন দেখলো যে, এখানে মাহফিল হচ্ছে, সে দেখার জন্য এখানে এসেছিলো ও বসেছিলো। প্রকৃতপক্ষে লোকটা খুব বদকার, গুনাহগার। আপনি কি তাকেও ক্ষমা করে দিয়েছেন?”

قال هم الجلساء لا يشقى جليسهم

“তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, এই মাহফিলে যে সমস্ত নেককার লোক এসেছিল, আমি সেই নেককারদের ওসীলায় ওই বদকারের গুনাহখতাও ক্ষমা করে দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ!

এবার চিন্তা ফিকির করে দেখুন, ওয়াজ মাহ্ফিলের অর্থাৎ দর্স-তাদরীসের মাহফিলের কত ফযীলত।

প্রকৃতপক্ষে ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে সাকীনা হাছিলের মাহফিল, রহমত, বরকত হাছিলের মাহফিল। সর্বোপরি ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে নিজের গুনাহখতা মাফ করার মাহফিল। অতএব, খুব ধ্যান ও খেয়ালের সাথে শুনতে হবে। আর শুনে মনে রেখে আমল করে খালিছ আল্লাহওয়ালা হতে হবে। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-

كونوا ربانين

“তোমরা সকলেই আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও।” অর্থাৎ মাথার তালু হতে পায়ের তলা এবং হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার মত মুবারক অনুযায়ী মত ও মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথ মুবারক অনুযায়ী পথ হতে হবে।

خطبة اليوم فى ذم علماء السوء

আজকের খুতবাহ উলামায়ে সূ যারা রয়েছে তাদের হাক্বীক্বত সম্পকের্, দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এবং হযরত ইমাম মুজতাহিদ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রত্যেকেই উনাদের স্ব স্ব কিতাবে উলামায়ে ‘সূ’দের সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। ওলামায়ে সূ নামে যে ক্বওম রয়েছে, তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে থাকে, গোমরাহির দিকে ধাবিত করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

انما يخشى الله من عباده العلماء

নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাদের মধ্যে যারা আলিম উনারা।

কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সেটা বলেন, আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু ওহী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, কালামুল্লাহ শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি নাযিল করা হয়েছে। কাজেই তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এ আয়াত শরীফ আমাদেরকে জানিয়েছেন। নিশ্চয়ই যারা বান্দাদের মধ্য থেকে আলিম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে থাকেন। তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে, যিনি হক্কানী রব্বানী আলিম হবেন তিনি অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করবেন। যে বা যিনি আলিম দাবি করার পরেও মহান আল্লাহ পাক উনার ভয় তার মধ্যে থাকবেনা, আল্লাহভীতি থাকবেনা তখন বুঝা যাবে হাক্বীক্বী আলিম বলতে যাকে বুঝানো হয়েছে, সে আসলে তা নয়। কারণ হক্কানী রব্বানী আলিম হতে হলে তার শর্ত হচ্ছে আল্লাহভীতি থাকা। (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৯

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-  ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১০

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১১

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আ’লম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১২

খলীফাতুল্লাহ,  খলীফাতু   রসূলিল্লাহ,  ইমামুশ  শরীয়ত  ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল  আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গাউছূল আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে-   ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-১৩